অনলাইন ডেস্ক
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ। এদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর সংখ্যাই বেশি। স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধীরা আশঙ্কাজনক হারে পিছিয়ে আছে। প্রতিবন্ধীদের ৪০ শতাংশ স্কুলে যেতে পারছে আর মাত্র ২৭ শতাংশ অর্থনৈতিক কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। তবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এসব প্রতিবন্ধীরা দেশের সম্পদ হয়ে উঠবেন। এইজন্য দরকার সরকারসহ সমাজের অন্যান্য অংশীজনদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে ভাদুনের হলিক্রস পেস্টোরাল অ্যান্ড রিট্রিট সেন্টারে আয়োজিত জাতীয় প্রতিবন্ধী সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কারিতাস বাংলাদেশের এসডিডিবি প্রকল্পের অধীনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে সারা দেশের ২৪টি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘একসময় প্রতিবন্ধীদের তাদের পরিবার সবার সামনে লজ্জায় আসতে দিতেন না। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন প্রতিবন্ধীরা সবার সামনে এসে তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন। তাদেরও অনেক জ্ঞান ও বুদ্ধি রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকের পড়াশোনার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের সবাইকে যদি আমরা প্রয়োজনীয় সুযোগ দিতে পারি তাহলে তারা আসলেই দেশের সম্পদ হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ধর্ম প্রদেশের থিউটেনিয়াস গমেজ বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে সুন্দর কিছু করার জন্য সুন্দর একটি জীবন নিয়ে আসি। সেবার মাধ্যমে আমরা যেন আমাদের বিশেষ ভাই-বোনদের আশীর্বাদ পাই। আমরা যেন সেবার মাধ্যমে তাদের অন্তরের সুন্দর বিষয়গুলো খেয়াল রাখি। তাহলে তারা আমাদের জন্য আশীর্বাদই আমরাও তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠব।’
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কারিতাস বাংলাদেশের পরিচালক কর্মসূচি দাউদ জীবন দাশ বলেন, ‘কারিতাস বাংলাদেশ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করে আসছে। সমাজের মূলধারার যেন আমরা আমাদের এসব ভাই-বোনদের সঙ্গে যুক্ত করতে সেই লক্ষ্যে আমরা সরকারসহ সবার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই কারিতাসের ৮টি অঞ্চলের অধীনে দেশের ২৪টি ইউনিয়নে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৬,৩৭৮ জন ব্যক্তি সরাসরি বিভিন্ন সেবা পেয়ে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন।’
সম্মেলনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের দ্বারা গঠিত বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে কারিতাস জার্মানির প্রতিনিধি অ্যাঞ্জেলা গার্ডিনার বলেন, ‘কারিতাস বাংলাদেশ ও কারিতাস জার্মানির এই উদ্যোগ আপনাদের দ্বারাই পরিচালিত হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের উদ্যোগটি অনেক সফলতা অর্জন করেছে। আপনারা যেই পর্যায়ে কাজ করছেন শুধু নিজের ক্লাব না পাশাপাশি অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গেও আপনারা একসঙ্গে অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের এই কাজের ফলে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ মানুষেরা একসঙ্গে সবার সঙ্গে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, হলিক্রস পেস্টোরাল অ্যান্ড রিট্রিট সেন্টারের পরিচালক জেমস ক্রুজ সিএসসি, কারিতাস ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সৌরভ রোজারিও, গাজীপুর কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর মিঞা, কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পের কর্মসূচি কর্মকর্তা বিনয় বিনয় রড্রিক্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ। এদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর সংখ্যাই বেশি। স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধীরা আশঙ্কাজনক হারে পিছিয়ে আছে। প্রতিবন্ধীদের ৪০ শতাংশ স্কুলে যেতে পারছে আর মাত্র ২৭ শতাংশ অর্থনৈতিক কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। তবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এসব প্রতিবন্ধীরা দেশের সম্পদ হয়ে উঠবেন। এইজন্য দরকার সরকারসহ সমাজের অন্যান্য অংশীজনদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে ভাদুনের হলিক্রস পেস্টোরাল অ্যান্ড রিট্রিট সেন্টারে আয়োজিত জাতীয় প্রতিবন্ধী সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কারিতাস বাংলাদেশের এসডিডিবি প্রকল্পের অধীনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে সারা দেশের ২৪টি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘একসময় প্রতিবন্ধীদের তাদের পরিবার সবার সামনে লজ্জায় আসতে দিতেন না। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন প্রতিবন্ধীরা সবার সামনে এসে তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন। তাদেরও অনেক জ্ঞান ও বুদ্ধি রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকের পড়াশোনার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের সবাইকে যদি আমরা প্রয়োজনীয় সুযোগ দিতে পারি তাহলে তারা আসলেই দেশের সম্পদ হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ধর্ম প্রদেশের থিউটেনিয়াস গমেজ বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে সুন্দর কিছু করার জন্য সুন্দর একটি জীবন নিয়ে আসি। সেবার মাধ্যমে আমরা যেন আমাদের বিশেষ ভাই-বোনদের আশীর্বাদ পাই। আমরা যেন সেবার মাধ্যমে তাদের অন্তরের সুন্দর বিষয়গুলো খেয়াল রাখি। তাহলে তারা আমাদের জন্য আশীর্বাদই আমরাও তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠব।’
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কারিতাস বাংলাদেশের পরিচালক কর্মসূচি দাউদ জীবন দাশ বলেন, ‘কারিতাস বাংলাদেশ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করে আসছে। সমাজের মূলধারার যেন আমরা আমাদের এসব ভাই-বোনদের সঙ্গে যুক্ত করতে সেই লক্ষ্যে আমরা সরকারসহ সবার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই কারিতাসের ৮টি অঞ্চলের অধীনে দেশের ২৪টি ইউনিয়নে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৬,৩৭৮ জন ব্যক্তি সরাসরি বিভিন্ন সেবা পেয়ে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন।’
সম্মেলনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের দ্বারা গঠিত বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে কারিতাস জার্মানির প্রতিনিধি অ্যাঞ্জেলা গার্ডিনার বলেন, ‘কারিতাস বাংলাদেশ ও কারিতাস জার্মানির এই উদ্যোগ আপনাদের দ্বারাই পরিচালিত হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের উদ্যোগটি অনেক সফলতা অর্জন করেছে। আপনারা যেই পর্যায়ে কাজ করছেন শুধু নিজের ক্লাব না পাশাপাশি অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গেও আপনারা একসঙ্গে অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের এই কাজের ফলে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ মানুষেরা একসঙ্গে সবার সঙ্গে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, হলিক্রস পেস্টোরাল অ্যান্ড রিট্রিট সেন্টারের পরিচালক জেমস ক্রুজ সিএসসি, কারিতাস ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সৌরভ রোজারিও, গাজীপুর কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর মিঞা, কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পের কর্মসূচি কর্মকর্তা বিনয় বিনয় রড্রিক্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
৫ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৮ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৪১ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে