Ajker Patrika

ভুয়া প্রকল্পে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ: ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৪: ০২
ভুয়া প্রকল্পে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ: ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরমী ইউপির সাত সদস্যসহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী। এ সময় বিভিন্ন বয়সী মানুষ রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। 

আজ শনিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর বাজারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সাগর মৃধা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন দুর্নীতি করে ইউনিয়ন পরিষদের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করতে সাহস পাই না। আমাদের মেম্বার আজ তাঁর ভয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে সাহস পান না।’ 

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার শামীম আহমেদ বলেন, ‘আজ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আজ রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’ 

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুমন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জানতে পেরে আমরা সাতজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এরপর থেকে চেয়ারম্যান আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।’ 

বিভিন্ন বয়সী মানুষ রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেনবরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খন্দকার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে ৫০ লাখ টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। আজ বরমীর জনগণ ফুঁসে উঠেছে। বরমী ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা জনসাধারণকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

গত বছর বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের ইউনিয়নের একটি মাত্র ওয়ার্ডে নামমাত্র ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘঠন করে। তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে। তদন্ত প্রতিবেদনে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে মর্মে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরপরই ইউনিয়ন পরিষদের সাতজন ইউপি সদস্য অনাস্থা দেন। 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার গাজীপুরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের দুর্নীতির বিষয়ে ৮৬ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পেয়ে, পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ৫০ লাখ টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও ততকালীন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বিলাসবহুল বিমান না নেওয়াটা বোকামি: ট্রাম্প

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত