Ajker Patrika

লকডাউনে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনের দায় নেবে না বিআইডব্লিউটিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৪ মে ২০২১, ১৯: ৪০
লকডাউনে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনের দায় নেবে না বিআইডব্লিউটিএ

ঢাকা: বাংলাদেশ নৌ–পরিবহন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত বালুবাহী নৌযান বা বাল্কহেড আছে ৫ হাজার ৭১টি। শুধু নিবন্ধন নিয়েই বিভিন্ন রুটে চলাচল করতে পারে এসব নৌযান। এর জন্য অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছ থেকে রুট পারমিট নিতে হয় না।

তবে স্পিডবোটের জন্য নিবন্ধন ও রুট পারমিট বাধ্যতামূলক। দেশে নিবন্ধনকৃত ১৩ হাজার ৪৮৬টি নৌযানের মধ্য স্পিডবোট আছে ৩৪০টি। তবে এর মধ্যে কতোটির রুট পারমিট আছে সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।

২০১৯ সালে নৌযান বিধিমালায় বাল্কহেড এবং স্পিডবোটকে রুট পারমিটের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। নৌ–কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো বাল্কহেডকে রুট পারমিটের আওতায় আনা হয়নি। কিছু স্পিডবোটের রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে।

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে স্পিডবোটের ফিটনেস সনদ ও নিবন্ধন দেওয়া হয়। এরপর রুট পারমিটের জন্য বিআইডব্লিউটিএর কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়।

এ বিষয়ে পরিসংখ্যান চাইলে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (অপারেশন) রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারাদেশে অসংখ্য স্পিডবোট চলাচল করে। এই মুহূর্তে কতগুলো স্পিডবোটের রুট পারমিট আছে তার সঠিক হিসাব আমার কাছে নেই।’ পরিসংখ্যান জানাবেন বলে এক ঘণ্টা পর যোগাযোগ করতে বললেও পরে বারবার কল করলে আর জবাব দেননি তিনি।

মাদারীপুরে শিবচরের বাংলাবাজার শিমুলিয়া নৌরুটে কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। এখানে গতকাল সোমবার ভোরে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হন।

এই বিষয়ে বিআইডব্লিটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদারীপুর শিবচর নৌ–রুটে যেসব স্পিডবোট চলে তার সবগুলোই অবৈধ। এই রুটে স্পিডবোট চলার জন্য বিআইডব্লিটিএর কোনো পারমিশন দেওয়া নেই। স্পিডবোটের মালিকরা সিন্ডিকেট করে আমাদের আড়ালে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন করেছে। তার দায় আমরা নেব না। এর জন্য দায়ী স্পিডবোটের লোভী মালিকরা।’

এ বিষয়ে নজরদারির দায়িত্বে আছে নৌ–পুলিশ। লকডাউনের মধ্যেও কীভাবে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে জানতে চাইলে বাংলাবাজার নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করি যাতে বোট চালাতে না পারে। কিন্তু শিমুলিয়া থেকে বেশিরভাগ বোট যাত্রী নিয়ে এসে ঘাটের আশপাশের চরে নামিয়ে দিচ্ছে, আবার ঘাটের আশপাশ থেকে যাত্রী তুলছে।’ এসময় জনবল সঙ্কটের কথাও বলেন তিনি।

সড়ক ও নৌপথ বিভিন্ন দুর্ঘটনা নিয়ে গবেষণা করে বুয়েট-এর অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই)। এই ইনস্টিটিউটের প্রভাষক মো. ইমরান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত লোকবল নেই। নৌযানের নিবন্ধন দেওয়ার জন্য এবং সেগুলো যথাযথ চলছে কিনা সেটাও যথাযথভাবে দেখভাল করা হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত