ফরিদপুর প্রতিনিধি
‘ভোররাত। সবার চোখেই ঘুম। হঠাৎ বিকট শব্দে চারদিকে চিৎকার। চেয়ে দেখি কেউ বাসের সিটের নিচে চাপা পড়ে আছে, কারও হাত-পা কেটে গেছে। কেউ বাসের ইঞ্জিনের ভেতরে ঢুকে গেছে। পরে শুনি আমাগো বাসের লাইনে এসে আরেকটি বাস এসে মেরে দিছে।’
এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেলেন ফরিদপুরে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত মারুফ হোসেন (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার তাড়াইন গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় যাচ্ছিলেন ইটভাটায় কাজ করতে। এ ঘটনায় পা ভেঙে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মারুফসহ আহত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উল্টা লেনে বাস চলে আসায় ঘটে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে ঝড়ে যায় পাঁচজনের প্রাণ। হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তাও একই কথা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও ২৭ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৭ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে ঢাকাগামী খাগড়াছড়ি পরিবহন ও সাতক্ষীরাগামী গ্রিন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হয় ৫ জন। তাঁরা হলেন—সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার তাড়ানিপুর গ্রামের মৃত সাফাত গাজীর ছেলে বক্কার গাজী (৫০), শ্রীফলকাঠি গ্রামের ইছা মোড়লের ছেলে বাবু মোড়ল (৪০), আবাদচন্ডীপুর গ্রামের আনসার মোড়লের ছেলে মহাসিন মোড়ল (৩৫), কালীগঞ্জের বাজারগ্রামের মনিরুল হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন (১৯) ও মাগুরা জেলা সদরের বড়পশ্চিমপাড়া এলাকার সিরাজ শেখের ছেলে পিকুল শেখ (২৬)। নিহতদের মধ্যে পিকুল শেখ গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের চালকের সহকারী ছিলেন এবং বাকিরা খাগড়াছরি পরিবহনের যাত্রী ছিলেন। এছাড়া আহতরা অধিকাংশ খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী ছিলেন। আহতদের মধ্যে কেউ আশঙ্কাজনক নেই বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাইকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও হাইওয়ে পুলিশের ভাষ্যমতে, গ্রিন এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী বাসটি তাঁর নির্ধারিত লেন ছেড়ে উল্টা লেনে চলে আসে। এতে দুটি বাসের সংঘর্ষ হয়ে সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে দুর্ঘটনাটি হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানানো হয়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় বাস কেটে অনেককেই বের করা হয় এবং পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৭ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
শরিফুল হোসেন নামের আহত এক যুবক বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। চিৎকার দিয়ে দেখি ঢাকা থেকে আসা পরিবহন (গ্রিন এক্সপ্রেস) আমাদের পরিবহনের সামনে মেরে দিয়েছে। ওই পরিবহন আমাদের সাইডে চলে এসেছিল।’ একই কথা বলেন আহত অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রিন এক্সপ্রেসটি প্রায় ৭০ থেকে ৮০ গজ দূর থেকে তাঁর লেন পরিবর্তন করে। তাঁর যাওয়ার কথা বাম পাশে কিন্তু ডানপাশের লেনে চলে আসে। ওই সময় খাগড়াছড়ি পরিবহণ তাঁর লেনেই ছিল। তখনই দুই বাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চালকের চোখে ঘুম ছিল। সুচিকিৎসা পেতে ভোগান্তি
দুটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়। সেখানে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বাকি ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদেরও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও বেলা একটা পর্যন্ত সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে আহত অনেকেই অভিযোগ করেন। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ও স্বজনেরা না আসায় এমন ভোগান্তির শিকার হন বলে জানিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন খাগড়াছরি পরিবহনের যাত্রী আমজাদ হোসেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন তারানিপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এখানে আনায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য কাগজে লিখে দিয়ে যাচ্ছে নার্সরা। কিন্তু আমাদের কাছেতো টাকা নেই এবং আমাদের আত্মীয়স্বজন কেউ এখনও আসেনি। এখন ওষুধ না আনায় ও পরীক্ষা-নিরিক্ষা না করায় ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছি না।’
যা বলছে প্রশাসন
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। এ সময় তাঁরা আহতদের খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসায় বিঘ্ন না ঘটানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নিহত পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে এবং আহত ১৭ জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদানও দেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি এবং চালক বা সহকারী কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এছাড়া তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘ভোররাত। সবার চোখেই ঘুম। হঠাৎ বিকট শব্দে চারদিকে চিৎকার। চেয়ে দেখি কেউ বাসের সিটের নিচে চাপা পড়ে আছে, কারও হাত-পা কেটে গেছে। কেউ বাসের ইঞ্জিনের ভেতরে ঢুকে গেছে। পরে শুনি আমাগো বাসের লাইনে এসে আরেকটি বাস এসে মেরে দিছে।’
এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেলেন ফরিদপুরে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত মারুফ হোসেন (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার তাড়াইন গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় যাচ্ছিলেন ইটভাটায় কাজ করতে। এ ঘটনায় পা ভেঙে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মারুফসহ আহত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উল্টা লেনে বাস চলে আসায় ঘটে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে ঝড়ে যায় পাঁচজনের প্রাণ। হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তাও একই কথা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও ২৭ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৭ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে ঢাকাগামী খাগড়াছড়ি পরিবহন ও সাতক্ষীরাগামী গ্রিন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হয় ৫ জন। তাঁরা হলেন—সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার তাড়ানিপুর গ্রামের মৃত সাফাত গাজীর ছেলে বক্কার গাজী (৫০), শ্রীফলকাঠি গ্রামের ইছা মোড়লের ছেলে বাবু মোড়ল (৪০), আবাদচন্ডীপুর গ্রামের আনসার মোড়লের ছেলে মহাসিন মোড়ল (৩৫), কালীগঞ্জের বাজারগ্রামের মনিরুল হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন (১৯) ও মাগুরা জেলা সদরের বড়পশ্চিমপাড়া এলাকার সিরাজ শেখের ছেলে পিকুল শেখ (২৬)। নিহতদের মধ্যে পিকুল শেখ গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের চালকের সহকারী ছিলেন এবং বাকিরা খাগড়াছরি পরিবহনের যাত্রী ছিলেন। এছাড়া আহতরা অধিকাংশ খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী ছিলেন। আহতদের মধ্যে কেউ আশঙ্কাজনক নেই বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাইকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও হাইওয়ে পুলিশের ভাষ্যমতে, গ্রিন এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী বাসটি তাঁর নির্ধারিত লেন ছেড়ে উল্টা লেনে চলে আসে। এতে দুটি বাসের সংঘর্ষ হয়ে সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে দুর্ঘটনাটি হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানানো হয়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় বাস কেটে অনেককেই বের করা হয় এবং পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৭ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
শরিফুল হোসেন নামের আহত এক যুবক বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। চিৎকার দিয়ে দেখি ঢাকা থেকে আসা পরিবহন (গ্রিন এক্সপ্রেস) আমাদের পরিবহনের সামনে মেরে দিয়েছে। ওই পরিবহন আমাদের সাইডে চলে এসেছিল।’ একই কথা বলেন আহত অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রিন এক্সপ্রেসটি প্রায় ৭০ থেকে ৮০ গজ দূর থেকে তাঁর লেন পরিবর্তন করে। তাঁর যাওয়ার কথা বাম পাশে কিন্তু ডানপাশের লেনে চলে আসে। ওই সময় খাগড়াছড়ি পরিবহণ তাঁর লেনেই ছিল। তখনই দুই বাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চালকের চোখে ঘুম ছিল। সুচিকিৎসা পেতে ভোগান্তি
দুটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়। সেখানে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বাকি ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদেরও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও বেলা একটা পর্যন্ত সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে আহত অনেকেই অভিযোগ করেন। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ও স্বজনেরা না আসায় এমন ভোগান্তির শিকার হন বলে জানিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন খাগড়াছরি পরিবহনের যাত্রী আমজাদ হোসেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন তারানিপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এখানে আনায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য কাগজে লিখে দিয়ে যাচ্ছে নার্সরা। কিন্তু আমাদের কাছেতো টাকা নেই এবং আমাদের আত্মীয়স্বজন কেউ এখনও আসেনি। এখন ওষুধ না আনায় ও পরীক্ষা-নিরিক্ষা না করায় ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছি না।’
যা বলছে প্রশাসন
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। এ সময় তাঁরা আহতদের খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসায় বিঘ্ন না ঘটানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নিহত পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে এবং আহত ১৭ জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদানও দেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি এবং চালক বা সহকারী কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এছাড়া তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে