নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য সরকার দলীয় প্রার্থীদের পক্ষ থেকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। তারা বলেন, রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি থানার বহরমপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা ভোট কেন্দ্র না যায়।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি কে কোরআন রেখেছে। কে নিয়েছে আমরা দেখেছি, শুনেছি। বর্তমান সরকার কি এত দুর্বল? যে এই ঘটনা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরতে পারে। সেটা তাদের কাছে কোনো খবর আসল না, তারা জানতেও পারল না। না সরকার জেগে ঘুমিয়ে ছিল, যে এদের ওপর অত্যাচার হোক। এদের ওপর অত্যাচার হলে এরা দেশে ছেড়ে চলে যাবে। এদের দোকান দখল করতে পারব, এদের পুকুরে মাছ ধরতে পারব, এদের সম্পদ আমরা ভোগ করতে পারব। এরা চলে গেলেই ভালো হয়। তাহলে এখন কি সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার লুকিয়ে আছে। সরকারকে হিন্দু (আমাদের) নিয়ে ভাবতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে চলব সেটা আমরা আলোচনা করে ঠিক করব।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দাস সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস।
প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করেন হিন্দু মহাজোটের নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একটি চক্র। সরকার দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্নে নমনীয় আচরণের কারণে আজকের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আজকে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এটা আমাদের বাঁচা মরার লড়াই, অস্তিত্বের লড়াই।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, এর আগে রাতের আঁধারে মন্দির ভাঙা হতো। আর এখন রাতে নয় দিনে মন্দির ভাঙা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় বর্তমান সরকারের সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে আন্তরিকতার অভাব আছে। ঘটনা ঘটার পরে সরকরের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি মিছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন এই সম্প্রীতি মিছিলের মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে আগুন ও প্রতিমা ভাঙা সন্ত্রাসীরা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যখন লিখিত বক্তব্য দিয়ে নির্লজ্জভাবে সত্যকে আড়াল করে তখন বিচারের আশা আমাদের কাছে হাস্যকর। অসত্য বলা সত্যকে মিথ্যা রূপান্তরিত করা মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার সমান বলে মনে করি। সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের নাগরিক হিসেবে তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বক্তব্য আমরা ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত।
সংবাদ সম্মেলনে থেকে সরকারের কাছে চার দাবি জানান হয়-সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও কমিশন গঠন করতে হবে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহতম সাম্প্রদায়িক আক্রমণের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালকে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। আর মন্দির ও বসত বাড়ি সরকারি খরচে পুন:স্থাপন করতে হবে। নিহত পরিবারকে ৫০ লাখ এবং আহত পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে আপনাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের সময় বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এক হয়ে যায়। তবে এর মধ্যে সরকার দলীয় লোকজনের প্রভাব থাকে বেশি।
আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য সরকার দলীয় প্রার্থীদের পক্ষ থেকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। তারা বলেন, রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি থানার বহরমপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা ভোট কেন্দ্র না যায়।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি কে কোরআন রেখেছে। কে নিয়েছে আমরা দেখেছি, শুনেছি। বর্তমান সরকার কি এত দুর্বল? যে এই ঘটনা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরতে পারে। সেটা তাদের কাছে কোনো খবর আসল না, তারা জানতেও পারল না। না সরকার জেগে ঘুমিয়ে ছিল, যে এদের ওপর অত্যাচার হোক। এদের ওপর অত্যাচার হলে এরা দেশে ছেড়ে চলে যাবে। এদের দোকান দখল করতে পারব, এদের পুকুরে মাছ ধরতে পারব, এদের সম্পদ আমরা ভোগ করতে পারব। এরা চলে গেলেই ভালো হয়। তাহলে এখন কি সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার লুকিয়ে আছে। সরকারকে হিন্দু (আমাদের) নিয়ে ভাবতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে চলব সেটা আমরা আলোচনা করে ঠিক করব।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দাস সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস।
প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এই ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করেন হিন্দু মহাজোটের নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একটি চক্র। সরকার দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্নে নমনীয় আচরণের কারণে আজকের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আজকে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এটা আমাদের বাঁচা মরার লড়াই, অস্তিত্বের লড়াই।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, এর আগে রাতের আঁধারে মন্দির ভাঙা হতো। আর এখন রাতে নয় দিনে মন্দির ভাঙা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় বর্তমান সরকারের সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে আন্তরিকতার অভাব আছে। ঘটনা ঘটার পরে সরকরের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি মিছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন এই সম্প্রীতি মিছিলের মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে আগুন ও প্রতিমা ভাঙা সন্ত্রাসীরা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যখন লিখিত বক্তব্য দিয়ে নির্লজ্জভাবে সত্যকে আড়াল করে তখন বিচারের আশা আমাদের কাছে হাস্যকর। অসত্য বলা সত্যকে মিথ্যা রূপান্তরিত করা মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার সমান বলে মনে করি। সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের নাগরিক হিসেবে তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বক্তব্য আমরা ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত।
সংবাদ সম্মেলনে থেকে সরকারের কাছে চার দাবি জানান হয়-সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও কমিশন গঠন করতে হবে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহতম সাম্প্রদায়িক আক্রমণের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালকে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। আর মন্দির ও বসত বাড়ি সরকারি খরচে পুন:স্থাপন করতে হবে। নিহত পরিবারকে ৫০ লাখ এবং আহত পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে আপনাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের সময় বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এক হয়ে যায়। তবে এর মধ্যে সরকার দলীয় লোকজনের প্রভাব থাকে বেশি।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১৯ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
৪০ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে