মো. রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রতি বছর বর্ষা এলেই বেড়ে যায় নৌকার চাহিদা। তাই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নৌকা তৈরি করতে দেখা গেলেও বরাবরই আওড়াখালী বাজার এর জন্য আদর্শ স্থান। দূর-দূরান্ত থেকেও এখানে ব্যাপারীরা নৌকা কিনতে আসেন। প্রতি বর্ষায় বিভিন্ন আকারের নৌকায় ভরে ওঠে আওড়াখালী বাজার। কিন্তু এই বাজারের সেই চেনা রূপ এবার আর নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার আওড়াখালী বাজারে নৌকা তৈরির বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে, যাঁরা নিজেরা নৌকা বানিয়ে বিক্রি করেন। বর্ষার ভরা মৌসুমেও কারিগরদের নেই নৌকা বানানোর ধুম। দু-একজন যা-ও বা বানাচ্ছেন, তাঁরা সেগুলো বানিয়ে ফেলে রাখছেন ক্রেতার অভাবে।
একসময় বর্ষার আগমুহূর্তে আওড়াখালী বাজারে নৌকার কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত থাকত না। এখন দায়সারাভাবে চলছে নৌকা মেরামতের কাজ। অনেকেই পুঁজি হারিয়ে দোকান বন্ধ করে অন্য পেশায় মনোযোগ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
কথা হয় নৌকার কারিগর এনামুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁদের বংশের সবাই নৌকা বানানোর কাজের জড়িত। মূলত বাবার কাছ থেকে শেখা এই পেশার মাধ্যমেই তিনি সংসার চালান। গত বছরও নৌকা বানিয়ে বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার বেচাকেনা একেবারেই নেই বললেই চলে। যে কয়টা নৌকা তৈরি করেছেন, সেগুলোও পড়ে রয়েছে।
কারিগর মো. বিল্লাল বলেন, ‘আমরা সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, বর্ষা মৌসুম এলে নৌকার চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এবার ঠিক উল্টো চিত্র। কয়েকটা নৌকা বানিয়েছি ঠিকই, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। ধারণা করছি, মানুষ এখন লোহার নৌকার দিকে ঝুঁকছে, যে কারণে আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে।’
পঞ্চাশোর্ধ্ব মো. নাজিম উদ্দিন নিজের দোকানে নিজেই কারিগর। এ বছর তিনি তাঁর মূলধন হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে রাগে-ক্ষোভে এই পেশাই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, তাঁর যেই পুঁজি ছিল, সেগুলো দিয়ে উন্নতমানের কাঠ কিনে এনেছিলেন ভালো কিছু নৌকা বানানোর জন্য। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় সেগুলো দোকানে পড়ে আছে। এদিকে দোকানের ভাড়া বেড়েছে কয়েক গুণ। সবকিছু মিলিয়ে তিনি পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।
আওড়াখালী বাজার কমিটির সহসভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, বাজারটি নৌকা তৈরির জন্য এ অঞ্চলে বিখ্যাত। আমার নিজেরও এখানে দোকান রয়েছে। এ বছর বেচাকেনা নেই বললেই চলে। মানুষ এখন লোহার নৌকার দিকে ঝুঁকছে। আমার দোকানে আগে চার-পাঁচটা নৌকা বানানো হতো। কিন্তু এখন দিনে একটা নৌকা বানালেও পড়ে থাকে।’
এ ব্যাপারে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এই কাঠের নৌকা। কালের পরিক্রমায় মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়। এই শিল্পের বেলায়ও ঘটেছে একই ঘটনা। যে কারণে মানুষ এখন আর আগের মতো কাঠের নৌকা ব্যবহার করতে চায় না। হয়তো এ জন্যই এই শিল্পে ধস নেমেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নৌকার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সবকিছুই আধুনিক ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। মানুষ এখন চিন্তা করে, কম দামে কীভাবে বেশি কিছু পাওয়া যায়। সে জন্য তারা লোহার নৌকায় ইঞ্জিন লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে, যেটা সহজলভ্য কাঠের নৌকায় সম্ভব নয়। তবে নৌকা আমাদের শিল্পের একটা অংশ আর এর কারিগরেরা তার শিল্পী। সুতরাং আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে এই শিল্পকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রতি বছর বর্ষা এলেই বেড়ে যায় নৌকার চাহিদা। তাই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নৌকা তৈরি করতে দেখা গেলেও বরাবরই আওড়াখালী বাজার এর জন্য আদর্শ স্থান। দূর-দূরান্ত থেকেও এখানে ব্যাপারীরা নৌকা কিনতে আসেন। প্রতি বর্ষায় বিভিন্ন আকারের নৌকায় ভরে ওঠে আওড়াখালী বাজার। কিন্তু এই বাজারের সেই চেনা রূপ এবার আর নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার আওড়াখালী বাজারে নৌকা তৈরির বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে, যাঁরা নিজেরা নৌকা বানিয়ে বিক্রি করেন। বর্ষার ভরা মৌসুমেও কারিগরদের নেই নৌকা বানানোর ধুম। দু-একজন যা-ও বা বানাচ্ছেন, তাঁরা সেগুলো বানিয়ে ফেলে রাখছেন ক্রেতার অভাবে।
একসময় বর্ষার আগমুহূর্তে আওড়াখালী বাজারে নৌকার কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত থাকত না। এখন দায়সারাভাবে চলছে নৌকা মেরামতের কাজ। অনেকেই পুঁজি হারিয়ে দোকান বন্ধ করে অন্য পেশায় মনোযোগ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
কথা হয় নৌকার কারিগর এনামুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁদের বংশের সবাই নৌকা বানানোর কাজের জড়িত। মূলত বাবার কাছ থেকে শেখা এই পেশার মাধ্যমেই তিনি সংসার চালান। গত বছরও নৌকা বানিয়ে বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার বেচাকেনা একেবারেই নেই বললেই চলে। যে কয়টা নৌকা তৈরি করেছেন, সেগুলোও পড়ে রয়েছে।
কারিগর মো. বিল্লাল বলেন, ‘আমরা সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, বর্ষা মৌসুম এলে নৌকার চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এবার ঠিক উল্টো চিত্র। কয়েকটা নৌকা বানিয়েছি ঠিকই, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। ধারণা করছি, মানুষ এখন লোহার নৌকার দিকে ঝুঁকছে, যে কারণে আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে।’
পঞ্চাশোর্ধ্ব মো. নাজিম উদ্দিন নিজের দোকানে নিজেই কারিগর। এ বছর তিনি তাঁর মূলধন হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে রাগে-ক্ষোভে এই পেশাই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, তাঁর যেই পুঁজি ছিল, সেগুলো দিয়ে উন্নতমানের কাঠ কিনে এনেছিলেন ভালো কিছু নৌকা বানানোর জন্য। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় সেগুলো দোকানে পড়ে আছে। এদিকে দোকানের ভাড়া বেড়েছে কয়েক গুণ। সবকিছু মিলিয়ে তিনি পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।
আওড়াখালী বাজার কমিটির সহসভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, বাজারটি নৌকা তৈরির জন্য এ অঞ্চলে বিখ্যাত। আমার নিজেরও এখানে দোকান রয়েছে। এ বছর বেচাকেনা নেই বললেই চলে। মানুষ এখন লোহার নৌকার দিকে ঝুঁকছে। আমার দোকানে আগে চার-পাঁচটা নৌকা বানানো হতো। কিন্তু এখন দিনে একটা নৌকা বানালেও পড়ে থাকে।’
এ ব্যাপারে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এই কাঠের নৌকা। কালের পরিক্রমায় মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়। এই শিল্পের বেলায়ও ঘটেছে একই ঘটনা। যে কারণে মানুষ এখন আর আগের মতো কাঠের নৌকা ব্যবহার করতে চায় না। হয়তো এ জন্যই এই শিল্পে ধস নেমেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নৌকার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সবকিছুই আধুনিক ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। মানুষ এখন চিন্তা করে, কম দামে কীভাবে বেশি কিছু পাওয়া যায়। সে জন্য তারা লোহার নৌকায় ইঞ্জিন লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে, যেটা সহজলভ্য কাঠের নৌকায় সম্ভব নয়। তবে নৌকা আমাদের শিল্পের একটা অংশ আর এর কারিগরেরা তার শিল্পী। সুতরাং আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে এই শিল্পকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২৩ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২৭ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
১ ঘণ্টা আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে