কামাল হোসেন সরকার, হোমনা
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত শ্রীমদ্দি সারা দেশে বাঁশির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। সারা বছর এখানকার কারিগরেরা বাঁশি তৈরি করেন। তবে তাদের বিক্রির প্রধান লক্ষ্য থাকে বাংলা নববর্ষ ঘিরে। বৈশাখ এলেই শ্রীমদ্দি গ্রামের কারুশিল্পীদের মুখে হাসি ফুটে।
বাঁশির কারিগরেরা জানান, মহামারি করোনার কারণে গত তিন মৌসুমে জন সমাগম নিষিদ্ধ থাকায় ঘরে বসে থেকেছেন বাঁশির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। অভাব অনটনে থেকে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে গেছেন। শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশের বাঁশির সুখ্যাতি দেশ পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে। সারা দেশে শ্রীমদ্দি গ্রামটি বাঁশির গ্রাম হিসেবেই পরিচিত।
বাঁশির প্রবীণ কারিগর আবুল কাশেম জানান, ‘শ্রীমদ্দি গ্রাম থেকে ১৬ ধরনের বাঁশি সারা দেশে যায়। করোনাকালীন লোকসান পুষিয়ে নিতে কারিগরেরা আবারও বাঁশি তৈরিতে ব্যস্ত হয়েছেন। আশা করছি দীর্ঘ দিন পর হলেও কিছুটা গতি আসবে ব্যবসায়।’
বুধবার শ্রীমদ্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত বাঁশির কারিগরেরা। প্রতিটি বাড়িতেই নারী-পুরুষ একত্রে কাজ করছেন। কেউ কয়লার আগুনে লোহা গরম করছেন। কেউ আবার লোহা দিয়ে বাঁশি ছিদ্র করছেন। কেউ বাঁশিতে তুলির আঁচড় দিচ্ছেন। আবার কেউ বা গুণে গুণে বস্তায় ভরছেন।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ গ্রামে বাঁশি তৈরি হচ্ছে বলে জানান গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মোল্লা। তিনি আরও বলেন, একসময় এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই পেশা ছিল বাঁশের বাঁশি তৈরি করা। বর্তমানে ৩০টি পরিবার এ শিল্পটিকে ধরে রেখেছেন। চট্টগ্রামের ফটিক ছড়ি ও ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁরা সরু মুলি বাঁশ কিনে আনেন। প্রথমে এ বাঁশ রোদে শুকানো হয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের বাঁশির উপযোগী বাঁশগুলো বাছাই করে বেছে মসৃণ করে মাপ অনুসারে কাটতে হয়। মোহন বাঁশি, নাগিনী বাঁশি, মুখ বাঁশি, আড় বাঁশিসহ নানা ধরনের বাঁশি তৈরি করেন কারিগরেরা। এসব বাঁশির দাম ডিজাইন ও গুণাগুণ ভেদে ৫ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
বাঁশির কারিগর যতীন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস বেশ গর্বের সঙ্গেই বলেন শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে জাপান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রপ্তানিতে সহায়তা করে।
বাঁশ আনা নেওয়ার খরচ এবং কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হচ্ছে না বলে জানান কারিগরেরা। গ্রামের অশীতিপর বাঁশির কারিগর সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে এ শিল্পটিকে ধরে রেখেছি। কিন্তু এর জন্য কাঁচামাল আনা ও বাঁশি তৈরি করে বিক্রির জন্য বিভিন্ন মেলায় নিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের নানাভাবে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়।’
বাঁশির কারিগর যামিনী মোহন বিশ্বাস বলেন, এ গ্রামের বাঁশি শিল্পটি দেশের জন্য একটা ঐতিহ্য। সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে না এলে শিল্পটি বিলীন হয়ে যাবে।
পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম জানান, যুগ যুগ ধরে শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশি তৈরি করে আসছেন। আর্থিক সহায়তাসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হলে গরিব কারুশিল্পীরা উপকৃত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, শ্রীমদ্দি গ্রামের শত বছরের ঐতিহ্য এ বাঁশি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের পক্ষে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত শ্রীমদ্দি সারা দেশে বাঁশির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। সারা বছর এখানকার কারিগরেরা বাঁশি তৈরি করেন। তবে তাদের বিক্রির প্রধান লক্ষ্য থাকে বাংলা নববর্ষ ঘিরে। বৈশাখ এলেই শ্রীমদ্দি গ্রামের কারুশিল্পীদের মুখে হাসি ফুটে।
বাঁশির কারিগরেরা জানান, মহামারি করোনার কারণে গত তিন মৌসুমে জন সমাগম নিষিদ্ধ থাকায় ঘরে বসে থেকেছেন বাঁশির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। অভাব অনটনে থেকে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে গেছেন। শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশের বাঁশির সুখ্যাতি দেশ পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে। সারা দেশে শ্রীমদ্দি গ্রামটি বাঁশির গ্রাম হিসেবেই পরিচিত।
বাঁশির প্রবীণ কারিগর আবুল কাশেম জানান, ‘শ্রীমদ্দি গ্রাম থেকে ১৬ ধরনের বাঁশি সারা দেশে যায়। করোনাকালীন লোকসান পুষিয়ে নিতে কারিগরেরা আবারও বাঁশি তৈরিতে ব্যস্ত হয়েছেন। আশা করছি দীর্ঘ দিন পর হলেও কিছুটা গতি আসবে ব্যবসায়।’
বুধবার শ্রীমদ্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত বাঁশির কারিগরেরা। প্রতিটি বাড়িতেই নারী-পুরুষ একত্রে কাজ করছেন। কেউ কয়লার আগুনে লোহা গরম করছেন। কেউ আবার লোহা দিয়ে বাঁশি ছিদ্র করছেন। কেউ বাঁশিতে তুলির আঁচড় দিচ্ছেন। আবার কেউ বা গুণে গুণে বস্তায় ভরছেন।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ গ্রামে বাঁশি তৈরি হচ্ছে বলে জানান গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মোল্লা। তিনি আরও বলেন, একসময় এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই পেশা ছিল বাঁশের বাঁশি তৈরি করা। বর্তমানে ৩০টি পরিবার এ শিল্পটিকে ধরে রেখেছেন। চট্টগ্রামের ফটিক ছড়ি ও ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁরা সরু মুলি বাঁশ কিনে আনেন। প্রথমে এ বাঁশ রোদে শুকানো হয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের বাঁশির উপযোগী বাঁশগুলো বাছাই করে বেছে মসৃণ করে মাপ অনুসারে কাটতে হয়। মোহন বাঁশি, নাগিনী বাঁশি, মুখ বাঁশি, আড় বাঁশিসহ নানা ধরনের বাঁশি তৈরি করেন কারিগরেরা। এসব বাঁশির দাম ডিজাইন ও গুণাগুণ ভেদে ৫ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
বাঁশির কারিগর যতীন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস বেশ গর্বের সঙ্গেই বলেন শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে জাপান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রপ্তানিতে সহায়তা করে।
বাঁশ আনা নেওয়ার খরচ এবং কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হচ্ছে না বলে জানান কারিগরেরা। গ্রামের অশীতিপর বাঁশির কারিগর সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে এ শিল্পটিকে ধরে রেখেছি। কিন্তু এর জন্য কাঁচামাল আনা ও বাঁশি তৈরি করে বিক্রির জন্য বিভিন্ন মেলায় নিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের নানাভাবে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়।’
বাঁশির কারিগর যামিনী মোহন বিশ্বাস বলেন, এ গ্রামের বাঁশি শিল্পটি দেশের জন্য একটা ঐতিহ্য। সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে না এলে শিল্পটি বিলীন হয়ে যাবে।
পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম জানান, যুগ যুগ ধরে শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশি তৈরি করে আসছেন। আর্থিক সহায়তাসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হলে গরিব কারুশিল্পীরা উপকৃত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, শ্রীমদ্দি গ্রামের শত বছরের ঐতিহ্য এ বাঁশি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের পক্ষে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
৫ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে