সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ার গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে ছয়জন ঢাকার জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। দুজনের জনের শরীরের ৫০ শতাংশ ও দুজনের শরীরে ৪৫ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া একজনের শরীরের ২০ শতাংশ ও আরেকজনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাকি ৪ জন স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আজ রোববার সকালে আশুলিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তির মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির গলিতে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় কয়েকজনকে তাদের শরীরে আগুন নিয়ে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়।
দগ্ধরা হলেন—ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলাম (৪৫), হাশেম আলী (৪৫), মহসিন (২৭), সাদিকুল ইসলাম (২৮), পল্লব রায় (২৭), রাজিয়া বেগম (৩০), কমলা বেগম (৫০), সাবিনা বেগম (৪০), হাসি বেগম (২৭) ও মুসলিমা বেগম (২৬)। তারা সবাই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের মধ্যে পল্লব রায়, হাসি বেগম, রাজিয়া ও মুসলিমা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৬ জন জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার এস আই নুরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার মধ্যরাতে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ ছয়জনকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে আহত সাদিকুল ও সাবিনা বেগমের ৫০ শতাংশ, হাশেম ও নজরুল ইসলামের ৪৫ শতাংশ এবং কমলা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ ও মহসিনের শরীরে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
এ ঘটনার বিষয়ে ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণ করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় দোকানি জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ পাই। বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি মানুষ দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। এর মধ্যে এক দোকানদার আগুন নেভানোর জন্য আসছিল। দেখলাম দুম করে তাঁর শরীরে আগুন লেগে গেছে। তিনিও দৌড়ে বের হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
এ ঘটনার ভুক্তভোগী পল্লব রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে পাশের রুমে রান্নার কাজ শেষ হয়েছে। এ সময় গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হচ্ছে বলে তারা চাবি খুলে সিলিন্ডার বারান্দায় নিয়ে এসে আশপাশে ডাকাডাকি করে। এ সময় আমরাসহ কয়েকজন এগিয়ে গেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আমিসহ কয়েকজন পুড়ে যাই। আমার বাম পায়ের পাতায় কিছুটা পুড়ে গেছে। এখানকার একটা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় এসেছি।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়াটিয়া আনিসুর রহমানের ঘর থেকে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। তাঁর স্ত্রী হাসি বেগম দগ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে ভাড়াটিয়া প্রতিবেশীরাও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন।’
সাভারের আশুলিয়ার গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে ছয়জন ঢাকার জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। দুজনের জনের শরীরের ৫০ শতাংশ ও দুজনের শরীরে ৪৫ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া একজনের শরীরের ২০ শতাংশ ও আরেকজনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাকি ৪ জন স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আজ রোববার সকালে আশুলিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তির মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির গলিতে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় কয়েকজনকে তাদের শরীরে আগুন নিয়ে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়।
দগ্ধরা হলেন—ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলাম (৪৫), হাশেম আলী (৪৫), মহসিন (২৭), সাদিকুল ইসলাম (২৮), পল্লব রায় (২৭), রাজিয়া বেগম (৩০), কমলা বেগম (৫০), সাবিনা বেগম (৪০), হাসি বেগম (২৭) ও মুসলিমা বেগম (২৬)। তারা সবাই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের মধ্যে পল্লব রায়, হাসি বেগম, রাজিয়া ও মুসলিমা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৬ জন জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার এস আই নুরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার মধ্যরাতে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ ছয়জনকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে আহত সাদিকুল ও সাবিনা বেগমের ৫০ শতাংশ, হাশেম ও নজরুল ইসলামের ৪৫ শতাংশ এবং কমলা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ ও মহসিনের শরীরে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
এ ঘটনার বিষয়ে ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণ করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় দোকানি জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ পাই। বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি মানুষ দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। এর মধ্যে এক দোকানদার আগুন নেভানোর জন্য আসছিল। দেখলাম দুম করে তাঁর শরীরে আগুন লেগে গেছে। তিনিও দৌড়ে বের হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
এ ঘটনার ভুক্তভোগী পল্লব রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে পাশের রুমে রান্নার কাজ শেষ হয়েছে। এ সময় গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হচ্ছে বলে তারা চাবি খুলে সিলিন্ডার বারান্দায় নিয়ে এসে আশপাশে ডাকাডাকি করে। এ সময় আমরাসহ কয়েকজন এগিয়ে গেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আমিসহ কয়েকজন পুড়ে যাই। আমার বাম পায়ের পাতায় কিছুটা পুড়ে গেছে। এখানকার একটা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় এসেছি।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়াটিয়া আনিসুর রহমানের ঘর থেকে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। তাঁর স্ত্রী হাসি বেগম দগ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে ভাড়াটিয়া প্রতিবেশীরাও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন।’
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
২০ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
৪১ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে