নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর উত্তরা থেকে শেরপুর যাওয়ার পথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেল অপহরণের ঘটনায় মেঘালয়ের কেউ না কেউ জড়িত আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা যেহেতু মেঘালয় রাজ্যের একটি পাহাড়ে এপার-ওপারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাহলে সেখানে কিছু লোকতো জড়িত আছে। না হলে তারা ওপারে যাবে কীভাবে। নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আছে। আমরা বেশ কিছু নাম ও নম্বর পেয়েছি। আমরা তদন্ত করছি।’
আজ শনিবার দুপুরে অপহরণে জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
দীর্ঘ এক মাস হিমেলকে আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে কয়েক কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে আসছিল একটি চক্র। সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সুনামগঞ্জের তাহিপুরের দুর্গম পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের ঘটনায় তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। অপহরণ চক্রের মূল হোতা হিমেলের ব্যক্তিগত গাড়ি সামিদুলসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চক্রের আরও দুজন হানিফ বাবুর্চিকে উত্তরা এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মামুনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা প্রধান হারুন বলেন, অপহরণের মূল হোতা হিমেলের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক সামিদুল ইসলাম। অর্থের লোভেই অপহরণের পরিকল্পনা করেন চালক।
প্রথমে তুরাগ এলাকার হানিফ বাবুর্চি নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে আলোচনা হয়। এরপর ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের সঙ্গে পরিকল্পনা করে অপহরণের পর তার বাসায় রাখা হয়। অপহরণের পর বাসায় নেওয়া হলেও টাকা পেতে দেরি হওয়ায় মামুনের গাড়ি দিয়ে হিমেলকে বর্ডারের একটি পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হিমেলের ওপর চালানো হয় নির্যাতন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে শরীয়তপুরের চর অঞ্চল থেকে চক্রের সদস্য মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। চক্রের সদস্যরা শুধু অপহরণ নয়, চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। তারা গরু, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালান করে। হিমেলকে অপহরণের পর নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও তার মাকে পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে দেরি হওয়ায় এবং অপহরণকারীদের টাকা শেষ হয়ে গেলে তারা গরু চুরি করে বিক্রি করে। এরপর সেই টাকা দিয়ে পাহাড়ে অবস্থান করে।
অপহরণকারীরা টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থানকালে একটি নৌকা থেকে হিমেলের গাড়ি চালক সামিদুল ও ১৭টি মামলার আসামি মালেকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় মামুন ও হানিফ নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি মেঘালয় পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীদের কয়েক কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
হিমেলকে সীমান্তে কীভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আমাদেরও এটাই প্রশ্ন। যেখানে আমরা যেতে পারি না সেখানে সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারিদের কীভাবে নিয়মিত যাতায়াত হচ্ছে। দুই দেশের সিম অবাদে বিক্রি হচ্ছে। এসব অঞ্চলে নিয়মিত নজর রাখা ও যারা বর্ডার এলাকায় কাজ করছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে শেরপুর যাওয়ার পথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেল অপহরণের ঘটনায় মেঘালয়ের কেউ না কেউ জড়িত আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা যেহেতু মেঘালয় রাজ্যের একটি পাহাড়ে এপার-ওপারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাহলে সেখানে কিছু লোকতো জড়িত আছে। না হলে তারা ওপারে যাবে কীভাবে। নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আছে। আমরা বেশ কিছু নাম ও নম্বর পেয়েছি। আমরা তদন্ত করছি।’
আজ শনিবার দুপুরে অপহরণে জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
দীর্ঘ এক মাস হিমেলকে আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে কয়েক কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে আসছিল একটি চক্র। সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সুনামগঞ্জের তাহিপুরের দুর্গম পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের ঘটনায় তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। অপহরণ চক্রের মূল হোতা হিমেলের ব্যক্তিগত গাড়ি সামিদুলসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চক্রের আরও দুজন হানিফ বাবুর্চিকে উত্তরা এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মামুনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা প্রধান হারুন বলেন, অপহরণের মূল হোতা হিমেলের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক সামিদুল ইসলাম। অর্থের লোভেই অপহরণের পরিকল্পনা করেন চালক।
প্রথমে তুরাগ এলাকার হানিফ বাবুর্চি নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে আলোচনা হয়। এরপর ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের সঙ্গে পরিকল্পনা করে অপহরণের পর তার বাসায় রাখা হয়। অপহরণের পর বাসায় নেওয়া হলেও টাকা পেতে দেরি হওয়ায় মামুনের গাড়ি দিয়ে হিমেলকে বর্ডারের একটি পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হিমেলের ওপর চালানো হয় নির্যাতন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে শরীয়তপুরের চর অঞ্চল থেকে চক্রের সদস্য মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। চক্রের সদস্যরা শুধু অপহরণ নয়, চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। তারা গরু, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালান করে। হিমেলকে অপহরণের পর নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও তার মাকে পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে দেরি হওয়ায় এবং অপহরণকারীদের টাকা শেষ হয়ে গেলে তারা গরু চুরি করে বিক্রি করে। এরপর সেই টাকা দিয়ে পাহাড়ে অবস্থান করে।
অপহরণকারীরা টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থানকালে একটি নৌকা থেকে হিমেলের গাড়ি চালক সামিদুল ও ১৭টি মামলার আসামি মালেকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় মামুন ও হানিফ নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি মেঘালয় পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীদের কয়েক কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
হিমেলকে সীমান্তে কীভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আমাদেরও এটাই প্রশ্ন। যেখানে আমরা যেতে পারি না সেখানে সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারিদের কীভাবে নিয়মিত যাতায়াত হচ্ছে। দুই দেশের সিম অবাদে বিক্রি হচ্ছে। এসব অঞ্চলে নিয়মিত নজর রাখা ও যারা বর্ডার এলাকায় কাজ করছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে