Ajker Patrika

নির্বাচনে জেতার ৬ মাসের মাথায় ‘অঙ্গীকার ভাঙলেন’ জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি

জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২২, ১৮: ৫০
নির্বাচনে জেতার ৬ মাসের মাথায় ‘অঙ্গীকার ভাঙলেন’ জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি

নির্বাচনী অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ডিনের দায়িত্ব নিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার সময় ‘নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো পদ না নেওয়ার’ অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ট্রেজারারকে ফুলে দিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে যোগদান করেন ড. আবুল হোসেন।

৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১২ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিধিমোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন বলে জানানো হয়।

এদিকে শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২২-এ গত বছরের ৩ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের নীল দলের (একাংশ) প্যানেল শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহারে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেল নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আমরা আমাদের ইশতেহার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

প্রশাসনিক পদ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ইশতেহার ঘোষণার দিন আবুল হোসেন-লুৎফর রহমান প্যানেল জানায়, প্রশাসনিক কোনো দপ্তরের প্রধান, ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কমিটির নেতৃস্থানীয় পদ।

অথচ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেও দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মাথায় ডিনের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ড. আবুল হোসেন।

শিক্ষকদের স্বার্থ বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ পদ না নেওয়ার কথা ইশতেহারে বলা হলেও ২০১৪ সাল থেকে এখনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. আবুল হোসেন। অন্যদিকে একই প্যানেল থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। নির্বাচনের আগে কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হলেও জয়ী হওয়ার পর কমিটির শীর্ষ পদে থাকা ইশতেহার ভঙ্গ কি না, প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘ডিন, চেয়ারম্যান পদ প্রশাসনিক পদের মধ্যে পড়ে না। আমরা বলেছিলাম ভিসি-ট্রেজারারের এখতিয়ারভুক্ত দপ্তর বা কমিটির প্রশাসনিক পদ নিব না। ডিন-চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আলাদা নীতিমালা আছে। সে সময় আমরা কী বলেছিলাম, না বলেছিলাম তা তোমরা ভুল শুনেছ।’

প্রায় আট বছর ধরে একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ পদে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি কমিটিতে আছি। তবে কোনো আর্থিক সুবিধা পাই না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত