Ajker Patrika

জাবিতে মেয়াদোত্তীর্ণদের নিয়ে বসছে সিনেট সভা

বেলাল হোসেন, জাবি
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৫: ১৪
জাবিতে মেয়াদোত্তীর্ণদের নিয়ে বসছে সিনেট সভা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম সিনেট সভা মেয়াদোত্তীর্ণ ৬৩ জন সিনেটর নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে,, যেখানে মাত্র চারজনের পদাধিকারবলে এবং ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে শুরু হবে সিনেট অধিবেশন। এতে সভাপতিত্বে করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম।

সিনেট অধিবেশনে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার মূল বাজেট উপস্থাপন, সিনেটের ৩৮তম বার্ষিক সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, সিনেটের ৩৮তম বার্ষিক সভার রিপোর্ট অনুমোদন বিবেচনা, ২০১৯-২০২০ সালের (সংশোধিত) এবং ২০২০-২০২১ সালের (মূল) রেকারিং বাজেট কার্যোত্তর অনুমোদন বিবেচনা, ২০২০-২০২১ সালের (সংশোধিত) এবং ২০২১-২০২২ সালের (মূল) রেকারিং বাজেট কার্যোত্তর অনুমোদন বিবেচনা, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের খসড়া বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন বিবেচনা ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। তবে অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘কে’ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ বিগত ৩০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘ই’ ধারা অনুযায়ী আচার্য কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদের মেয়াদ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘জে’ ধারা অনুসারে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত চার বছর আগে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘আই’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও গত বছরে শেষ হয়েছে। এতে অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। যেখানে সিনেটের মোট সদস্যসংখ্যা ৯৩। সে অনুযায়ী শুধু চারজন পদাধিকারবলে ও ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে।

জানা যায়, ৬৩ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের পদ শূন্য হচ্ছে না অধ্যাদেশে বর্ণিত ১৯-এর ২ ধারার কারণে। অধ্যাদেশ ১৯-এর ২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিনেটরদের দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উত্তরাধিকার নির্বাচিত, মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত না হয়।’

তবে, দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আসন্ন সিনেটের নৈতিক বৈধতা নেই বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘সিনেটরদের স্পষ্টত মেয়াদ তিন বছর। সেই তিন বছর কার্যকর থাকল কি না, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ায় সঙ্গেই পদ শূন্য ঘোষণা করা। বর্তমানে যে সিনেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে ৬৩ জনের সদস্যপদ মেয়াদোত্তীর্ণ। এই সিনেটরগণ কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি তামাদি সিনেটে পরিণত হয়েছে, যার কোনো নৈতিক ও যৌক্তিক বৈধতা নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘১৯-এর ২ ধারা বিপৎকালীন সময়ের জন্য। কোনো দায়িত্বশীল ও গতিশীল প্রশাসন এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না। এতে করে প্রশাসনিক স্থবিরতা তৈরি হয়। যে কারণে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদসমূহে বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে ভারপ্রাপ্তের কাঁধে প্রশাসন স্থবির হয়ে আছে। ন্যূনতম গতিশীলতা আনতে হলেও সিনেটে এই ধারা সংশোধনের দাবি তোলা উচিত। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাধারণ বোধের বিষয় যে নির্বাচনের মাধ্যমে সব পদ পূরণ করা। কিন্তু বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে তা সম্ভব হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬, আহত ৪৬

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

এনসিপি নেতা সারওয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি: শহিদুল আলম

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত