নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে আটকে পড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য কমিশন গঠন করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে এই ইস্যুতে কাজ করার কিছু মানুষ প্রয়োজন। একটা কমিশনও গঠন করা যেতে পারে। যারা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন সম্ভাবনাকে আমলে নিয়ে কাজ করে যাবে।’
আজ শনিবার ‘রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক: আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স রাজধানীর গুলশানে ইএমকে সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে কোনো না কোনো সংকট প্রয়োজন। দশকের পর দশক ধরে জান্তা সরকার দেশটি পরিচালনা করার ফলে আর কোনো প্রতিষ্ঠান বা সিভিল সোসাইটি দাঁড়াতে পারেনি, যারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।’
রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, সংকট, সভ্যতা ও রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করেছেন মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী। দীর্ঘ আট বছরে করা গবেষণাটি বই আকারে প্রকাশ করেছে আল হামরা প্রকাশনী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের ফেলো ফারুক সোবহান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ধীরে ধীরে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। আমরা যে দেশগুলো সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে মনে করি, যেমন ভারত, চীন ও রাশিয়া। তাদের সবারই মিয়ানমারে নিজ নিজ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। ফলে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে তাদের দৃশ্যমান অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। এই বন্ধু রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একা কতটুকু কী করতে পারবে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বইটির লেখক নাঈম আশফাক চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। বাংলাদেশে এই ধরনের গবেষণা বিরল। আগামীতে যারা এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কাজ করবে, তাদের জন্য বইটি অবধারিতভাবেই প্রাসঙ্গিক হবে, সহায়ক হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান তাসমিয়া পারসুভ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে এটাই সম্ভবত প্রথম গবেষণা। আন্তর্জাতিক বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, এই বইটি থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইতিহাস, সংকট, সংকটের কারণ এবং সম্ভাব্য সমাধান কী হতে পারে; এসব বিষয়গুলো বইতে গভীরভাবে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক শিক্ষার্থী তো বটেই, এ বিষয়ে যারা কাজ করছেন বা করবেন, তাঁদের জন্যও এই বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, ‘গবেষণাটি সম্পন্ন করতে আমার আট বছর লেগেছে। দীর্ঘ সময়জুড়ে যারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে গবেষণায় সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
বইয়ের প্রকাশক খান মোহাম্মদ মোরসালীন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো বাংলাদেশির এটিই প্রথম গবেষণা প্রকাশিত বই। মানবসভ্যতার এমন ইতিহাস কাগজে তুলে রাখতে পারা যেকোনো প্রকাশকের জন্য প্রশান্তির।
বাংলাদেশে আটকে পড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য কমিশন গঠন করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে এই ইস্যুতে কাজ করার কিছু মানুষ প্রয়োজন। একটা কমিশনও গঠন করা যেতে পারে। যারা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন সম্ভাবনাকে আমলে নিয়ে কাজ করে যাবে।’
আজ শনিবার ‘রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক: আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স রাজধানীর গুলশানে ইএমকে সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে কোনো না কোনো সংকট প্রয়োজন। দশকের পর দশক ধরে জান্তা সরকার দেশটি পরিচালনা করার ফলে আর কোনো প্রতিষ্ঠান বা সিভিল সোসাইটি দাঁড়াতে পারেনি, যারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।’
রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, সংকট, সভ্যতা ও রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করেছেন মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী। দীর্ঘ আট বছরে করা গবেষণাটি বই আকারে প্রকাশ করেছে আল হামরা প্রকাশনী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের ফেলো ফারুক সোবহান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ধীরে ধীরে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। আমরা যে দেশগুলো সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে মনে করি, যেমন ভারত, চীন ও রাশিয়া। তাদের সবারই মিয়ানমারে নিজ নিজ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। ফলে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে তাদের দৃশ্যমান অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। এই বন্ধু রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একা কতটুকু কী করতে পারবে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বইটির লেখক নাঈম আশফাক চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। বাংলাদেশে এই ধরনের গবেষণা বিরল। আগামীতে যারা এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কাজ করবে, তাদের জন্য বইটি অবধারিতভাবেই প্রাসঙ্গিক হবে, সহায়ক হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান তাসমিয়া পারসুভ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে এটাই সম্ভবত প্রথম গবেষণা। আন্তর্জাতিক বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, এই বইটি থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইতিহাস, সংকট, সংকটের কারণ এবং সম্ভাব্য সমাধান কী হতে পারে; এসব বিষয়গুলো বইতে গভীরভাবে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক শিক্ষার্থী তো বটেই, এ বিষয়ে যারা কাজ করছেন বা করবেন, তাঁদের জন্যও এই বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, ‘গবেষণাটি সম্পন্ন করতে আমার আট বছর লেগেছে। দীর্ঘ সময়জুড়ে যারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে গবেষণায় সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
বইয়ের প্রকাশক খান মোহাম্মদ মোরসালীন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো বাংলাদেশির এটিই প্রথম গবেষণা প্রকাশিত বই। মানবসভ্যতার এমন ইতিহাস কাগজে তুলে রাখতে পারা যেকোনো প্রকাশকের জন্য প্রশান্তির।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে উল্টে যাওয়া তুলাবোঝাই একটি ট্রাক অনেক চেষ্টার পর সরানো গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রেকারসহ পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এনে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়ক থেকে ট্রাকটি সরায়। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন এ কথা নিশ্চিত করেন।
৪ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে এসে মো. হাসিম নামের এক যুবক অপহরণের শিকার হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে ছেলে অপহরণের বিষয়টি জানান হাসিমের বাবা নুর হোসেন। অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন বলে তিনি জানান।
১৮ মিনিট আগেএক দিনের মাথায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়াকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে
৩৬ মিনিট আগেবরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র দুর্গাসাগর দিঘিতে অশ্লীলতা রোধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে তিন যুগলকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
৩৮ মিনিট আগে