নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকার লালমোহন সাহ্ স্ট্রিটে অবস্থিত রাধাকান্ত জিউ মন্দিরের পাশের একটি অংশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মন্দিরের দুজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই হামলা হয়। হামলায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মূল মন্দিরের সঙ্গে সংযুক্ত পুরোনো দেয়ালঘেরা একটি অংশে ভাঙচুর করা হয়েছে। দেয়ালের ভেতরের দিকে কোনো ব্যবহার উপযোগী আসবাবপত্র নেই। তবে পুরোনো টিন, জানালার অংশবিশেষসহ বিভিন্ন অব্যবহৃত জিনিসপত্র পড়ে আছে।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রুপানুগা গৌড় দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি নিয়ে স্থানীয় হাজি শফিউল্লাহ এবং তাঁর ছেলে ইসরাফ সুফি মন্দিরের বাম পাশের অংশে হামলা চালায়। হামলায় মন্দিরের দুজন আহত হন। হামলায় আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রুপানুগা গৌড় দাস বলেন, ‘যে জায়গায় হামলা করা হয়েছে সেটা মন্দিরের অংশ। সেটার পাশের যে অংশে হাজি শফিউল্লাহর বাড়ি, সেই তিন কাঠা এবং এর পাশের রাজ্জাক আলীর বাড়ির আড়াই কাঠা জমিও মন্দিরের জমি। তাঁরা এগুলো অবৈধভাবে দখল করে আছেন। মন্দির এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য এর আগে তিনটি মামলা করা হয়েছে।’
যে জায়গায় হাজি শফিউল্লাহর বাড়ি সেটার পুরোটাতেই ভাড়াটিয়ারা থাকেন। ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ ফরজুর বলেন, ‘ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। যে জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে, সেটা শফিউল্লাহর জমি বলেই শুনেছি। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেটা দখল করে আছে।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মন্দিরের পাশের বাড়ির টুনি আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতে শফিউল্লাহ জমি দখল করতে যান। পরে রাস্তার আশপাশ থেকে অনেকেই সেখানে ভিড় করেন। তবে সবাই ভাঙচুরে অংশ নেননি। যাদের জমি, তাঁরাই শুধু সেই পুরোনো দেয়াল ভেঙেছেন।’
এদিকে এই ঘটনায় পর গতকাল রাত থেকেই মন্দিরের সামনে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। আজ দুপুরে ডিএমপি ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘এর আগে তিনটি মামলা হয়েছে। তবে সেগুলো আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এখনো রিট করার সুযোগ আছে। তাই শফিউল্লাহ চাইলেই ইচ্ছেমতো এই জায়গা দখলের জন্য ভাঙচুর করতে পারেন না। ওই মন্দিরের গলির মুখে টিনশেডের একটি দোকান ছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষের মামলার মুখে যা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। স্থানীয় শফিউল্লাহর লোকজন গতকাল রাতে সেখানে একটি দেয়াল ভেঙে জায়গাটা দখলের চেষ্টা করেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে বলেছেন। আজ (শুক্রবার) সেখানে কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে না। তবুও নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
শাহ ইফতেখার আহমেদ আরও জানান, এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে শফিউল্লাহ এবং তাঁর ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রুপানুগা গৌড় দাস বলেন, ‘যে তিনটি মামলা হয়েছে, সেগুলো ১৪৫ ধারার মামলা। সেগুলো মন্দির এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য দায়ের করা হয়েছে। সেগুলো খারিজ মানে তো মন্দিরের জায়গা দখল করা যাবে—বিষয়টি এমন নয়।’
পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকার লালমোহন সাহ্ স্ট্রিটে অবস্থিত রাধাকান্ত জিউ মন্দিরের পাশের একটি অংশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মন্দিরের দুজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই হামলা হয়। হামলায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মূল মন্দিরের সঙ্গে সংযুক্ত পুরোনো দেয়ালঘেরা একটি অংশে ভাঙচুর করা হয়েছে। দেয়ালের ভেতরের দিকে কোনো ব্যবহার উপযোগী আসবাবপত্র নেই। তবে পুরোনো টিন, জানালার অংশবিশেষসহ বিভিন্ন অব্যবহৃত জিনিসপত্র পড়ে আছে।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রুপানুগা গৌড় দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি নিয়ে স্থানীয় হাজি শফিউল্লাহ এবং তাঁর ছেলে ইসরাফ সুফি মন্দিরের বাম পাশের অংশে হামলা চালায়। হামলায় মন্দিরের দুজন আহত হন। হামলায় আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রুপানুগা গৌড় দাস বলেন, ‘যে জায়গায় হামলা করা হয়েছে সেটা মন্দিরের অংশ। সেটার পাশের যে অংশে হাজি শফিউল্লাহর বাড়ি, সেই তিন কাঠা এবং এর পাশের রাজ্জাক আলীর বাড়ির আড়াই কাঠা জমিও মন্দিরের জমি। তাঁরা এগুলো অবৈধভাবে দখল করে আছেন। মন্দির এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য এর আগে তিনটি মামলা করা হয়েছে।’
যে জায়গায় হাজি শফিউল্লাহর বাড়ি সেটার পুরোটাতেই ভাড়াটিয়ারা থাকেন। ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ ফরজুর বলেন, ‘ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। যে জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে, সেটা শফিউল্লাহর জমি বলেই শুনেছি। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেটা দখল করে আছে।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মন্দিরের পাশের বাড়ির টুনি আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতে শফিউল্লাহ জমি দখল করতে যান। পরে রাস্তার আশপাশ থেকে অনেকেই সেখানে ভিড় করেন। তবে সবাই ভাঙচুরে অংশ নেননি। যাদের জমি, তাঁরাই শুধু সেই পুরোনো দেয়াল ভেঙেছেন।’
এদিকে এই ঘটনায় পর গতকাল রাত থেকেই মন্দিরের সামনে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। আজ দুপুরে ডিএমপি ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘এর আগে তিনটি মামলা হয়েছে। তবে সেগুলো আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এখনো রিট করার সুযোগ আছে। তাই শফিউল্লাহ চাইলেই ইচ্ছেমতো এই জায়গা দখলের জন্য ভাঙচুর করতে পারেন না। ওই মন্দিরের গলির মুখে টিনশেডের একটি দোকান ছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষের মামলার মুখে যা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। স্থানীয় শফিউল্লাহর লোকজন গতকাল রাতে সেখানে একটি দেয়াল ভেঙে জায়গাটা দখলের চেষ্টা করেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে বলেছেন। আজ (শুক্রবার) সেখানে কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে না। তবুও নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
শাহ ইফতেখার আহমেদ আরও জানান, এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে শফিউল্লাহ এবং তাঁর ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রুপানুগা গৌড় দাস বলেন, ‘যে তিনটি মামলা হয়েছে, সেগুলো ১৪৫ ধারার মামলা। সেগুলো মন্দির এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য দায়ের করা হয়েছে। সেগুলো খারিজ মানে তো মন্দিরের জায়গা দখল করা যাবে—বিষয়টি এমন নয়।’
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে