সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
জামিনে মুক্ত হয়েছেন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাবন্দী শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। আজ রোববার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বিকেলেই মুক্ত হন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের এ শিক্ষক।
কারামুক্ত হয়ে মুন্সিগঞ্জের স্কুল সংলগ্ন কোয়ার্টারে যান হৃদয় মণ্ডল। সেখান থেকে আজই ঢাকায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে হৃদয় মণ্ডল বলেন, ‘আমার প্রতি খুবই অন্যায় করা হয়েছে। একটা মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের একটা অংশ এর পেছনে উৎসাহ দিয়েছে। আমি আশা করব, এ রকম ঘটনা যেন আর কোনো শিক্ষকের সঙ্গে না ঘটে। মিডিয়া আমার মুক্তিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি তাদের কী বলে যে ধন্যবাদ দিব ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৩ ও ২৮ মার্চ আদালতে তাঁর জামিন আবেদন করলে দুবারই নামঞ্জুর করেন বিচারক।
হৃদয় মণ্ডলের আইনজীবী শাহিন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বলেন, হৃদয় মণ্ডল তাঁর ন্যায়সংগত অধিকার ফিরে পেয়েছেন।
জামিন আদেশের পর হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী ববিতা হাওলাদার বলেন, ‘জামিন মঞ্জুর হওয়ায় অনেক খুশি। আমার ছেলে-মেয়ে দুটি এ কয়দিন এতিমের মতো ছিল। আমরা মহামান্য আদালতের মাধ্যমে স্বামীর জামিন পেয়েছি। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা থেকে তিনি সসম্মানে মুক্তি পাবেন বলে আশা করি।’
ববিতা আরও বলেন, ‘আমি চাই আমার স্বামী সম্মানের সঙ্গে তাঁর স্কুলের ক্লাসে ফিরুক। আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।’
বাবাকে কাছে পেয়ে যারপরনাই খুশি হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বড় সন্তান শ্রেষ্ঠ মণ্ডল। সে বাবার বিদ্যালয়েরই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। শ্রেষ্ঠ বলে, ‘বাবার জামিন হয়েছে। আমরা আবার বাবাকে কাছে পাব। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি আবার স্কুলে ফিরতে চাই।’
মামলার জামিন শুনানি দেখতে পঞ্চগড় থেকে এসেছিলেন সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক এবং ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিল। দুইবার জামিন শুনানি হয়েছিল। তখন তাঁকে জামিন দেওয়া হয়নি। আজকে পঞ্চগড় থেকে এসেছি। খুব আশা নিয়ে। আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে।’
নাটোর থেকে এসেছিলেন মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, ‘অনেক দূর থেকে জামিন শুনানি দেখতে এসেছিলাম। জামিন হওয়ায় কষ্টটা সার্থক হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষককে মামলা এবং কারাগারে পাঠানোর পেছনে যারা আছে, প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
এর আগে গত ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের বিতর্ক হয়। এক শিক্ষার্থী ওই বিতর্কের ভিডিও ধারণ করেন। পরে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। পরের দিন সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জামিনে মুক্ত হয়েছেন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাবন্দী শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। আজ রোববার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বিকেলেই মুক্ত হন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের এ শিক্ষক।
কারামুক্ত হয়ে মুন্সিগঞ্জের স্কুল সংলগ্ন কোয়ার্টারে যান হৃদয় মণ্ডল। সেখান থেকে আজই ঢাকায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে হৃদয় মণ্ডল বলেন, ‘আমার প্রতি খুবই অন্যায় করা হয়েছে। একটা মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের একটা অংশ এর পেছনে উৎসাহ দিয়েছে। আমি আশা করব, এ রকম ঘটনা যেন আর কোনো শিক্ষকের সঙ্গে না ঘটে। মিডিয়া আমার মুক্তিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি তাদের কী বলে যে ধন্যবাদ দিব ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৩ ও ২৮ মার্চ আদালতে তাঁর জামিন আবেদন করলে দুবারই নামঞ্জুর করেন বিচারক।
হৃদয় মণ্ডলের আইনজীবী শাহিন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বলেন, হৃদয় মণ্ডল তাঁর ন্যায়সংগত অধিকার ফিরে পেয়েছেন।
জামিন আদেশের পর হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী ববিতা হাওলাদার বলেন, ‘জামিন মঞ্জুর হওয়ায় অনেক খুশি। আমার ছেলে-মেয়ে দুটি এ কয়দিন এতিমের মতো ছিল। আমরা মহামান্য আদালতের মাধ্যমে স্বামীর জামিন পেয়েছি। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা থেকে তিনি সসম্মানে মুক্তি পাবেন বলে আশা করি।’
ববিতা আরও বলেন, ‘আমি চাই আমার স্বামী সম্মানের সঙ্গে তাঁর স্কুলের ক্লাসে ফিরুক। আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।’
বাবাকে কাছে পেয়ে যারপরনাই খুশি হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বড় সন্তান শ্রেষ্ঠ মণ্ডল। সে বাবার বিদ্যালয়েরই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। শ্রেষ্ঠ বলে, ‘বাবার জামিন হয়েছে। আমরা আবার বাবাকে কাছে পাব। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি আবার স্কুলে ফিরতে চাই।’
মামলার জামিন শুনানি দেখতে পঞ্চগড় থেকে এসেছিলেন সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক এবং ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিল। দুইবার জামিন শুনানি হয়েছিল। তখন তাঁকে জামিন দেওয়া হয়নি। আজকে পঞ্চগড় থেকে এসেছি। খুব আশা নিয়ে। আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে।’
নাটোর থেকে এসেছিলেন মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, ‘অনেক দূর থেকে জামিন শুনানি দেখতে এসেছিলাম। জামিন হওয়ায় কষ্টটা সার্থক হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষককে মামলা এবং কারাগারে পাঠানোর পেছনে যারা আছে, প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
এর আগে গত ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের বিতর্ক হয়। এক শিক্ষার্থী ওই বিতর্কের ভিডিও ধারণ করেন। পরে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। পরের দিন সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৌলভীবাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানা সীমাবদ্ধতায় শিক্ষাব্যবস্থা বেহাল রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবের সংকটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নামকাওয়াস্তে। খাতাপত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখালেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
৪ ঘণ্টা আগেতিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সেচনালা সংস্কারের অজুহাত ও সরকার নির্ধারিত সেচমূল্য না জানার অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সেচ সমিতি এই বাড়তি টাকা আদায় করছে। এ ছাড়া পানি না পাওয়া ও অসময়ে অতিরিক্ত পানি পাওয়ার অভিযোগ...
৫ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। মঙ্গলবার রাতে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকার মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কয়েকটি রিকশা ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে গুঁড়িয়ে দেওয়া তিন রিকশার চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৮ ঘণ্টা আগে