Ajker Patrika

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ সদস্যের নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ১১
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ সদস্যের নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন 

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা উদ্‌ঘাটনে ১৭ সদস্যের নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডির কলাবাগানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) কার্যালয়ে কমিটিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানকে আহ্বায়ক ও নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুলকে সদস্যসচিব করে এই নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন নদী ও নৌখাতবিষয়ক গবেষক সাংবাদিক আশীষ কুমার দে। বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোর ভি শিপসের সাবেক প্রধান নৌ প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক সচিব সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ব্যারিস্টার নিশাদ মাহমুদ, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, আইনজীবী জীবনানন্দ জয়ন্ত, কোস্ট ফাউন্ডেশনের মোস্তফা কামাল আকন্দ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, পুরান ঢাকা পরিবেশ ফোরামের আহ্বায়ক মো. নাজিম উদ্দিন।

নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনার পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ছাড়া ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় না। তাই দুর্ঘটনার মূল কারণও অজানা থেকে যায়। এ কারণে প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যান সরকারের উচ্চপর্যায়সহ সাধারণ জনগণের দৃষ্টির আড়ালে। এমনকি দুর্বল কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট তদন্তের কারণে অনেক দুর্ঘটনার প্রকৃত তথ্য নৌ প্রতিমন্ত্রী, নৌসচিবও জানতে পারেন না বলে আমাদের ধারণা। এসব কারণে প্রকৃত দোষীদের যথাযথ শাস্তি হয় না।

আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, ‘পরিবেশ, নৌখাত, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ১৭ (সতেরো) সদস্যবিশিষ্ট একটি নাগরিক তদন্ত কমিটি (ছায়া তদন্ত কমিটি) গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের কমিটি গঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে-তদন্ত কমিটি অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্‌ঘাটন, দায়ীদের চিহ্নিতকরণ, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ব্যবস্থার ক্রটি-বিচ্যুতি ও দুর্বলতা তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো নৌ দুর্ঘটনা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি এড়াতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে।’

গত ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীভর্তি এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। এতে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাণ রক্ষায় লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও অনেক যাত্রী চিকিৎসাধীন আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত