নিজস্ব প্রতিবেদক ও মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশে এক সময়ে নবজাতকের মৃত্যুর হার হাজারের শতকের কাছাকাছি থাকলেও বর্তমানে ৩০ জন। এই সংখ্যা আরও কমাতে দেশের ৫০টি জেলায় চালু করা হয়েছে বিশেষায়িত স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট (স্ক্যানু)। এর মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের স্ক্যানু উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এখনো হাজারে ৩০ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু এসডিজি অর্জন করতে হলে এটি ১২ জনে নামিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্ক্যানু কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে স্ক্যানু উদ্বোধন করলাম। যারা আমাদেরকে স্ক্যানু দিয়েছে, তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ইউনিসেফ, ইউএসএআইডি, সেভ দা চিলড্রেন আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। আমরা ৬৪ জেলার মধ্যে ৫০ টিতে স্ক্যানু স্থাপনে সক্ষম হয়েছি। আশা করি খুব দ্রুতই বাকিগুলোতে স্থাপন হয় যাবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা কালীন সময়ে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দেশের সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিটটি মূলত আইসিইউর মতো কাজ করে। সেখানে শিশুদের যেন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়, এটি আমরা নিশ্চিত করব। একজন নবজাতক শিশু ওই সময়টাতে কথা বলতে পারে না। তারা নির্ভর করে অনেকটা মা আর পরিবেশের ওপর। এখন যেহেতু স্ক্যানু সিস্টেম থাকছে, সেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে, যে কারণে শিশু মৃত্যুর শঙ্কা কমে যায়।’
নামকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘স্ক্যানুকে আমরা শেখ রাসেলের নামে উৎসর্গ করলাম। সারা দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই রাসেলের নামে স্ক্যানুর নামকরণ করা হবে। এর মাধ্যমে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর মধ্যে যেখানে যেই অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটি ব্যবস্থা করব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সরকারের এসডিজি অর্জনে এই স্ক্যানু কাজ করবে। তবে, এটা ঠিক যে যে কোনো কিছু উদ্বোধনও শুরু করা সহজ, কিন্তু সেটা ধরে রাখা কঠিন। আমরা চেষ্টা করব স্ক্যানুটা যেন হারিয়ে না যায়, যন্ত্রপাতি যেন নষ্ট হয়ে না পড়ে থাকে।
স্ক্যানু চালুর ফলে ঢাকামুখী রোগীদের ভিড় কমাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আবারও চাপ বেড়ে যাবে। আমরা অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করব যেন সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রমটি চলমান থাকে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘নবজাতকের সেবায় স্ক্যানু দারুণ ভূমিকা রাখবে। আমরা দেখি যে, দেশে প্রতি এক হাজার নবজাতকের মধ্যে ২৮ দিনের মধ্যে ১৮ শতাংশই মারা যায়। ১৮ শতাংশ ২ থেকে ৮ দিনের মধ্যে মারা যায়।’
ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ৫০টি হাসপাতালে স্ক্যানু চালু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১৪টি জেলায় নেই, দ্রুত আশা করছি বাকিগুলোতেও দ্রুত চালু হয়ে যাবে। স্ক্যানুর চেয়ে মাদার স্ক্যানুটাও জরুরি, শুধু স্ক্যানু নয়। মাদার স্ক্যানুতে মায়ের সঙ্গে থাকবে শিশু। এতে শিশু সুরক্ষিত থাকবে, নার্স কম লাগবে, চিকিৎসক কম লাগবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।
দেশে এক সময়ে নবজাতকের মৃত্যুর হার হাজারের শতকের কাছাকাছি থাকলেও বর্তমানে ৩০ জন। এই সংখ্যা আরও কমাতে দেশের ৫০টি জেলায় চালু করা হয়েছে বিশেষায়িত স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট (স্ক্যানু)। এর মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের স্ক্যানু উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এখনো হাজারে ৩০ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু এসডিজি অর্জন করতে হলে এটি ১২ জনে নামিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্ক্যানু কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে স্ক্যানু উদ্বোধন করলাম। যারা আমাদেরকে স্ক্যানু দিয়েছে, তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ইউনিসেফ, ইউএসএআইডি, সেভ দা চিলড্রেন আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। আমরা ৬৪ জেলার মধ্যে ৫০ টিতে স্ক্যানু স্থাপনে সক্ষম হয়েছি। আশা করি খুব দ্রুতই বাকিগুলোতে স্থাপন হয় যাবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা কালীন সময়ে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দেশের সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিটটি মূলত আইসিইউর মতো কাজ করে। সেখানে শিশুদের যেন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়, এটি আমরা নিশ্চিত করব। একজন নবজাতক শিশু ওই সময়টাতে কথা বলতে পারে না। তারা নির্ভর করে অনেকটা মা আর পরিবেশের ওপর। এখন যেহেতু স্ক্যানু সিস্টেম থাকছে, সেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে, যে কারণে শিশু মৃত্যুর শঙ্কা কমে যায়।’
নামকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘স্ক্যানুকে আমরা শেখ রাসেলের নামে উৎসর্গ করলাম। সারা দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই রাসেলের নামে স্ক্যানুর নামকরণ করা হবে। এর মাধ্যমে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর মধ্যে যেখানে যেই অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটি ব্যবস্থা করব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সরকারের এসডিজি অর্জনে এই স্ক্যানু কাজ করবে। তবে, এটা ঠিক যে যে কোনো কিছু উদ্বোধনও শুরু করা সহজ, কিন্তু সেটা ধরে রাখা কঠিন। আমরা চেষ্টা করব স্ক্যানুটা যেন হারিয়ে না যায়, যন্ত্রপাতি যেন নষ্ট হয়ে না পড়ে থাকে।
স্ক্যানু চালুর ফলে ঢাকামুখী রোগীদের ভিড় কমাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আবারও চাপ বেড়ে যাবে। আমরা অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করব যেন সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রমটি চলমান থাকে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘নবজাতকের সেবায় স্ক্যানু দারুণ ভূমিকা রাখবে। আমরা দেখি যে, দেশে প্রতি এক হাজার নবজাতকের মধ্যে ২৮ দিনের মধ্যে ১৮ শতাংশই মারা যায়। ১৮ শতাংশ ২ থেকে ৮ দিনের মধ্যে মারা যায়।’
ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ৫০টি হাসপাতালে স্ক্যানু চালু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১৪টি জেলায় নেই, দ্রুত আশা করছি বাকিগুলোতেও দ্রুত চালু হয়ে যাবে। স্ক্যানুর চেয়ে মাদার স্ক্যানুটাও জরুরি, শুধু স্ক্যানু নয়। মাদার স্ক্যানুতে মায়ের সঙ্গে থাকবে শিশু। এতে শিশু সুরক্ষিত থাকবে, নার্স কম লাগবে, চিকিৎসক কম লাগবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
৪ ঘণ্টা আগে