নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার এই তারিখ ধার্য করেন। আজ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ১০ মে রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন নিহতের মেয়ে ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান। মামলায় ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী নাহিদ ইজহার খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তাঁর বয়স যখন ৫ বছর ও তাঁর বড় ভাইয়ের বয়স ৮ বছর, তখন তাঁর বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭২ বিশেষ কমান্ডার হিসেবে রংপুরে কর্মরত ছিলেন। ওই অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে তাঁর বাবা নিহত (শহীদ) হন। তাঁর সঙ্গে অপর দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীর উত্তম এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তম নিহত (শহীদ) হন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে তাঁরা বড় হয়ে বাবার কোর্সমেট, কলিগ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে নিজেদের অনুসন্ধানে জানতে পারেন—১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, সকালে তাঁর বাবাসহ অন্য দুই সামরিক কর্মকর্তা ১০ ইস্ট বেঙ্গলের অফিসে উপস্থিত ছিলেন। যেটি তখন জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে ছিল। সকালে তাঁর বাবা যখন নাশতা করছিলেন, তখন দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারি থেকে দশম ইস্ট বেঙ্গলের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল নওয়াজেশের কাছে টেলিফোন আসে। এরপর তাঁর বাবাসহ অন্য দুই সামরিক কর্মকর্তাকে বাইরে নিয়ে আসে দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা। নিজস্ব অনুসন্ধানে বাদীর পরিবার জানতে পারে তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জাসদ নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহেরের (অব) নির্দেশে দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তা, জেসিও এবং সৈনিকেরা সংঘবদ্ধভাবে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘তৎকালীন ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিরাজ ও মেজর মুকতাদির, তৎকালীন ক্যাপ্টেন সাবেক পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন—দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তা জেসিও ও সৈনিকদের সঙ্গে মেজর মো. আসাদউজ্জামান (অব)- এ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করার পর বেয়নেট চার্জ করেন।’
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন সময় তাদের প্রতিকূলে থাকায় এত দিন তাঁরা মামলা করেননি। প্রসঙ্গত যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল মেজর (অব.) আব্দুল জলিল বেঁচে আছেন। আর যাদের নামোল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা কেউ বেঁচে নেই।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার এই তারিখ ধার্য করেন। আজ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ১০ মে রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন নিহতের মেয়ে ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান। মামলায় ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী নাহিদ ইজহার খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তাঁর বয়স যখন ৫ বছর ও তাঁর বড় ভাইয়ের বয়স ৮ বছর, তখন তাঁর বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭২ বিশেষ কমান্ডার হিসেবে রংপুরে কর্মরত ছিলেন। ওই অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে তাঁর বাবা নিহত (শহীদ) হন। তাঁর সঙ্গে অপর দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীর উত্তম এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তম নিহত (শহীদ) হন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে তাঁরা বড় হয়ে বাবার কোর্সমেট, কলিগ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে নিজেদের অনুসন্ধানে জানতে পারেন—১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, সকালে তাঁর বাবাসহ অন্য দুই সামরিক কর্মকর্তা ১০ ইস্ট বেঙ্গলের অফিসে উপস্থিত ছিলেন। যেটি তখন জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে ছিল। সকালে তাঁর বাবা যখন নাশতা করছিলেন, তখন দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারি থেকে দশম ইস্ট বেঙ্গলের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল নওয়াজেশের কাছে টেলিফোন আসে। এরপর তাঁর বাবাসহ অন্য দুই সামরিক কর্মকর্তাকে বাইরে নিয়ে আসে দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা। নিজস্ব অনুসন্ধানে বাদীর পরিবার জানতে পারে তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জাসদ নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহেরের (অব) নির্দেশে দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তা, জেসিও এবং সৈনিকেরা সংঘবদ্ধভাবে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘তৎকালীন ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিরাজ ও মেজর মুকতাদির, তৎকালীন ক্যাপ্টেন সাবেক পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন—দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তা জেসিও ও সৈনিকদের সঙ্গে মেজর মো. আসাদউজ্জামান (অব)- এ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করার পর বেয়নেট চার্জ করেন।’
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন সময় তাদের প্রতিকূলে থাকায় এত দিন তাঁরা মামলা করেননি। প্রসঙ্গত যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল মেজর (অব.) আব্দুল জলিল বেঁচে আছেন। আর যাদের নামোল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা কেউ বেঁচে নেই।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে থানায় না এসে ঘরে বসেই সব ধরনের জিডি অনলাইনে করার সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৫ এপ্রিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানা এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের সব থানায় অনলাইন জিডি সেবা চালু হয়।
২৯ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান দেবেন। পাশাপাশি তাঁর পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের লোহাগড়ায় বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে খাজা মোল্যা (৫১) নামে এক কৃষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুমারডাঙ্গা সড়কের উপর হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাজা মোল্যা উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পার-ইছাখালী গ্রামের লবাব মোল্যা ওরফে লবা মোল্যার ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার সহকর্মী। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না আকস্মিকভাবে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে তিনি এই অভিযোগ করেন। পরে ইউএনও বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর অভিযুক্ত শিক্ষক মজনুর রহমান তার সহকর্মী রবিউল ইসলাম
১ ঘণ্টা আগে