Ajker Patrika

জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলার প্রতিবেদন দাখিল ২২ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলার প্রতিবেদন দাখিল ২২ ডিসেম্বর

ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলার তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন। 

রোববার দুপুর সাড়ে বারোটায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার পর রাতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জুলহাস উদ্দিন আকন্দ এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছিনতাই হওয়া দুই আসামিসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত নামা আরও ২০ থেকে ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলার শুনানি শেষে কারাগারে থাকা ১২ জন আসামিকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে দুজনকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। মামলায় ওই ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় জামিন প্রাপ্ত দুজনকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

আসামি করা হয়েছে-শাহিন আলম, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন বিএম মুজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারি, খাইরুল ইসলাম জামিল, মইনুল হাসান শামীম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে যায়েদ, আব্দুস সবুর, রশিদ উন নবী ভুইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল, ঈদী আমিন, মেহেদী হাসান অমি, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান ওরফে মেজর জিয়া ওরফে বড় ভাই, আয়মান, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে শামসেদ মিয়া, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ও ওমর ফারুক ওরফে নোমান। 

মামলায় বলা হয়েছে, প্রথম ১২ জন আসামিকে কারাগার থেকে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গি মেজর জিয়া ও অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় জামিন প্রাপ্ত আসামি ইদি আমিন ও মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে বসেই এই পরিকল্পনা সফল করার প্রস্তুতি নেয়। ট্রাইবুনালে হাজিরে দিয়ে তারা আগে আগে বের হয়ে আসে এবং অন্যান্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হামলার পরিকল্পনা সফল করার দায়িত্ব পালন করে। 

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চারজন পুলিশকে চোখে স্প্রে করে এবং মারধর করে আসামি দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়। 

গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন ওরফে দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত