উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর দক্ষিণখানে বেতন-ভাতার দাবিতে ‘শি অ্যান্ড হি’ নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। দক্ষিণখানের কসাইবাড়ী এলাকায় আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই শতাধিক শ্রমিক আন্দোলন করেন। পরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করেছে।
প্রথমে বেলা ১১টার দিকে গার্মেন্টসটির সামনে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেন। আন্দোলনকালে শ্রমিকেরা ‘মালিকের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শ্রমিকেরা এক হও, লড়াই কর’, ‘আমাদের এক দফা এক দাবি, বেতন চাই, বেতন চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবাই দক্ষিণখানের কসাইবাড়ীর শি অ্যান্ড হি গার্মেন্টসের শ্রমিক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন গত ১৫ মার্চ পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন বেতন পরিশোধ না করে ২৯ মার্চ বেতন দেওয়ার কথা বলে। পরেও মালিক পক্ষ বেতন না দিয়ে টালবাহানা করার কারণে আমরা আন্দোলন করছি। আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করি।’
শ্রমিকেরা বলেন, ‘আমাদের ঘরে খাবার নাই। ঘর ভাড়া বাকি। পাওনা টাকার জন্য দোকানদারেরা আমাদের চাপ দিচ্ছে। বাসা ভাড়ার টাকার জন্য বাড়ি ওয়ালা বাসা ছেড়ে দিতে বলছে। তবুও আমরা কাজ করেও বেতন পাচ্ছি না।’
তাঁদের দাবি, দুই শতাধিক শ্রমিক দুই মাসের অর্ধকোটি টাকার বেশি পাবেন। দিন দিন বেতন দেওয়ার আশ্বাসে শুধুই ঘোরানো হচ্ছে।। কিন্তু বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আস্তে আস্তে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে শি অ্যান্ড হি গার্মেন্টসটির মালিক মো. শহিদুল্লাহসহ অংশীদারদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আন্দোলন প্রসঙ্গে ডিএমপির দক্ষিণখান জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাকিবা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি জানি। কিন্তু ওই সময় আমি ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে একটি মিটিংয়ে ছিল। যার কারণে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’
কতজন শ্রমিক কত মাসের বেতন পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এসি রাকিবা বলেন, ‘আমি জানি। তারপরও আপনি ঘটনাস্থল থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিন।’
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আফতাব উদ্দিন শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শি অ্যান্ড হি গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা দুই মাসের বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিই। পরে তাঁরা এপিবিএন স্কুলের পাশেই বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।’
পরিদর্শক আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘ওই গার্মেন্টসটির ১২০ জন শ্রমিক দুই মাসের ৪০ লাখ টাকা বেতন পাবে। আগামীকাল (রোববার) বেলা ১১টায় বেতনের জন্য বিজিএমইএর সঙ্গে শ্রমিকদের বৈঠকের কথা রয়েছে।’
আফতাব আরও বলেন, ‘গার্মেন্টসটির মালিক ১২ জন। একেকজন একেক জায়গায় রয়েছে। এক মালিক আরেক মালিকের কথা বলছেন। কিন্তু কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না। আবার সহজে কারও সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।’
রাজধানীর দক্ষিণখানে বেতন-ভাতার দাবিতে ‘শি অ্যান্ড হি’ নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। দক্ষিণখানের কসাইবাড়ী এলাকায় আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই শতাধিক শ্রমিক আন্দোলন করেন। পরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করেছে।
প্রথমে বেলা ১১টার দিকে গার্মেন্টসটির সামনে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেন। আন্দোলনকালে শ্রমিকেরা ‘মালিকের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শ্রমিকেরা এক হও, লড়াই কর’, ‘আমাদের এক দফা এক দাবি, বেতন চাই, বেতন চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবাই দক্ষিণখানের কসাইবাড়ীর শি অ্যান্ড হি গার্মেন্টসের শ্রমিক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন গত ১৫ মার্চ পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন বেতন পরিশোধ না করে ২৯ মার্চ বেতন দেওয়ার কথা বলে। পরেও মালিক পক্ষ বেতন না দিয়ে টালবাহানা করার কারণে আমরা আন্দোলন করছি। আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করি।’
শ্রমিকেরা বলেন, ‘আমাদের ঘরে খাবার নাই। ঘর ভাড়া বাকি। পাওনা টাকার জন্য দোকানদারেরা আমাদের চাপ দিচ্ছে। বাসা ভাড়ার টাকার জন্য বাড়ি ওয়ালা বাসা ছেড়ে দিতে বলছে। তবুও আমরা কাজ করেও বেতন পাচ্ছি না।’
তাঁদের দাবি, দুই শতাধিক শ্রমিক দুই মাসের অর্ধকোটি টাকার বেশি পাবেন। দিন দিন বেতন দেওয়ার আশ্বাসে শুধুই ঘোরানো হচ্ছে।। কিন্তু বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আস্তে আস্তে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে শি অ্যান্ড হি গার্মেন্টসটির মালিক মো. শহিদুল্লাহসহ অংশীদারদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আন্দোলন প্রসঙ্গে ডিএমপির দক্ষিণখান জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাকিবা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি জানি। কিন্তু ওই সময় আমি ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে একটি মিটিংয়ে ছিল। যার কারণে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’
কতজন শ্রমিক কত মাসের বেতন পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এসি রাকিবা বলেন, ‘আমি জানি। তারপরও আপনি ঘটনাস্থল থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিন।’
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আফতাব উদ্দিন শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শি অ্যান্ড হি গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা দুই মাসের বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিই। পরে তাঁরা এপিবিএন স্কুলের পাশেই বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।’
পরিদর্শক আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘ওই গার্মেন্টসটির ১২০ জন শ্রমিক দুই মাসের ৪০ লাখ টাকা বেতন পাবে। আগামীকাল (রোববার) বেলা ১১টায় বেতনের জন্য বিজিএমইএর সঙ্গে শ্রমিকদের বৈঠকের কথা রয়েছে।’
আফতাব আরও বলেন, ‘গার্মেন্টসটির মালিক ১২ জন। একেকজন একেক জায়গায় রয়েছে। এক মালিক আরেক মালিকের কথা বলছেন। কিন্তু কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না। আবার সহজে কারও সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।’
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১০ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১৫ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩৪ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগে