সৈয়দ আহম্মদ
রূপগঞ্জের ঘটনা যা দেখলাম, শুনলাম—খুবই অমানবিক। গণমাধ্যমের সংবাদে দেখলাম, ওখানে ঘটনার সময় মূল গেট তালাবদ্ধ ছিল। আমরা নিরাপত্তা বলি না, বলি সুরক্ষা। কারণ আমাদের শ্রম আইনে সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। এখনো সুরক্ষা সংস্কৃতি আমাদের কলকারখানায় গড়ে ওঠেনি। এটার জন্য আরও ব্যাপকভাবে সবাইকে উৎসাহিত করা উচিত। প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
কারখানার জন্য সুরক্ষা হলো প্রথম। এখানে তালাবদ্ধ না থাকলে অনেকেই বের হতে পারত। এখন আবার দেখলাম কারখানার মালিক বলছেন, তিনি দায়ী নন। তালাবদ্ধ রাখা তো হত্যার শামিল। এটা নিয়ে আরও তদন্ত করা দরকার।
কলকারখানায় সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্যর্থতার জন্য শ্রম আইনে মালিকের কম শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তবে পেনাল কোডে শাস্তির বিধান রয়েছে, যা সবার জন্য প্রযোজ্য। কারও অবহেলার জন্য মৃত্যু হলে পেনাল কোডে নির্দিষ্ট ধারা রয়েছে। আর শ্রম আইনে এই ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ব্যাপক ক্ষমতা নেই। তারা পারে শুধু পরিদর্শন করতে। আর অসংগতি দেখলে বলতে পারবে উৎপাদন বন্ধ রাখতে। এর বেশি কিছু না।
আমি দায়িত্বে থাকাকালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময়ে সুরক্ষা বিষয়ে অনেক কাজ করেছিলাম। দেশে সুরক্ষার সংস্কৃতি তৈরিতে প্রতিবছরের ২৮ এপ্রিল সেফটি ডে শুরু করলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলো, কলকারখানার মালিক শ্রেণি তা বাস্তবায়নে বরাবরই উদাসীন।
বারবার বলার পরে আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পে সুরক্ষা বিষয়টি এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে উন্নতি হচ্ছে অনেক। এর বাইরে যে কলকারখানাগুলো রয়েছে, সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এটার জন্য সরকার একটি প্রকল্প শুরু করেছে যতটুকু জানি। এটা হলে রাসায়নিক কারখানা, দাহ্য পদার্থের গুদামসহ যেসব কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, সেগুলোর সঠিক ধারণা নিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সুরক্ষা নির্দেশনা তৈরি। সেটার বাস্তবায়ন হলে কারখানা সেক্টরেও উন্নতি হবে।
মালিকদের বুঝতে হবে। কারখানায় সুরক্ষা নিশ্চিতও একটা বিনিয়োগ। নিরাপদ বোধ করলে শ্রমিকদের কাজে আগ্রহ বাড়বে। এতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি পাবে তাঁদের। কিন্তু তাঁরা সেই অঙ্ক বোঝেন না। খোঁজেন লাভ। তাঁরা সচেতন না হলে, প্রতিবার দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বেই। এতিম হবে শিশুরা, স্বামীহারা হবেন নারীরা আর সন্তানহারা হবেন মা–বাবারা।
সৈয়দ আহম্মদ
সাবেক মহাপরিদর্শক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
রূপগঞ্জের ঘটনা যা দেখলাম, শুনলাম—খুবই অমানবিক। গণমাধ্যমের সংবাদে দেখলাম, ওখানে ঘটনার সময় মূল গেট তালাবদ্ধ ছিল। আমরা নিরাপত্তা বলি না, বলি সুরক্ষা। কারণ আমাদের শ্রম আইনে সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। এখনো সুরক্ষা সংস্কৃতি আমাদের কলকারখানায় গড়ে ওঠেনি। এটার জন্য আরও ব্যাপকভাবে সবাইকে উৎসাহিত করা উচিত। প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
কারখানার জন্য সুরক্ষা হলো প্রথম। এখানে তালাবদ্ধ না থাকলে অনেকেই বের হতে পারত। এখন আবার দেখলাম কারখানার মালিক বলছেন, তিনি দায়ী নন। তালাবদ্ধ রাখা তো হত্যার শামিল। এটা নিয়ে আরও তদন্ত করা দরকার।
কলকারখানায় সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্যর্থতার জন্য শ্রম আইনে মালিকের কম শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তবে পেনাল কোডে শাস্তির বিধান রয়েছে, যা সবার জন্য প্রযোজ্য। কারও অবহেলার জন্য মৃত্যু হলে পেনাল কোডে নির্দিষ্ট ধারা রয়েছে। আর শ্রম আইনে এই ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ব্যাপক ক্ষমতা নেই। তারা পারে শুধু পরিদর্শন করতে। আর অসংগতি দেখলে বলতে পারবে উৎপাদন বন্ধ রাখতে। এর বেশি কিছু না।
আমি দায়িত্বে থাকাকালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময়ে সুরক্ষা বিষয়ে অনেক কাজ করেছিলাম। দেশে সুরক্ষার সংস্কৃতি তৈরিতে প্রতিবছরের ২৮ এপ্রিল সেফটি ডে শুরু করলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলো, কলকারখানার মালিক শ্রেণি তা বাস্তবায়নে বরাবরই উদাসীন।
বারবার বলার পরে আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পে সুরক্ষা বিষয়টি এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে উন্নতি হচ্ছে অনেক। এর বাইরে যে কলকারখানাগুলো রয়েছে, সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এটার জন্য সরকার একটি প্রকল্প শুরু করেছে যতটুকু জানি। এটা হলে রাসায়নিক কারখানা, দাহ্য পদার্থের গুদামসহ যেসব কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, সেগুলোর সঠিক ধারণা নিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সুরক্ষা নির্দেশনা তৈরি। সেটার বাস্তবায়ন হলে কারখানা সেক্টরেও উন্নতি হবে।
মালিকদের বুঝতে হবে। কারখানায় সুরক্ষা নিশ্চিতও একটা বিনিয়োগ। নিরাপদ বোধ করলে শ্রমিকদের কাজে আগ্রহ বাড়বে। এতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি পাবে তাঁদের। কিন্তু তাঁরা সেই অঙ্ক বোঝেন না। খোঁজেন লাভ। তাঁরা সচেতন না হলে, প্রতিবার দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বেই। এতিম হবে শিশুরা, স্বামীহারা হবেন নারীরা আর সন্তানহারা হবেন মা–বাবারা।
সৈয়দ আহম্মদ
সাবেক মহাপরিদর্শক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে