Ajker Patrika

বিনা মূল্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা কথায় আছে, বাস্তবে নেই 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৫৩
বিনা মূল্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা কথায় আছে, বাস্তবে নেই 

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ১৬১ জন। এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অন্তত ১০ হাজার রোগী। এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সে সময় বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা সেবা চালু করা হয়। বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিপর্যয়কর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

আজ শুক্রবার দুপুরের রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন তথ্য করেন। স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়ার হয়েছে। এরই মধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।’

কিন্তু খোঁজ নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সাধারণ এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্ট, প্লাটিলেট ঠিক আছে কি না, তা দেখতে সিবিসি এবং অ্যান্টিবডির পরিমাণ জানতে করাতে হয় আইজিএম পরীক্ষা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগীদের। রাজধানীর একাধিক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনটি পরীক্ষাতেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। এনএস-১০এর জন্য ১০০ টাকা, সিবিসিতে ২৫০ টাকা এবং আইজিএমের জন্য ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে যেসব সেবা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়, এখনো তা দেওয়া হচ্ছে। আলাদাভাবে ডেঙ্গুর জন্য কিছু নেই। নির্দিষ্ট একটা ফি পরিশোধ করে এসব পরীক্ষা করাতে হয়। আর ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে যেগুলো ওষুধ আমাদের এখানে নেই, সেগুলো বাইরে থেকে আনতে হয়।’

একই কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অন্য হাসপাতালের অবস্থা কী জানি না, তবে আমাদের এখানে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করেই এসব পরীক্ষা করাতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত