মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
‘দুই দিন ধইরা কাম নাই। রাস্তায় বইসা থাকি। এখন আল্লাহ আল্লাহ করি। যদি একটা খেপ পাই তাইলে বাসায় চাল কিনতে পারুম’–প্রধান সড়কের পাশে বসে কাজ পাওয়ার অপেক্ষায় এভাবেই প্রহর গুনছেন ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম।
কখন কেউ এসে ডাক দেবেন। কখন একটি কাজের রোজগার দিয়ে বাড়ির জন্য খাবার কিনতে পারবেন তার ঠিক নেই। এমন দুঃসময় আর কখনোই আসেনি শরিফুলের। এখন সৃষ্টিকর্তার পথ চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাঁর।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে উত্তর বাড্ডার প্রধান সড়কে এসে গত দুদিন ধরেই কাজের অপেক্ষায় সময় কাটাচ্ছেন শরিফুল। কেউ ডাক দিচ্ছেন না। বাসায় অসুস্থ স্ত্রী। খাবারের টাকা জোগাড় করা ছাড়াও নিয়মিত ওষুধের ব্যবস্থা করতে হয় শরিফুলকে। একে তো বিধিনিষেধের জন্য আর্থিক চাপ তার ওপর ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝাও এই ভ্যান চালকের মাথার ওপর।
শরিফুল বলেন, ‘কাঠের দোকান বন্ধ। লোহার দোকানগুলোও বন্ধ। অন্য সময় প্রতিদিন দোকানের মালিকেরা ডাক দিয়া কাজ দেয়। গত দুই দিনে কোনো ডাক পাই না। পামু ক্যামনে হ্যারাই তো ব্যবসা করতে পারে না।’
বরিশাল বাকেরগঞ্জ থেকে ২০ বছর আগে ঢাকায় আসেন শরিফুল। ১৫ বছর ধরে ভ্যানগাড়ি চালাচ্ছেন। চার মেয়ে স্ত্রী নিয়ে তাঁর পরিবার। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আগেই। ছোট মেয়ে ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এখন কোনোভাবে দিন পার করছেন তিনি।
করোনার কারণে গত বছর থেকেই আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসে শরিফুলের পরিবারের ওপর। সংসার চালাতে গিয়ে ঋণ করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘একটা সমিতি থেইক্কা লোন করছিলাম। সুদসহ এখন ৬০ হাজার টাকা পাইবো। খুব চাপ দেয়। চার মাস কিস্তি দিতে পারি না।’
অভাব অনটনের কথা জানিয়ে শরিফুল আরও বলেন, ‘যেদিন কাম পাই সেদিনই চাল কিনতে পারি। কাম না পাইলে ধার করা লাগে। দোকানে বাকি করা লাগে। তিন দিন আগে চাল কিনছি ৫০ টাকার। কাইল কিনতে গেছি ৫২ টাকা। এর মধ্যে আবার বউয়ের ওষুধ লাগে। কয়জন বাকি দিবো। কোনসময় যে এই লকডাউন শ্যাষ হইবে আল্লাহ জানে। এই করোনায় আমরা গরিবরা আরও গরিব হইয়া গেছি।’
গত বৃহস্পতিবার থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ অবস্থায় কাজ না পেয়ে শরিফুলের মতো এমন অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
‘দুই দিন ধইরা কাম নাই। রাস্তায় বইসা থাকি। এখন আল্লাহ আল্লাহ করি। যদি একটা খেপ পাই তাইলে বাসায় চাল কিনতে পারুম’–প্রধান সড়কের পাশে বসে কাজ পাওয়ার অপেক্ষায় এভাবেই প্রহর গুনছেন ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম।
কখন কেউ এসে ডাক দেবেন। কখন একটি কাজের রোজগার দিয়ে বাড়ির জন্য খাবার কিনতে পারবেন তার ঠিক নেই। এমন দুঃসময় আর কখনোই আসেনি শরিফুলের। এখন সৃষ্টিকর্তার পথ চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাঁর।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে উত্তর বাড্ডার প্রধান সড়কে এসে গত দুদিন ধরেই কাজের অপেক্ষায় সময় কাটাচ্ছেন শরিফুল। কেউ ডাক দিচ্ছেন না। বাসায় অসুস্থ স্ত্রী। খাবারের টাকা জোগাড় করা ছাড়াও নিয়মিত ওষুধের ব্যবস্থা করতে হয় শরিফুলকে। একে তো বিধিনিষেধের জন্য আর্থিক চাপ তার ওপর ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝাও এই ভ্যান চালকের মাথার ওপর।
শরিফুল বলেন, ‘কাঠের দোকান বন্ধ। লোহার দোকানগুলোও বন্ধ। অন্য সময় প্রতিদিন দোকানের মালিকেরা ডাক দিয়া কাজ দেয়। গত দুই দিনে কোনো ডাক পাই না। পামু ক্যামনে হ্যারাই তো ব্যবসা করতে পারে না।’
বরিশাল বাকেরগঞ্জ থেকে ২০ বছর আগে ঢাকায় আসেন শরিফুল। ১৫ বছর ধরে ভ্যানগাড়ি চালাচ্ছেন। চার মেয়ে স্ত্রী নিয়ে তাঁর পরিবার। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আগেই। ছোট মেয়ে ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এখন কোনোভাবে দিন পার করছেন তিনি।
করোনার কারণে গত বছর থেকেই আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসে শরিফুলের পরিবারের ওপর। সংসার চালাতে গিয়ে ঋণ করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘একটা সমিতি থেইক্কা লোন করছিলাম। সুদসহ এখন ৬০ হাজার টাকা পাইবো। খুব চাপ দেয়। চার মাস কিস্তি দিতে পারি না।’
অভাব অনটনের কথা জানিয়ে শরিফুল আরও বলেন, ‘যেদিন কাম পাই সেদিনই চাল কিনতে পারি। কাম না পাইলে ধার করা লাগে। দোকানে বাকি করা লাগে। তিন দিন আগে চাল কিনছি ৫০ টাকার। কাইল কিনতে গেছি ৫২ টাকা। এর মধ্যে আবার বউয়ের ওষুধ লাগে। কয়জন বাকি দিবো। কোনসময় যে এই লকডাউন শ্যাষ হইবে আল্লাহ জানে। এই করোনায় আমরা গরিবরা আরও গরিব হইয়া গেছি।’
গত বৃহস্পতিবার থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ অবস্থায় কাজ না পেয়ে শরিফুলের মতো এমন অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
২ ঘণ্টা আগে