Ajker Patrika

জাপানি শিশুদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকবেন মা, বাবা শুধু দিনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাপানি শিশুদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকবেন মা, বাবা শুধু দিনে

জাপান থেকে আসা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার সঙ্গে জাপানি নাগরিক মা নাকানো এরিকো ২৪ ঘণ্টাই থাকবেন। আর বাংলাদেশি-আমেরিকান বাবা ইমরান শরীফ শুধু দিনের বেলা সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। 

আজ বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া আগামী ২১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

আজ আদালতে শিশুদের বাবার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। শিশুদের মায়ের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। এ মামলা থেকে বাবার পক্ষের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। 

শুনানিতে বাবার পক্ষের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম বলেন, বুধবার বসেছিলাম। এটা একদিনের মধ্যে সম্ভব না। শিশির মনির বলেন, বুধবার জুমে মিটিং হয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য। শিশুদের বাবা কোনো মতেই জাপান ফিরে যেতে চান না। মা বাংলাদেশে এসে থাকতে রাজি আছেন। পরে অন্য কোনো দেশে স্থায়ী হতে চান। আমরা আর সময় নিতে চাই না। 

এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, রোকন উদ্দিন মাহমুদ নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শিশুদের মা সমঝোতায় আসতে চাইলে আমি উদ্যোগ নেব। আর বিষয়টি বাংলাদেশের নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসুন। সমঝোতা করতে চাইলে দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। এজন্য সময় লাগবে। আর কোর্ট সময় না দিলে আমি পূর্ণাঙ্গ শুনানি করতে চাই। তবে সেটা এখনই সম্ভব না। 

শিশির মনির বলেন, আর সময় নেওয়া সম্ভব না। আপনি (আদালত) আদেশ দিতে পারেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। এ সময় ফিদা এম কামাল বলেন, সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা আছে। জাপানের বাড়ি শিশুদের মা আর নানার নামে। সেখানে বাবার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। তিনি দিতে না পারলে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। জাপানের আদালতে অন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য করা হয়। জাপানে এর সমাধান হবে না। বাচ্চাদের তো তাদের বাবা নিয়ে এসেছে। আর তাদের মাকে তো অস্বীকার করা হচ্ছে না। মা চাইলে এখানে মাঝেমধ্যে আসতে পারেন। জাপানে বাবার সম্পত্তি বলতে কিছু নেই। শিশুদের এখানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তিও করে দেওয়া হয়েছে।  

শিশির মনির বলেন, যে সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছ তার মূল্য ২৩ লাখ মার্কিন ডলার। যার ৬০ ভাগ মালিকানা নাকানো এরিকোর বাবার। আর বৈধ পাসপোর্টসহ বাচ্চাদের নিয়ে আসা হয়নি। এ সময় ফিদা এম কামাল বলেন, মা বাচ্চাদের সময় দিতেন না। মা তো অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আর শিশুরাও বাবার সঙ্গেই চলে এসেছে। শিশির মনির বলেন, জাপানে শিশুদের বেড়ে ওঠা। বাচ্চাদের বড় হতে দেন। জাপানি আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর তারা যেখানে খুশি থাকবে। এরপর আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে অবকাশের পর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালদূষণকারী কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব পুরস্কার

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত