নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশে আজ ১৫ হাজার ৫৬১ জন নারী পুলিশ শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি জনবান্ধব পুলিশিং, সেবা ও আস্থার এক সম্মিলিত উচ্চারণ।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নারী পুলিশের গৌরবময় যাত্রা ও অর্জন ১৯৭৪-২০২২ শীর্ষক বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি। বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
পুলিশপ্রধান বলেন, নারীর সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে এবং নারী-শিশুর নিরাপত্তাবোধ তৈরিসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দেশের উন্নয়নে নারীদের সমান অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের আবশ্যকতা উপলব্ধি করেই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম ১৪ জন নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে এক নবযাত্রার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে পুলিশে নারী সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, যা বর্তমানে মোট পুলিশ সদস্যের ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
আইজিপি বলেন, নারীর সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে এবং নারী-শিশুর নিরাপত্তাবোধ তৈরিসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে প্রথম মুন্সিগঞ্জ জেলায় একজন নারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করেন। ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে রাঙামাটি, চাঁদপুর, নরসিংদী, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় নারী পুলিশ সুপার পদায়িত হয়েছিলেন। বর্তমানে দুটি জেলায় (নড়াইল ও গোপালগঞ্জ) নারী পুলিশ সুপার কর্মরত আছেন।’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) ২০০৮ সালের ২১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক পদযাত্রা শুরু করে। নারী পুলিশের দক্ষতা ও পারদর্শিতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়ায় সবাইকে একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্তির মাধ্যমে পেশাদারিত্ব অর্জন ও নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্বের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)। আজ এই বার্ষিক সম্মেলনে প্রদর্শিত ডকুমেন্টারিতে বিপিডব্লিউএন ও বাংলাদেশের নারী পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে যে চিত্র তুলে ধরেছে, তা আমাদের গর্বিত করেছে।’
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নারী পর্যায়ের সব পুলিশ সদস্যককে ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং’ অনলাইন মডিউল কার্যকর হলে পুলিশ সদস্যদের SDG-এর অন্যতম লক্ষ্য জেন্ডার Parity ও সচেতনতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি আশা করছি। বাংলাদেশ পুলিশের জেন্ডার সচেতনতা নিয়ে সর্বপ্রথম এ ধরনের উদ্যোগের জন্য আমি বিপিডব্লিউএনকে সাধুবাদ জানাই। এই প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সংবেদনশীল সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।’
দুই দিনব্যাপী বিপিডব্লিউএনের বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলন-২০২২-এ বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, ড্রেস রুলস ও ক্যারিয়ার প্ল্যান; সাইবার অপরাধ: কেস অ্যানালাইসিস নারীর জন্য সচেতনতা সৃষ্টি, সংবেদনশীল সেবা প্রদান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার উন্নয়ন; মাঠ পর্যায়ের পুলিশিং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়; নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও রূপকল্প ২০৪১; নারীর ক্ষমতায়নে প্রাইভেট ও পাবলিক ওনারশিপ এবং Women Empowerment Perspective Bangladesh Police; জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী পুলিশের অবদান ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় করণীয়; স্বাস্থ্যসচেতনতা ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হবে।
বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রোটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশে আজ ১৫ হাজার ৫৬১ জন নারী পুলিশ শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি জনবান্ধব পুলিশিং, সেবা ও আস্থার এক সম্মিলিত উচ্চারণ।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নারী পুলিশের গৌরবময় যাত্রা ও অর্জন ১৯৭৪-২০২২ শীর্ষক বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি। বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
পুলিশপ্রধান বলেন, নারীর সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে এবং নারী-শিশুর নিরাপত্তাবোধ তৈরিসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দেশের উন্নয়নে নারীদের সমান অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের আবশ্যকতা উপলব্ধি করেই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম ১৪ জন নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে এক নবযাত্রার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে পুলিশে নারী সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, যা বর্তমানে মোট পুলিশ সদস্যের ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
আইজিপি বলেন, নারীর সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে এবং নারী-শিশুর নিরাপত্তাবোধ তৈরিসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে প্রথম মুন্সিগঞ্জ জেলায় একজন নারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করেন। ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে রাঙামাটি, চাঁদপুর, নরসিংদী, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় নারী পুলিশ সুপার পদায়িত হয়েছিলেন। বর্তমানে দুটি জেলায় (নড়াইল ও গোপালগঞ্জ) নারী পুলিশ সুপার কর্মরত আছেন।’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) ২০০৮ সালের ২১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক পদযাত্রা শুরু করে। নারী পুলিশের দক্ষতা ও পারদর্শিতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়ায় সবাইকে একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্তির মাধ্যমে পেশাদারিত্ব অর্জন ও নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্বের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)। আজ এই বার্ষিক সম্মেলনে প্রদর্শিত ডকুমেন্টারিতে বিপিডব্লিউএন ও বাংলাদেশের নারী পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে যে চিত্র তুলে ধরেছে, তা আমাদের গর্বিত করেছে।’
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নারী পর্যায়ের সব পুলিশ সদস্যককে ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং’ অনলাইন মডিউল কার্যকর হলে পুলিশ সদস্যদের SDG-এর অন্যতম লক্ষ্য জেন্ডার Parity ও সচেতনতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি আশা করছি। বাংলাদেশ পুলিশের জেন্ডার সচেতনতা নিয়ে সর্বপ্রথম এ ধরনের উদ্যোগের জন্য আমি বিপিডব্লিউএনকে সাধুবাদ জানাই। এই প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সংবেদনশীল সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।’
দুই দিনব্যাপী বিপিডব্লিউএনের বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলন-২০২২-এ বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, ড্রেস রুলস ও ক্যারিয়ার প্ল্যান; সাইবার অপরাধ: কেস অ্যানালাইসিস নারীর জন্য সচেতনতা সৃষ্টি, সংবেদনশীল সেবা প্রদান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার উন্নয়ন; মাঠ পর্যায়ের পুলিশিং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়; নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও রূপকল্প ২০৪১; নারীর ক্ষমতায়নে প্রাইভেট ও পাবলিক ওনারশিপ এবং Women Empowerment Perspective Bangladesh Police; জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী পুলিশের অবদান ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় করণীয়; স্বাস্থ্যসচেতনতা ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হবে।
বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রোটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার শালদীঘা হাওরে নৌকাডুবিতে আইয়ান (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আইয়ান জামালগঞ্জ উপজেলার আছানপুর গ্রামের মো. সামায়ূন মিয়ার ছেলে।
৭ মিনিট আগেদেশে ক্যানসারের গবেষণা, চিকিৎসা ও জনসচেতনতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মিলে বাংলাদেশ ক্যানসার কনসোর্টিয়াম (বিসিসি) নামে একটি সংগঠন গঠন করেছেন। সম্প্রতি আগামী দুই বছরের জন্য সংগঠনটির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছে।
১৮ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের পিটুনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রদল নেতা সুলতান বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে আজ মঙ্গলবার সকালে সুলতান বাপ্পীকে নিয়ে পরিবারের লোকজন ঢাকায় গিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন ভেঙেছেন ২ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় ৩৭ ঘণ্টা পর সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে অনশন ভাঙেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে