শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে শাহিনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কোদালপুর গাজীকান্দি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হেলাল গাজীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক আছেন।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আজ শনিবার সকালে নিহত শাহিনার বাবা বাদী হয়ে হেলাল গাজীসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
নিহত শাহিনা চাঁদপুরের হাইমচর থানার মোল্লাকান্দি গ্রামের জান্নাল পাজালের মেয়ে। তিন বছর আগে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের গাজীকান্দি গ্রামের সাজু গাজীর ছেলে হেলাল গাজীর (৩৫) সঙ্গে পারিবারিকভাবে শাহিনার বিয়ে হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, দেড় বছর ধরে কোদালপুর ইউনিয়নের দুর্গম পদ্মারচর দক্ষিণ কোদালপুর গাজীকান্দি গ্রামের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ ঘরে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেছেন শাহিনা। তাঁদের ঘরে এক বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শাহিনাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন হেলাল। টাকার জন্য তাঁকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন হেলাল। কিন্তু দরিদ্র ঘরের মেয়ে শাহিনা এই টাকা দিতে অক্ষম ছিলেন।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানালা দিয়ে ঘরে শাহিনার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। শাহিনার গোপন অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামী হেলাল গাজীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই ঘটনার পর থেকে পলাতক। মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানায় পুলিশ।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘সকালে শাহিনার ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো এবং জানালা ভাঙা অবস্থায় দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি শাহিনার রক্তাক্ত মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই শাহিনার স্বামী হেলাল গাজীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন।’
শাহিনার বাবা জান্নাল পাজাল বাদী হয়ে স্বামী হেলাল গাজী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরসহ পাঁচজনকে আসামি করে গোসাইরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। জান্নাল পাজাল বলেন, ‘আমি দরিদ্র বলে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিতে পারি নাই। এ কারণে তারা আমার মেয়েকে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলল। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
ওসি পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, ‘শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে শাহিনার মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। এই ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে স্বামী হেলাল গাজীসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর স্বামীসহ সব আসামি পালিয়ে গেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।’
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে শাহিনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কোদালপুর গাজীকান্দি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হেলাল গাজীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক আছেন।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আজ শনিবার সকালে নিহত শাহিনার বাবা বাদী হয়ে হেলাল গাজীসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
নিহত শাহিনা চাঁদপুরের হাইমচর থানার মোল্লাকান্দি গ্রামের জান্নাল পাজালের মেয়ে। তিন বছর আগে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের গাজীকান্দি গ্রামের সাজু গাজীর ছেলে হেলাল গাজীর (৩৫) সঙ্গে পারিবারিকভাবে শাহিনার বিয়ে হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, দেড় বছর ধরে কোদালপুর ইউনিয়নের দুর্গম পদ্মারচর দক্ষিণ কোদালপুর গাজীকান্দি গ্রামের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ ঘরে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেছেন শাহিনা। তাঁদের ঘরে এক বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শাহিনাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন হেলাল। টাকার জন্য তাঁকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন হেলাল। কিন্তু দরিদ্র ঘরের মেয়ে শাহিনা এই টাকা দিতে অক্ষম ছিলেন।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানালা দিয়ে ঘরে শাহিনার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। শাহিনার গোপন অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামী হেলাল গাজীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই ঘটনার পর থেকে পলাতক। মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানায় পুলিশ।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘সকালে শাহিনার ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো এবং জানালা ভাঙা অবস্থায় দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি শাহিনার রক্তাক্ত মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই শাহিনার স্বামী হেলাল গাজীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন।’
শাহিনার বাবা জান্নাল পাজাল বাদী হয়ে স্বামী হেলাল গাজী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরসহ পাঁচজনকে আসামি করে গোসাইরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। জান্নাল পাজাল বলেন, ‘আমি দরিদ্র বলে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিতে পারি নাই। এ কারণে তারা আমার মেয়েকে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলল। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
ওসি পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, ‘শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে শাহিনার মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। এই ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে স্বামী হেলাল গাজীসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর স্বামীসহ সব আসামি পালিয়ে গেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।’
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
৬ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে