Ajker Patrika

দাবি পূরণের আশ্বাসে গভীর রাতে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫০
রাত পৌনে ২টার দিকে হাসপাতালে ফিরেন আন্দোলনরত আহতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাত পৌনে ২টার দিকে হাসপাতালে ফিরেন আন্দোলনরত আহতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভরত জুলাই আন্দোলনে আহতরা সরকারের আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরে গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে চলে যান।

গতকাল রোববার সকাল থেকেই আহত ব্যক্তিরা আগারগাঁও ও শ্যামলীতে মিরপুর রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। সন্ধ্যার পর তাঁরা মিন্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করেন। রাতে শাহবাগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলে তাঁরা সেখানেই অবস্থান নেন। পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে চিৎকার ও হট্টগোলের কারণে তিনি প্রথমে কথা বলতে পারছিলেন না। পরে আন্দোলনকারীদের শান্ত করা হলে তিনি তাঁদের দাবিগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন।

সেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনাদের জন্য কোনো সরকার যদি কিছু করে, তাহলে এটা এই সরকারই করবে। আপনাদের লিখে দিচ্ছি, এই সরকার যদি না করে, তাহলে আর কোনো সরকারই করবে না।’

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা, পুনর্বাসন, সরকারি স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হোক। তাঁদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে:

-আহতদের বিনামূল্যে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

-পুনর্বাসনের জন্য সরকারি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।

-প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে পরিচয়পত্র ও রেশন কার্ড প্রদান করা।

-যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা।

-নারী যোদ্ধাদের বিশেষ রাষ্ট্রীয় ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা।

-বিনা মূল্যে বিমান, রেল ও বাসে চলাচলের সুবিধা প্রদান।

-রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।

আহতদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দিতে পারে নাই এটা সরকারের ব্যর্থতা। এই জন্য সরকারের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি দায়ী, সচিবরা দায়ী, আমলা দায়ী। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে আমরা সুচিকিৎসা দিতে পারি নাই, এই জন্য আমি নিজে ব্যথিত, খুবু কষ্ট পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আহতের পুনর্বাসন করার বিষয়টি একটি লেনদি প্রসেস (দীর্ঘ প্রক্রিয়া)। নানা জায়গায় তাঁদের কাগজ চেক করতে করতে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে গ্রুপ–উপগ্রুপ তৈরি হয়েছে। এখানে একটা দালাল শ্রেণি তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করতেছে। কেউ বলতেছে আমরা অরজিনিয়াল, আবার কেউ বলতেছে ওরা ভুয়া। এ ধরনের ঘটনার কারণে সরকার বিব্রত। আমরা অবিলম্বে যারা আহত, তাঁদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা করার দরকার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে। আপনাদের এই দাবি আমি সরকারের কাছে জানাচ্ছি।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর অহায়ত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা কিছু করতে পারি না। আপনারা যে চিকিৎসা পান না এটা সত্য। এর জন্য দায়ী সরকারের। সরকার ভালো মতো তদারকি করতে পারে নাই।’

গতকাল আন্দোলনের ফলে মিরপুর রোড অবরোধ থাকায় হাসপাতালগামী রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। গণপরিবহন না থাকায় রোগীরা দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে বাধ্য হন। বিশেষ করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, পঙ্গু হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালে আসা রোগীদের জন্য এটি ছিল চরম ভোগান্তির।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের অভিযোগ, সরকার তিন মাস আগে সুচিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা পাওয়া আন্দোলনকারী কবির হোসেন বলেন, ‘আমার চোখে গুলি লেগেছিল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে শুধু ড্রপ আর ব্যথার ওষুধ দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। আমার সুচিকিৎসা দরকার।’

একইভাবে, মো. দুলাল নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘তিন মাস আগে আমাদের চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ভালো চিকিৎসা পাইনি।’

দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আহতরা হাসপাতাল ফিরে যান। তবে দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে আবারও বিক্ষোভে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে নতুন বাস টার্মিনালে ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৪
ককটেল বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত
ককটেল বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের পৌর বাস টার্মিনালে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদারীপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার পৌর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে বাস টার্মিনালে দুর্বৃত্তরা পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তা ছাড়া, এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৮
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেনীর মহিপালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল পল্লী বিদ্যুৎসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে পল্লী বিদ্যুৎসংলগ্ন এলাকায় মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা ফেনী-চট্টগ্রাম সড়কে চলাচলরত রনি-রানা পরিবহনের একটি বাসে হঠাৎ কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মোজাম্মেল হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সড়কের পাশে গাড়িগুলো পার্ক করে চালকেরা বাড়িতে চলে যান। রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আকস্মিক আশপাশের মানুষের চিৎকারে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখি। পরে সবার চেষ্টায় পানি এনে আগুন নেভানো হয়। গাড়ির চালকের বসার স্থানসহ সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়েছে। আগুনে বাসের ভেতরে সামনের অংশ পুড়ে গেছে। এটি নাশকতা হতে পারে।’

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এটি নাশকতার অংশ কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে চলন্ত অটোরিকশায় আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৩২
অটোরিকশায় আগুন দুর্বৃত্তদের। ছবি: সংগৃহীত
অটোরিকশায় আগুন দুর্বৃত্তদের। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি চলন্ত অটোরিকশায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসের সামনে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 

জানা গেছে, জালকুড়ি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসের সামনে অজ্ঞাতনামা দুজন মোটরসাইকেল আরোহী একটি চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। সিএনজিচালকও বলতে পারেননি। আমরা তদন্ত করে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আয়নাঘর থেকে নির্বাচনী মাঠে ফেরা আমার নতুন জীবন’

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগ‌ঞ্জ উপ‌জেলার সোহাগী ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দলের এমপি প্রার্থী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগ‌ঞ্জ উপ‌জেলার সোহাগী ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দলের এমপি প্রার্থী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু বলেছেন, ‘যতবার এই দেশ স্বৈরাচারের কবলে পড়েছে, যতবার এই দেশের মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়েছে; একজন মানুষ মমতা দিয়ে এই দেশকে আগলে রেখেছেন—তিনি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমরা তাঁর দল করি। ১৭ বছর প্রবাসে থেকে যিনি তৃণমূলকে সংগঠিত করে এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আপনারা তাঁর দল করেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের দল করেন।’

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগ‌ঞ্জ উপ‌জেলার সোহাগী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাজেদ বাবু।

ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে মাজেদ বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে এসেছি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে মানুষকে আলো জ্বালাতে। দল আমার ওপর আস্থা রেখেছে। সেই আস্থার প্রতিদানস্বরূপ আমরা একটি ঝোড়ো বাতাসের মোমবাতি হতে চাই, যে মোমবাতি আস্তে আস্তে জ্বালিয়ে একটি শিক্ষিত মূল্যবোধের প্রজন্ম তৈরি করতে চাই।’

মাজেদ বাবু আরও বলেন, ‘আয়নাঘর থেকে নির্বাচনী মাঠে ফেরা আমার নতুন জীবন। মামলা, হামলা ও আয়নাঘরে নির্যাতিত হয়েও শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হইনি। রাজনীতি করে আমার নেওয়ার কিছু নেই। আমার লক্ষ্য একটি শিক্ষিত সমাজ গড়ে ঈশ্বরগঞ্জকে আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা।’

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনির সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত