নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে গৃহকর্মী আসমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা ছাড়াও পুলিশের ওপর হামলা এবং বাসাটিতে অগ্নিসংযোগ করে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলার বিষয়ে নিহতের ছেলে অভিযোগ করে বলেন, ‘তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ মামলা করানো হয়েছে।’
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।
গতকাল রোববার রাতে গৃহকর্মীর ছেলে, রামপুরা থানা-পুলিশ ও বাড়ির মালিকের গাড়িচালক বাদী হয়ে এই পৃথক তিনটি মামলা করেন। অপমৃত্যুর মামলা ছাড়া বাকি দুটি মামলাতেই ১ হাজার ২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অপমৃত্যুর মামলার বাদী হলেও নিহতের ছেলে আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পুলিশ জোর করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মাকে হত্যা করে বস্তার ভেতরে ভরে ভবনটির ছাদ থেকে নিচে ফেলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাকে ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে, মামলায় কী লেখা হয়েছে, তা জানি না। আমার মা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা নির্বাচনের পর আদালতে মামলা করব।’
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মামলা করার আগে আজিজুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি কী চান। তখন তিনি আমাদের বলেছেন, তদন্তে যা পাবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। আমরা তখন তাঁকে বলেছি, এখন অপমৃত্যুর মামলা হবে, হত্যা হয়ে থাকলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তা পাওয়া যাবে। তখন হত্যা মামলা হবে। আমরা তাঁকে জোর করিয়ে কিছুই করিনি।’
রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বাদী হয়ে যে মামলা করেন, সেই মামলার এজাহারে তিনি ৪৫টি গুলি এবং ১৬টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা এবং পুলিশ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গৃহকর্মী আসমা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যান এসআই কামরুল হাসান ও এসআই তওফিকা ইয়াসমিনসহ রামপুরা থানার একটি পুলিশের দল। বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁরা মানুষের জটলা দেখতে পান। মৃত গৃহকর্মীর সুরতহাল করতে গেলে পুলিশকে তারা বাধা দেয়। গুজব ছড়িয়ে সেখানে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ মানুষকে জড়ো করা হয়। এরপর সেখানে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ গোলাম মউলা, পরিদর্শক (অপারেশন) মোখলেছুর রহমান এবং রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ফোর্সও আনা হয়।
এ সময় ওসি উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। বাড়িটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে। নিচতলার দুটি কক্ষে রামপুরার ৬/৭ জন পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখা হয়। পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম মউলার পকেট থেকে তাঁর মোবাইলটি নিয়ে যায়। তিনটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা পুলিশের ওপর পুনরায় হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের নিরাপত্তা, জানমাল রক্ষাসহ পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৪৫টি গুলি ও ১৬টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে গৃহকর্মী আসমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা ছাড়াও পুলিশের ওপর হামলা এবং বাসাটিতে অগ্নিসংযোগ করে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলার বিষয়ে নিহতের ছেলে অভিযোগ করে বলেন, ‘তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ মামলা করানো হয়েছে।’
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।
গতকাল রোববার রাতে গৃহকর্মীর ছেলে, রামপুরা থানা-পুলিশ ও বাড়ির মালিকের গাড়িচালক বাদী হয়ে এই পৃথক তিনটি মামলা করেন। অপমৃত্যুর মামলা ছাড়া বাকি দুটি মামলাতেই ১ হাজার ২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অপমৃত্যুর মামলার বাদী হলেও নিহতের ছেলে আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পুলিশ জোর করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মাকে হত্যা করে বস্তার ভেতরে ভরে ভবনটির ছাদ থেকে নিচে ফেলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাকে ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে, মামলায় কী লেখা হয়েছে, তা জানি না। আমার মা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা নির্বাচনের পর আদালতে মামলা করব।’
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মামলা করার আগে আজিজুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি কী চান। তখন তিনি আমাদের বলেছেন, তদন্তে যা পাবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। আমরা তখন তাঁকে বলেছি, এখন অপমৃত্যুর মামলা হবে, হত্যা হয়ে থাকলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তা পাওয়া যাবে। তখন হত্যা মামলা হবে। আমরা তাঁকে জোর করিয়ে কিছুই করিনি।’
রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বাদী হয়ে যে মামলা করেন, সেই মামলার এজাহারে তিনি ৪৫টি গুলি এবং ১৬টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা এবং পুলিশ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গৃহকর্মী আসমা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যান এসআই কামরুল হাসান ও এসআই তওফিকা ইয়াসমিনসহ রামপুরা থানার একটি পুলিশের দল। বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁরা মানুষের জটলা দেখতে পান। মৃত গৃহকর্মীর সুরতহাল করতে গেলে পুলিশকে তারা বাধা দেয়। গুজব ছড়িয়ে সেখানে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ মানুষকে জড়ো করা হয়। এরপর সেখানে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ গোলাম মউলা, পরিদর্শক (অপারেশন) মোখলেছুর রহমান এবং রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ফোর্সও আনা হয়।
এ সময় ওসি উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। বাড়িটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে। নিচতলার দুটি কক্ষে রামপুরার ৬/৭ জন পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখা হয়। পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম মউলার পকেট থেকে তাঁর মোবাইলটি নিয়ে যায়। তিনটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা পুলিশের ওপর পুনরায় হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের নিরাপত্তা, জানমাল রক্ষাসহ পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৪৫টি গুলি ও ১৬টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
২৭ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
৪১ মিনিট আগেপুলিশ বলছে, দুটি লাশই বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যাত্রীর আসনে থাকা মরদেহের মুখ থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। গাড়ির সব দরজা খোলা ছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানায়নি তারা।
৪৪ মিনিট আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার বিকেলে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে