Ajker Patrika

টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধের বিষয়ে জানেন না চিকিৎসকেরা: মহিলা পরিষদের সভায় বক্তারা

অনলাইন ডেস্ক
মতবিনিময় সভায় বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মতবিনিময় সভায় বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অনেকেই এই রায় সম্পর্কে জানেন না।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগও সীমিত আকারের। উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হলেও পরবর্তীকালে এ বিষয়ে তেমন কোনো মনিটরিং করা হয়নি। ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনো চলছে নারীর প্রতি অবমাননাকর টু ফিঙ্গার টেস্ট।

আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট করার ক্ষেত্রে আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন পর্যালোচনা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীর টু ফিঙ্গার টেস্ট বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পরও অনেক ডাক্তার এখনো সচেতন নয়। এটি বাস্তবায়নে ও সচেতনতা তৈরিতে ডাক্তারদের ঐক্যবদ্ধভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিচারের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, তবে সহিংসতা বাড়ছে। এই সহিংসতা প্রতিরোধে এখনকার সময়ে তৈরি হওয়া চাহিদার দিকে খেয়াল করতে হবে। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের টু ফিঙ্গার টেষ্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া রায় বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী সংস্থা এবং আইনি সংস্থাকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। সেবাদানকারী সংস্থাকে আরও সচেতন হতে হবে। একই সঙ্গে মানবিক হওয়ার পাশাপাশি পেশাগত দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে সদিচ্ছা থাকতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীবান্ধব বিভিন্ন আইন প্রণয়ন হলেও সেগুলো বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করে জেন্ডার জাস্টিস কতটুকু নিশ্চিত হয়েছে তা এখন পর্যালোচনার বিষয়। ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি (মেডিকো-লিগ্যাল) পরীক্ষার ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা নারী আন্দোলনের একটি অন্যতম অর্জন। এই রায় বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যা শিশুর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন আইসিডিডিআরবির ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট রুচিরা তাবাসসুম ও সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর (জেন্ডার ইকুয়ালিটি স্পেশালিস্ট) নাহিদা আক্তার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাত আরা নূর প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত