বাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পৌরসভার চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়ক। সেখানে প্রায় ১ একর জমিতে বাজার বসিয়েছে পৌরসভার প্রভাবশালী ‘হক সাহেব’ পরিবার। এই বাজারে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০-এর বেশি দোকান বসে। এসব দোকান থেকে মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকার ওপরে খাজনা আদায় করা হয়। তবে তা সরকার পায় না, যারা হাট বসিয়েছেন, তাঁদের পকেটে ঢোকে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি পরিচালিত হলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এটি ইজারা দেয়নি। উপজেলা প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩-এ বলা হয়েছে, ‘কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো হাট ও বাজার স্থাপন এবং উহার পরিসীমা সম্প্রসারণ ও সংকোচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপধারা (১)-এর অধীন স্থাপিত হাট ও বাজারের মালিকানা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত থাকিবে। এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো ভূমিতে কোনো হাট ও বাজার স্থাপন করা হইলে উক্ত ভূমিসহ উহাতে স্থিত সমস্ত স্বার্থ বা স্থাপনা সরকার বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।’
বাজারের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়কে প্রতিদিন মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। হক পরিবার নিজেদের জমি ও মার্কেট নির্মাণ করে বাজার বসিয়ে হাসিলের নামে প্রতিদিন টাকা আদায় করছে। বাজারটির একটি অংশের খাজনা তোলেন মুজিবুল হক মনু, অন্য অংশে তোলেন তাঁর ভাই তৌফিকুল হক রিপন।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার মৃত আব্দুল হকের (হক সাহেব নামে পরিচিত) দুই ছেলে মুজিবুল হক মনু ও তৌফিকুল হক রিপনের দোতলা নির্মাণাধীন মার্কেট রয়েছে। মার্কেটের নিচতলায় মাছবাজার ও মাংসের (গরু ও ছাগল) ১০০ থেকে ১১০টি গদিঘর (দোকানের জন্য বরাদ্দ জায়গা) রয়েছে। এসব দোকান থেকে শ্রেণিভেদে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা আদায় করা হয়। এ ছাড়া মাছ ২৫০, মাংস ৩০০ টাকা ও ছাগলের গদিঘর থেকে খাজনা আদায় করা হয় ১০ হাজার টাকা। প্রথম তলায় কাঁচাবাজার, মুরগি, মুদি ও ডিমের ১০০-এর বেশি গদি রয়েছে। এসব ঘর থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৪০০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হক মার্কেটের গলিতে রয়েছেও শতাধিক দোকান-গদিঘর। এসব ঘর থেকে হাসিল তোলা হয় ১০০ থেকে
২৫০ টাকা। খাজনার পাশাপাশি বিদ্যুতের একটি লাইট ২০, জেনারেটর ২০, দারোয়ান ১০ ও ঝাড়ুদারের বেতন আদায় করা হয় ১০ টাকা। দৈনিক খাজনা দেওয়ার পরও এসব ব্যবসায়ীকে এককালীন ২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সালামি দিতে হয়েছে।
হাটের মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন খাজনা দিই। জমিদারের ইচ্ছা অনুযায়ী টাকা না দিলে মাছ বিক্রি করতে বসতে দেয় না। আমরা চরম কষ্টে আছি।’
সবজি ব্যবসায়ী কালাম উদ্দিন বলেন, ‘৮ থেকে ১০ ফুটের গদিঘর থেকে প্রতিদিন ১৫০ টাকা খাজনা দিতে হয়। হক পরিবারের নিয়োজিত কিছু কর্মচারীর অত্যাচার তো আছেই।’
আমিনুল করিম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এ বাজারের ব্যবস্থাপনা ঠিক নেই। কোনো দোকানে পণ্যের তালিকা নেই। দোকানিরা ইচ্ছেমতো ক্রেতাদের কাছ দাম হাঁকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সিন্ডিকেট করে হক সাহেবের পরিবার বাজারটি চালাচ্ছে। এতে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।’
তৌফিকুল হক রিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অংশীদারের জমিতে বাজার করেছি। কিছু লোক রেখে বাজার দেখাশোনা করা হয়। মূলত পুরো বাজারটি আমার বড় ভাই মনু সাহেব দেখেন।’
মুজিবুল হক মনু বলেন,‘বাজারের একটি অংশ আমি, অন্য অংশ আমার ভাই রিপন দেখাশোনা করেন। আমি মূলত পৌরসভাকে
অবগত করে বাজারটি পরিচালনা করছি। আর কীভাবে করছি, সেটা সবাই জানেন।’ তবে খাজনার নামে টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
চকরিয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ মোরশেদ বলেন, মেয়র মহোদয় উমরাহ পালনে সৌদি আবরে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে বাজারের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিমালিকানায় হাট-বাজার থাকার সুযোগ নেই। বাজারটি পৌর এলাকায়। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে বাজার বসানোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পৌরসভার চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়ক। সেখানে প্রায় ১ একর জমিতে বাজার বসিয়েছে পৌরসভার প্রভাবশালী ‘হক সাহেব’ পরিবার। এই বাজারে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০-এর বেশি দোকান বসে। এসব দোকান থেকে মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকার ওপরে খাজনা আদায় করা হয়। তবে তা সরকার পায় না, যারা হাট বসিয়েছেন, তাঁদের পকেটে ঢোকে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি পরিচালিত হলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এটি ইজারা দেয়নি। উপজেলা প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩-এ বলা হয়েছে, ‘কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো হাট ও বাজার স্থাপন এবং উহার পরিসীমা সম্প্রসারণ ও সংকোচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। (২) উপধারা (১)-এর অধীন স্থাপিত হাট ও বাজারের মালিকানা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত থাকিবে। এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো ভূমিতে কোনো হাট ও বাজার স্থাপন করা হইলে উক্ত ভূমিসহ উহাতে স্থিত সমস্ত স্বার্থ বা স্থাপনা সরকার বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।’
বাজারের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়কে প্রতিদিন মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। হক পরিবার নিজেদের জমি ও মার্কেট নির্মাণ করে বাজার বসিয়ে হাসিলের নামে প্রতিদিন টাকা আদায় করছে। বাজারটির একটি অংশের খাজনা তোলেন মুজিবুল হক মনু, অন্য অংশে তোলেন তাঁর ভাই তৌফিকুল হক রিপন।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার মৃত আব্দুল হকের (হক সাহেব নামে পরিচিত) দুই ছেলে মুজিবুল হক মনু ও তৌফিকুল হক রিপনের দোতলা নির্মাণাধীন মার্কেট রয়েছে। মার্কেটের নিচতলায় মাছবাজার ও মাংসের (গরু ও ছাগল) ১০০ থেকে ১১০টি গদিঘর (দোকানের জন্য বরাদ্দ জায়গা) রয়েছে। এসব দোকান থেকে শ্রেণিভেদে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা আদায় করা হয়। এ ছাড়া মাছ ২৫০, মাংস ৩০০ টাকা ও ছাগলের গদিঘর থেকে খাজনা আদায় করা হয় ১০ হাজার টাকা। প্রথম তলায় কাঁচাবাজার, মুরগি, মুদি ও ডিমের ১০০-এর বেশি গদি রয়েছে। এসব ঘর থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৪০০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হক মার্কেটের গলিতে রয়েছেও শতাধিক দোকান-গদিঘর। এসব ঘর থেকে হাসিল তোলা হয় ১০০ থেকে
২৫০ টাকা। খাজনার পাশাপাশি বিদ্যুতের একটি লাইট ২০, জেনারেটর ২০, দারোয়ান ১০ ও ঝাড়ুদারের বেতন আদায় করা হয় ১০ টাকা। দৈনিক খাজনা দেওয়ার পরও এসব ব্যবসায়ীকে এককালীন ২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সালামি দিতে হয়েছে।
হাটের মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন খাজনা দিই। জমিদারের ইচ্ছা অনুযায়ী টাকা না দিলে মাছ বিক্রি করতে বসতে দেয় না। আমরা চরম কষ্টে আছি।’
সবজি ব্যবসায়ী কালাম উদ্দিন বলেন, ‘৮ থেকে ১০ ফুটের গদিঘর থেকে প্রতিদিন ১৫০ টাকা খাজনা দিতে হয়। হক পরিবারের নিয়োজিত কিছু কর্মচারীর অত্যাচার তো আছেই।’
আমিনুল করিম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এ বাজারের ব্যবস্থাপনা ঠিক নেই। কোনো দোকানে পণ্যের তালিকা নেই। দোকানিরা ইচ্ছেমতো ক্রেতাদের কাছ দাম হাঁকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সিন্ডিকেট করে হক সাহেবের পরিবার বাজারটি চালাচ্ছে। এতে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।’
তৌফিকুল হক রিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অংশীদারের জমিতে বাজার করেছি। কিছু লোক রেখে বাজার দেখাশোনা করা হয়। মূলত পুরো বাজারটি আমার বড় ভাই মনু সাহেব দেখেন।’
মুজিবুল হক মনু বলেন,‘বাজারের একটি অংশ আমি, অন্য অংশ আমার ভাই রিপন দেখাশোনা করেন। আমি মূলত পৌরসভাকে
অবগত করে বাজারটি পরিচালনা করছি। আর কীভাবে করছি, সেটা সবাই জানেন।’ তবে খাজনার নামে টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
চকরিয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ মোরশেদ বলেন, মেয়র মহোদয় উমরাহ পালনে সৌদি আবরে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে বাজারের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিমালিকানায় হাট-বাজার থাকার সুযোগ নেই। বাজারটি পৌর এলাকায়। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে বাজার বসানোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
২ মিনিট আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে কমলা (৪৮) নামের এক নারী মারা গেছেন।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১৬ মিনিট আগে
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, কিছু কুরুচিপূর্ণ শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নম্বর টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির মতো ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সহকারী প্রক্টর ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামীম হোসেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন—অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অশোভন মন্তব্য, অনিচ্ছাকৃত শারীরিক স্পর্শ ও অনুপযুক্ত আচরণের মাধ্যমে হয়রানি করেছেন।
২ নভেম্বর সহকারী প্রক্টর শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে ৩১ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলে। এর আগে ৩০ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে ওই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩১ জন শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধান বরাবর একটি গণ-অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে তাঁরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে তাঁর ক্লাস, পরীক্ষা ও সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগেও একাধিক শিক্ষক যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত আছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তদন্তাধীন, তাঁর ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড ইতিমধ্যে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বেরোবির শিক্ষার্থী সুফিয়া সরকার বাঁধন বলেন, ‘ক্যাম্পাস আমার আরেক পরিবার। এখানে যদি নিরাপদ অনুভব না করি, পিতা সমতুল্য স্যারদের কাছে যদি নিরাপদ না থাকি, তাহলে এখানে পড়াশোনার কোনো মানে নেই। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের ভবিষ্যতের অনেক কিছু নির্ধারণ করবে। স্যারদের ভয়ে, রেজাল্ট খারাপের ভয়ে আমাদের যে প্রতিনিয়ত চুপচাপ থাকতে হয়; আতঙ্ক ও মানসিক যন্ত্রণা—এসব থেকে আমরা মুক্তি চাই। ক্যাম্পাসে নিরাপদে বাঁচতে চাই। যারা অপরাধ করেছে, যৌন হয়রানি করেছে, প্রশাসনের কাছে আমরা তাদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও যৌন নিপীড়ন সেলের সদস্যসচিব ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, ‘অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা যেগুলোর তদন্ত শেষ হয়েছে, সেগুলো আমরা সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করেছি। যেগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়াধীন, সেগুলোর এখনো প্রতিবেদন জমা হয়নি। যৌন নিপীড়ন ও হয়রানিমূলক যেসব অভিযোগ আছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা আছে এবং হাইকোর্টেও একটা নির্দেশনা আছে যেন এসব ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেগুলোর রিপোর্ট সাবমিট হয়েছে, সবগুলোর মোটামুটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাকশন নিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আমরা যৌন নিপীড়ন সেল গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা বহিষ্কারও করেছি। যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশাসন জিরো টলারেন্সে। দোষী প্রমাণিত হলে ছাড় দেওয়া হবে না।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, কিছু কুরুচিপূর্ণ শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নম্বর টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির মতো ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সহকারী প্রক্টর ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামীম হোসেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন—অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অশোভন মন্তব্য, অনিচ্ছাকৃত শারীরিক স্পর্শ ও অনুপযুক্ত আচরণের মাধ্যমে হয়রানি করেছেন।
২ নভেম্বর সহকারী প্রক্টর শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে ৩১ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলে। এর আগে ৩০ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে ওই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩১ জন শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধান বরাবর একটি গণ-অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে তাঁরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে তাঁর ক্লাস, পরীক্ষা ও সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগেও একাধিক শিক্ষক যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত আছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তদন্তাধীন, তাঁর ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড ইতিমধ্যে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বেরোবির শিক্ষার্থী সুফিয়া সরকার বাঁধন বলেন, ‘ক্যাম্পাস আমার আরেক পরিবার। এখানে যদি নিরাপদ অনুভব না করি, পিতা সমতুল্য স্যারদের কাছে যদি নিরাপদ না থাকি, তাহলে এখানে পড়াশোনার কোনো মানে নেই। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের ভবিষ্যতের অনেক কিছু নির্ধারণ করবে। স্যারদের ভয়ে, রেজাল্ট খারাপের ভয়ে আমাদের যে প্রতিনিয়ত চুপচাপ থাকতে হয়; আতঙ্ক ও মানসিক যন্ত্রণা—এসব থেকে আমরা মুক্তি চাই। ক্যাম্পাসে নিরাপদে বাঁচতে চাই। যারা অপরাধ করেছে, যৌন হয়রানি করেছে, প্রশাসনের কাছে আমরা তাদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও যৌন নিপীড়ন সেলের সদস্যসচিব ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, ‘অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা যেগুলোর তদন্ত শেষ হয়েছে, সেগুলো আমরা সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করেছি। যেগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়াধীন, সেগুলোর এখনো প্রতিবেদন জমা হয়নি। যৌন নিপীড়ন ও হয়রানিমূলক যেসব অভিযোগ আছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা আছে এবং হাইকোর্টেও একটা নির্দেশনা আছে যেন এসব ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেগুলোর রিপোর্ট সাবমিট হয়েছে, সবগুলোর মোটামুটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাকশন নিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আমরা যৌন নিপীড়ন সেল গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা বহিষ্কারও করেছি। যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশাসন জিরো টলারেন্সে। দোষী প্রমাণিত হলে ছাড় দেওয়া হবে না।’

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পৌরসভার চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়ক। সেখানে প্রায় ১ একর জমিতে বাজার বসিয়েছে পৌরসভার প্রভাবশালী ‘হক সাহেব’ পরিবার। এই বাজারে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০-এর বেশি দোকান বসে। এসব দোকান থেকে মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকার ওপরে খাজনা আদায় করা হয়। তবে তা সরকার পায় না, যারা হা
২৫ মার্চ ২০২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে কমলা (৪৮) নামের এক নারী মারা গেছেন।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১৬ মিনিট আগে
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেসিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে কমলা (৪৮) নামের এক নারী মারা গেছেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শিমরাইল থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাযোগে ওই নারী, তাঁর মেয়ে ও দুই নাতনিকে নিয়ে কাঁচপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ কাঁচপুর থেকে শিমরাইলের উদ্দেশে আসা আরও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই নারী অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যান। তখন ঢাকামুখী লেনে একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘এসব অটোরিকশার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মামলা করছি। তারপরও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করে। দুর্ঘটনায় ট্রাকটি আটক রয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে কমলা (৪৮) নামের এক নারী মারা গেছেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শিমরাইল থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাযোগে ওই নারী, তাঁর মেয়ে ও দুই নাতনিকে নিয়ে কাঁচপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ কাঁচপুর থেকে শিমরাইলের উদ্দেশে আসা আরও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই নারী অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যান। তখন ঢাকামুখী লেনে একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘এসব অটোরিকশার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মামলা করছি। তারপরও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করে। দুর্ঘটনায় ট্রাকটি আটক রয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পৌরসভার চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়ক। সেখানে প্রায় ১ একর জমিতে বাজার বসিয়েছে পৌরসভার প্রভাবশালী ‘হক সাহেব’ পরিবার। এই বাজারে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০-এর বেশি দোকান বসে। এসব দোকান থেকে মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকার ওপরে খাজনা আদায় করা হয়। তবে তা সরকার পায় না, যারা হা
২৫ মার্চ ২০২৪
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১৬ মিনিট আগে
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পৌরসভার চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়ক। সেখানে প্রায় ১ একর জমিতে বাজার বসিয়েছে পৌরসভার প্রভাবশালী ‘হক সাহেব’ পরিবার। এই বাজারে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০-এর বেশি দোকান বসে। এসব দোকান থেকে মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকার ওপরে খাজনা আদায় করা হয়। তবে তা সরকার পায় না, যারা হা
২৫ মার্চ ২০২৪
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
২ মিনিট আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে কমলা (৪৮) নামের এক নারী মারা গেছেন।
৫ মিনিট আগে
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পৌরসভার চিরিংগা শহরের কাঁচাবাজার সড়ক। সেখানে প্রায় ১ একর জমিতে বাজার বসিয়েছে পৌরসভার প্রভাবশালী ‘হক সাহেব’ পরিবার। এই বাজারে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০-এর বেশি দোকান বসে। এসব দোকান থেকে মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকার ওপরে খাজনা আদায় করা হয়। তবে তা সরকার পায় না, যারা হা
২৫ মার্চ ২০২৪
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
২ মিনিট আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে কমলা (৪৮) নামের এক নারী মারা গেছেন।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১৬ মিনিট আগে