Ajker Patrika

র‍্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি আসকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫: ২৯
র‍্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি আসকের

র‍্যাব হেফাজতে নওগাঁর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। তাঁর পরিবারের নিরাপত্তাসহ চার দফা দাবিও তোলা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসকের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর। 

আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।’

পরিবারের বরাত দিয়ে ফয়জুল কবীর বলেন, সুলতানা জেসমিনের পরিবার দাবি করেছে, র‍্যাব হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েই তাঁর মৃত্যু ঘটেছে এবং সুলতানা জেসমিন ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি হৃদ্‌রোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন না। এ ছাড়া আটকের আগে তাঁর মাথায় বা শরীরে কিংবা হাতের কোনো অংশে জখম বা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসকের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান লিটন বলেন, এ ঘটনার তদন্ত কার্যক্রমে যেন র‍্যাব ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সব যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরত থাকে। কারণ এ ঘটনার সঙ্গে র‍্যাবের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের মধ্যে অস্বস্তি আছে। এসংক্রান্ত সব কাজই পুলিশের মাধ্যমে করালে কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ঘটনার পরপরই র‍্যাবের পক্ষ থেকে সুলতানা জেসমিনের ছেলেকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁকে নানা রকম প্রশ্ন করা হয়েছে। এটা নিছক জিজ্ঞাসাবাদ, নাকি প্রচ্ছন্ন হুমকি, সেটা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।’

সুলতানা জেসমিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া থেকে দাফন পর্যন্ত র‍্যাব কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা করেনি বলেও দাবি করেছেন এই মানবাধিকারকর্মী। মামলায় অভিযোগকারীর দাবিগুলো নাটকীয় বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। 

সুলতানা জেসমিনের সঙ্গে হওয়া ঘটনাকে স্পষ্ট মানব ও নারী অধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন আসকের প্রোগ্রাম পরিচালক নীনা গোস্বামী।

এ ঘটনায় আসকের দাবিগুলো হলো, একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন, যার মধ্যে দিয়ে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে; সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর পরপরই তাঁর সন্তান শাহেদ হোসেন সৈকতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী র‍্যাব ক্যাম্পে কেন নেওয়া হয়েছিল এবং কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সৈকতকে কী ধরনের বার্তা দিয়েছিল, তা খুঁজে বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করা; সুলতানা জেসমিনের একমাত্র সন্তান শাহেদ হোসেন সৈকতসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; র‍্যাবের পক্ষ থেকে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর পর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের নামে কার্যত চাপ প্রয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ তাঁর পরিবারকে প্রদান করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত