নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। আজ রোববার রাজধানীর দুটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, গরমের কারণে অসুস্থ হয়েছে—এমন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তুলনামূলক বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা। রোগীর চাপ বাড়ায় সবাইকে ভর্তি রাখাও কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে ভর্তি করিয়েছেন শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে। ফাতেমা বলেন, গরমের কারণে তাঁর মেয়ের শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
ফরিদপুরের সুমি বেগমের সন্তান সাফওয়ান শেখ (৯ মাস) শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি রয়েছে। সুমি বলেন, কয়েক দিন ধরে বাচ্চার জ্বর ছিল। গরম বাড়ার সঙ্গে শ্বাস কষ্টও বেড়েছে। ফুসফুস নাকি পুরো ব্লক হয়ে গেছে। অক্সিজেন খুললেই আধা ঘণ্টার মধ্যেই শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়।
শিশু হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, সাধারণত প্রতিদিন বহির্বিভাগে এক হাজারের মতো রোগী চিকিৎসাসেবা নিলেও দুই-তিন দিন ধরে রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ হয়ে যাচ্ছে।
শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ সময় নিউমোনিয়া রোগী ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আউটডোরে পাচ্ছি, কিন্তু ভর্তি করানো লাগছে না। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ৮৫ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি আছে। কিন্তু ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে মাত্র ছয়জন। তিনি বলেন, ‘গরমের রোগীর চাপ বেড়েছে। বেড সংকটের কারণে আমরা সব রোগী ভর্তি করতে পারি না। গত দুই দিন আগে থেকে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ রোগী সেবা নিচ্ছে। গতকালও আমাদের হাসপাতালে ১২৬ রোগী ভর্তি হয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করছে। অনেক রোগীর হাতে প্লাস্টিকের হাতপাখা দেখা গেছে। খালি গায়ে শুয়ে ছিল কেউ কেউ। তবে গরমে অসুস্থ হয়েছে—এমন রোগীর ভিড় বেশি দেখা গেছে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। আনসার সদস্যের বাধার কারণে রোগীদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মেডিসিন বিভাগের বহির্বিভাগে কর্মরত ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিউমোনিয়া, জ্বর ও কাশিতে ভুগছে—এমন রোগীও অনেক। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন বহির্বিভাগে দ্বিগুণ রোগীর চাপ রয়েছে।
তবে গরমের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগী বাড়েনি বলে জানিয়েছেন শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত আরা শামসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে রোগী বেড়েছে এমন কোনো বিষয় নেই। সাধারণত শিশু বিভাগের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী আসে। এর মধ্যে ৫০-৬০ জন রোগী ভর্তি হয়। গরমের কারণে এখনো বাড়তি রোগীর চাপ নেই।
দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। আজ রোববার রাজধানীর দুটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, গরমের কারণে অসুস্থ হয়েছে—এমন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তুলনামূলক বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা। রোগীর চাপ বাড়ায় সবাইকে ভর্তি রাখাও কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে ভর্তি করিয়েছেন শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে। ফাতেমা বলেন, গরমের কারণে তাঁর মেয়ের শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
ফরিদপুরের সুমি বেগমের সন্তান সাফওয়ান শেখ (৯ মাস) শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি রয়েছে। সুমি বলেন, কয়েক দিন ধরে বাচ্চার জ্বর ছিল। গরম বাড়ার সঙ্গে শ্বাস কষ্টও বেড়েছে। ফুসফুস নাকি পুরো ব্লক হয়ে গেছে। অক্সিজেন খুললেই আধা ঘণ্টার মধ্যেই শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়।
শিশু হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, সাধারণত প্রতিদিন বহির্বিভাগে এক হাজারের মতো রোগী চিকিৎসাসেবা নিলেও দুই-তিন দিন ধরে রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ হয়ে যাচ্ছে।
শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ সময় নিউমোনিয়া রোগী ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আউটডোরে পাচ্ছি, কিন্তু ভর্তি করানো লাগছে না। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ৮৫ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি আছে। কিন্তু ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে মাত্র ছয়জন। তিনি বলেন, ‘গরমের রোগীর চাপ বেড়েছে। বেড সংকটের কারণে আমরা সব রোগী ভর্তি করতে পারি না। গত দুই দিন আগে থেকে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ রোগী সেবা নিচ্ছে। গতকালও আমাদের হাসপাতালে ১২৬ রোগী ভর্তি হয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করছে। অনেক রোগীর হাতে প্লাস্টিকের হাতপাখা দেখা গেছে। খালি গায়ে শুয়ে ছিল কেউ কেউ। তবে গরমে অসুস্থ হয়েছে—এমন রোগীর ভিড় বেশি দেখা গেছে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। আনসার সদস্যের বাধার কারণে রোগীদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মেডিসিন বিভাগের বহির্বিভাগে কর্মরত ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিউমোনিয়া, জ্বর ও কাশিতে ভুগছে—এমন রোগীও অনেক। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন বহির্বিভাগে দ্বিগুণ রোগীর চাপ রয়েছে।
তবে গরমের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগী বাড়েনি বলে জানিয়েছেন শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত আরা শামসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে রোগী বেড়েছে এমন কোনো বিষয় নেই। সাধারণত শিশু বিভাগের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী আসে। এর মধ্যে ৫০-৬০ জন রোগী ভর্তি হয়। গরমের কারণে এখনো বাড়তি রোগীর চাপ নেই।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে ৩ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে বিজিবি তাদের জীবননগর থানা-পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
২৯ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে চুরির অপবাদে গণপিটুনিতে নিহত রূপলাল রবীদাস ও প্রদীপলাল রবীদাসের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ দলিত পরিষদের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে নিহতদের স্বজনেরা বলেন, ‘রূপলাল ও প্রদীপকে প্রকাশ্যে অমানবিক
৩৭ মিনিট আগেরাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর গ্রামে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অপমৃত্যুর মামলা। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের মতিহার থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে বাড়ির দুটি ঘরে চারজনের লাশ পাওয়া যায়। তারা হলেন,
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শ্যামপুরের ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই বৃদ্ধকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় কদমতলী থানা-পুলিশ। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
১ ঘণ্টা আগে