Ajker Patrika

সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩০
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এসব নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব নির্দেশনা দেন। দুদকের বিশেষ পিপি রুহুল ইসলাম খান দুদকের পক্ষে শুনানি করেন। দুদকের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, নুরুজ্জামান মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘুষ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ মামলা করা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাঁরা যেকোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারেন। তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। অন্যদিকে মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে রংপুর কর অঞ্চলে দাখিল করা আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির মধ্যে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, তাঁর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা ও ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার সম্পদ অবৈধ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাঁর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম ও নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। আর তৃতীয় মামলায় নুরুজ্জামানের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তাঁর ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে।

এ মামলায় বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসংগতিহীন ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং রাকিবুজ্জমানের নিজ নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত