Ajker Patrika

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন স্থগিত করায় ক্ষোভ 

নরসিংদী প্রতিনিধি
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন স্থগিত করায় ক্ষোভ 

লিখিতভাবে কোনো কারণ জানানো ছাড়াই নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন স্থগিত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রার্থীদের অভিযোগ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলতাফ হোসেন মৌখিকভাবে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে দত্তেরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম রাতে প্রার্থীদের ফোন করে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানান। তবে পুনরায় ভোটগ্রহণ কবে হবে তা জানানো হয়নি। এদিকে ভোট গ্রহণ বন্ধ করায় ভোটার ও প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচনের জন্য গত ২৪ অক্টোবর তফসিল ঘোষণা করা হয়। ২৬ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা করার দিন ধার্য করা হয়। গত ১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। ৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও ক্রমিক নম্বর বিতরণ করা হয় এবং ১৪ নভেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়। 

বিদ্যালয়ের নবম ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক হারুন ভূঁইয়া বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে ভোট দিতে গিয়ে দেখি ভোট হচ্ছে না। পরে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কারণ জানাননি।’ 

নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক শ্রেণির প্রার্থী রিপন মোল্লা বলেন, ‘গতকাল রাতে প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম খান মোবাইল ফোনে আমাদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান। তবে কেন, কী কারণে স্থগিত করা হয়েছে তা তিনি জানাননি। আজ সকাল ৯টার দিকে আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাদের আবেদন রাখেননি এবং নির্বাচন স্থগিত হওয়ার কোনো চিঠিও দেননি।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। কেন এমন হয়েছে তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানেন। তাঁর নির্দেশেই প্রার্থীদের ফোন করে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানিয়েছি।’ 

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম খান মৌখিকভাবে আমাকে জানান ১৪ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাই। পরে স্যারের মৌখিক নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হওয়ার বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানাই। তবে পরে এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।’ 

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনিয়া জিন্নাতকে একাধিক বার কল করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত