Ajker Patrika

মামলার এজাহারে যা বলেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০: ৪০
মামলার এজাহারে যা বলেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম

সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের অশালীন ও নিপীড়নমূলক আচরণের ভয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে পাশের মেসে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪)।

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এ কথা বলেছেন তাঁর মা তাহমিনা বেগম। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এই এজাহার দায়ের করা হয়।

এজাহারে উল্লেখিত দুইজন ছাড়াও সহপাঠী লাকি আক্তার লাকি ও রাফিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে করা এজাহারে শুধু সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে আসামি করা হয়েছে। অবন্তিকার মা অভিযোগ করেছেন, সহকারী প্রক্টর আম্মানের পক্ষ নিয়ে তাঁর মেয়েকে ছয়–সাতবার তাঁর নিজের কার্যালয়ে ডেকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাঁদের এই হয়রানিমূলক মানসিক নিপীড়নের কারণেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।

অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম এজাহারে আরও বলেন, অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট বরাদ্দ পান। এরপরও অবন্তিকা তাঁর মাকে জানান, সহপাঠী আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন করে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে অবন্তিকাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এ জন্য অবন্তিকা হলে থাকাটা নিরাপদ মনে করেননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করেন। কিন্তু তাতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। অবন্তিকার সহপাঠী লাকি আক্তার লাকি ও রাফিসহ আরও কয়েক জনের মধ্যমে অবন্তিকার চলাফেরার ওপর নজর রাখতে শুরু করে। এভাবে তাঁকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন করতে থাকে।

অবন্তিকার মা অভিযোগ করেন, গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা ঢাকা থেকে কুমিল্লার বাসায় চলে আসেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে মেসে ওঠার কারণে তাঁর সমস্যা আরও বেড়েছে। অর্থাৎ আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে। অবন্তিকা বলেন, দ্বীন ইসলাম ও আম্মান বলেছে, কুমিল্লা ছাত্র কল্যাণের ছাত্রদের মাধ্যমে কুমিল্লাতেও অবন্তিকাকে ‘নষ্টা মেয়ে’ হিসেবে প্রচার করবে।

অবন্তিকার মা অভিযোগ করেন, আম্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরও সমাধানের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে দ্বীন ইসলাম তাঁর মেয়েকে ৬–৭ বার তাঁর অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে অপদস্থ করেন। এসব কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি বলেন, ‘অবন্তিকা তার আত্মহত্যার কারণ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন অবন্তিকা। ঘটনার পর দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আর আম্মানকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত