Ajker Patrika

বড় মার্কেটের পোশাকের দোকানে ক্রেতা নেই

  • নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া মার্কেট প্রায় ক্রেতাশূন্য।
  • মূল্যছাড় ও নানা অফার দিলেও ক্রেতারা আসছেন না।
  • মহল্লার পোশাকের দোকানেও বেচাকেনা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, ০৮: ১৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঈদ মানে আনন্দ, কেনাকাটার ধুম। প্রতিটি বড় উৎসবে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় থাকে রাজধানীর বড় মার্কেটের পোশাকের দোকানগুলোতে। যদিও ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় বেচাকেনা কম হয়; তবে এবারের কোরবানির ঈদ যেন একেবারে ভিন্নরূপে এসেছে।

কোরবানির ঈদের বাজারে ভালো ব্যবসার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন দোকানিরা, সেটি এবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট ও নিউ বেইলি রোডের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। পাড়া-মহল্লার পোশাকের দোকানগুলোতেও তেমন বেচাকেনা নেই।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কেনাকাটার অন্যতম গন্তব্য নিউমার্কেট এলাকা। গতকাল বেলা ১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, নির্ধারিত মূল্যের দোকানগুলোয় মূল্যছাড় ও নানা অফার দিয়ে ক্রেতা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। সাইয়ান ফ্যাব্রিকস বুটিকসের দোকানি বলেন, সকাল ১০টায় দোকান খুলেছেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও কিছুই বিক্রি করতে পারেননি।

শুজ ওয়ার্ল্ডের বিক্রয়কর্মী মো. সোলাইমান খান হতাশা প্রকাশ করে নিজেদের বিক্রয় খাতা দেখিয়ে বলেন, ‘এই দেখেন, একটা কিছুও বিক্রি করি নাই। ঈদের মধ্যে পার্টির অনেক চাপ রয়েছে। বিশেষ ছাড় দিচ্ছি, তা-ও বিক্রি হচ্ছে না।’ আরেক দোকানি মোহাম্মদ সজিব জানান, আগে ঈদের সময় প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতেন, এবার ২০ হাজার টাকাও হচ্ছে না। বিকেলে সামান্য কিছু বেচাকেনা হলেও সারা দিন অলস সময় পার করতে হয়।

একই অবস্থা দেখা গেছে চাঁদনী চক, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটে। বাহারি কালেকশন থাকা সত্ত্বেও দোকানিরা বলছেন, সে অনুযায়ী ক্রেতা মিলছে না। কাদের আর্কেড মার্কেটের দোকানি সাবের আলী গালে হাত দিয়ে বসে ছিলেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘কোনো দিন বিক্রি না করে বাড়ি ফিরি নাই। এখন এমন দিন যাচ্ছে, বউনি না করেও বাড়ি ফিরছি। যা চাই, ক্রেতারা তার অর্ধেক দামও বলেন না। যাঁদের টাকা আছে, তাঁরা চলে যাচ্ছেন অনলাইন বা দামি শপিং মলে।’

আলাপন প্লাজা, মিনিতা প্লাজা ও নিউ বেইলি রোডের বিভিন্ন মার্কেটেও একই চিত্র। দোকানিরা অলস সময় পার করছিলেন মোবাইল ফোন ঘেঁটে কিংবা গল্প করে। ব্র্যান্ড বা নন-ব্র্যান্ডের বিভিন্ন দোকানে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড় দিলেও বিক্রি বাড়ছে না। দুপুর পার হলেও অনেক দোকানি বউনি করেননি। আজিজ সুপার মার্কেটে ১৭ বছর ধরে ব্যবসা করছেন রাসেল। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের খবর কেউ নেয় না। সবাই আসে ভ্যাট কেন দিচ্ছি না, সেটা জানতে। কিন্তু কেন আমরা ব্যবসা করতে পারছি না, সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে না।’

এই কঠিন সময়েও ব্যতিক্রম দেখা গেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। নিউমার্কেট, চাঁদনী চক ও গাউছিয়া মার্কেটের আশপাশের ফুটপাতের দোকানগুলোয় তুলনামূলক ভিড় বেশি। পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের পাশের ফুটপাতে এসেছিলেন রাজধানীর জুরাইনের রাবেয়া। তিনি বলেন, ‘এখন সবকিছুর যা দাম, কিছুই কিনতে পারছি না। বাধ্য হয়ে ফুটপাত থেকে কিনছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশ

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

আলিপুরদুয়ার থেকে মোদির ‘মিশন বেঙ্গল’, নজর বাংলাদেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত