Ajker Patrika

তুরাগে নেতার বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, বিচারের দাবি

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৬: ৫৯
তুরাগে নেতার বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, বিচারের দাবি

রাজধানীর তুরাগে কৃষক লীগ নেতার বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ বুধবার বেলা ১১টায় তুরাগের চণ্ডালভোগ বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড়ে গিয়ে মানববন্ধন করা হয়। এতে চার শতাধিক নারী, পুরুষ, বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 

জানা যায়, তুরাগের চণ্ডালভোগ এলাকার কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রিপন হোসেনের বাড়িতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান মোক্তার ও তাঁর সহযোগীরা। এতে কৃষক লীগের নেতা রিপন হোসেন (৩৫), তাঁর ছোট ভাই লিটন হোসেন (২৪), বন্ধু বিল্লাল হোসেন (২৮) ও বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিন (৪০) আহত হন। তাঁদের মধ্যে বিল্লাল হোসেনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার পরদিন তুরাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, হরিরামপুর ইউনিয়নে কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই নাই। সন্ত্রাসীর কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও। তুরাগের আঙিনায়, কোনো মাদক ব্যবসায়ীর ঠাঁই নাই।

মানববন্ধনে আহত বিল্লালের মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু ও এলাকাবাসীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করে তাঁর একমাত্র শিশু মেয়ে তাসমিয়া রিফা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাসমিয়া রিফা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমি বিচার চাই, আমি আইনের বিচার চাই। আমার বাবার ওপর যে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার চাই। অচিরেই তাদের কঠিন বিচার করা হোক।’

বিল্লাল হোসেনের মা নাজমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকার এমন কোনো মানুষ নাই যে আমার পোলারে ভালো ছাড়া খারাপ কইব। ওই পোলারে সন্ত্রাসী মোক্তাইরা, ফরহাদ, জয় মাইর‍্যা খুব খারাপ অবস্থা করছে। ওর অবস্থা এই ভালো এই খারাপ। আমি আমার পোলারে মারধর করার বিচার চাই।’ 

বিল্লাল হোসেনের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য মারধর করেছে। এ ঘটনায় কত দিন হইছে মামলা করছি। কিন্তু পুলিশ কী কারণে যেন একজন আসামিকেও ধরে নাই। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে উচ্চ লেভেলের লোক আছে। তাই পুলিশ ধরছে না।’ 

বিল্লাল হোসেনের বাবা রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোক্তাররা মসজিদের মিলাদ মাহফিলের নামে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করছিল। তখন বাধা দিলে তারা আমার ছেলের ওপর চাপাতি, ছুরি, রড, শাবল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা হামলায় আহত এস এম রিপন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা আমার বন্ধু বিল্লাল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। পরে আমরা ফেরাতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। এতে আমি, আমার ছোট ভাই ও এক ভাড়াটিয়া আহত হই। সেই সঙ্গে বাড়িতে থাকা নারীদের শ্লীলতাহানিও করেছে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দিনের ছেলে স্বপন আলী বলেন, ‘মারামারি-কোপাকুপি করা কোনো মানুষের নয়, পশুত্বের পরিচয়। যারা এটা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যারা এমন মারামারি-হানাহানি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’

স্বপন আলী আরও বলেন, ‘আমার বাবা উভয়কে বুঝিয়ে দিয়ে বলেছেন, তোমরা মারামারি-হানাহানি কোরো না। এমপি সাহেব বিদেশে আছেন। তিনি দেশে এলে বিচার করবেন।’

তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোক্তারের নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় তুরাগ থানায় এজাহারনামীয় পাঁচজন ও অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে, যার নম্বর-২৫। কী কারণে হামলা হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। 

এসআই আরও বলেন, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

সেই রুহুল আমিনের বসুন্ধরা, বনানী ও উত্তরার জমিসহ ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের যৌন সহিংসতার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে তুললেন ভারতীয় দূত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত