কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর জন্য কাজ করছিলেন তাদের নেতা মো. মহিবুল্লাহ। এ জন্যই প্রত্যাবাসনবিরোধী মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভ্যশন আর্মি) তাঁকে খুন করেছেন বলে মনে করেন তাঁর ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজন আরসা নেতার নামও বলেছেন তিনি। পুলিশও মনে করছে, এটা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধীদের কাজ।
তবে আরসা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা অডিওবার্তায় তারা বলেছে, আরসার এমন কোনো দায় পড়েনি যে মহিবুল্লাহকে খুন করতে হবে। কে না কে মহিবুল্লাহ মাস্টারকে খুন করেছে, এখন তাঁর ছোট ভাই সেই দায় আরসার ওপর চাপাতে চাইছেন।
রোহিঙ্গা নেতাকে এভাবে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এইচআরডব্লিউসহ পশ্চিমারা।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা স্বার্থ রক্ষাকারী হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। গত বুধবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার লাম্বুশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে বসে আলাপ করছিলেন মহিবুল্লাহ। এ সময় খুব কাছ থেকে পরপর ৫টি গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। আততায়ী দলে ছিল ১৫ থেকে ২০ জন।
মহিবুল্লাহর ছোট ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, তাঁর ভাইকে যখন গুলি করা হয়, তখন তিনিও সেখানে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরসা নেতা আবদুর রহিম, মোরশিদ, লালুসহ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সামনে আনা হলে তাদের আমি চিনব।’ টুইটারে প্রচারিত এক ভিডিওতে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন। এ জন্য রোহিঙ্গাদের একটি গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী শক্তি তাঁকে খুন করেছে।’
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েন আছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকায় রোহিঙ্গাদের মাঝে জনপ্রিয় ছিলেন মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা প্রত্যাসন নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন। এ জন্য প্রত্যাবাসনবিরোধীরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।’ তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
থমথমে শিবির
মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর রোহিঙ্গা শিবিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয় ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গার মধ্যে। মৌলভি হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরও তাঁরা সবাই ভয়ের মধ্যে আছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আরসা তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।
দুজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাম্পের প্রত্যাবাসনবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত মাস্টার আবদুর রহিম মুর্শিদ, লালুসহ কয়েকজন।
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, কয়েক মাস ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মহিবুল্লাহকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নির্যাতনের চার বছর পালনের সময় মহিবুল্লাহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি তুলে সাক্ষাৎকার দেন। এরপর থেকেই তারা মহিবুল্লাহকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল।
হোয়াইট হাউসে মহিবুল্লাহ
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন মহিবুল্লাহ। এ সময় তিনি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান।
এর আগে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ফুটবল মাঠে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গার গণহত্যাবিরোধী যে মহাসমাবেশ হয়েছিল, তা সংগঠিত করেছিলেন মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘মাস্টার মহিবুল্লাহ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মিয়ানমারে থাকতে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। গণহত্যাবিরোধী ওই সমাবেশ বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন এই রোহিঙ্গা নেতা।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সেই সময় বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ দেশে এসেছিলেন মহিবুল্লাহ ও তাঁর পরিবার। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ
মহিবুল্লাহ হত্যার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শরণার্থীসহ ক্যাম্পে থাকা সব মানুষ, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি উভয় অংশের নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
মহিবুল্লাহ তাঁর কাজের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, যাঁরা শিবিরে মুক্তি এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেন, মহিবুল্লাহর হত্যা তাঁদের জন্য একটি নিদর্শন যে তাঁরা কি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন?
টুইট করে জাতিসংঘে মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি, ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে ভেন লিউইন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-এসভেন্ডসেনসহ অনেকে মহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বিবৃতি দিয়ে মহিবুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্প এলাকাতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা যে বাড়ল, এটা বলা যায়।’
জানাজায় মানুষের ঢল
গতকাল সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের পাশে কবরস্থানে নিহত মহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়। তার আগে অনুষ্ঠিত জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ ইস্টের ২ নম্বর কেন্দ্রে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেন্দ্রের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত ঘটে। কোনো সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিকে জানাজার স্থলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘উখিয়া লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জানাজা শেষে মহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে যেকোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর জন্য কাজ করছিলেন তাদের নেতা মো. মহিবুল্লাহ। এ জন্যই প্রত্যাবাসনবিরোধী মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভ্যশন আর্মি) তাঁকে খুন করেছেন বলে মনে করেন তাঁর ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজন আরসা নেতার নামও বলেছেন তিনি। পুলিশও মনে করছে, এটা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধীদের কাজ।
তবে আরসা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা অডিওবার্তায় তারা বলেছে, আরসার এমন কোনো দায় পড়েনি যে মহিবুল্লাহকে খুন করতে হবে। কে না কে মহিবুল্লাহ মাস্টারকে খুন করেছে, এখন তাঁর ছোট ভাই সেই দায় আরসার ওপর চাপাতে চাইছেন।
রোহিঙ্গা নেতাকে এভাবে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এইচআরডব্লিউসহ পশ্চিমারা।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা স্বার্থ রক্ষাকারী হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। গত বুধবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার লাম্বুশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে বসে আলাপ করছিলেন মহিবুল্লাহ। এ সময় খুব কাছ থেকে পরপর ৫টি গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। আততায়ী দলে ছিল ১৫ থেকে ২০ জন।
মহিবুল্লাহর ছোট ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, তাঁর ভাইকে যখন গুলি করা হয়, তখন তিনিও সেখানে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরসা নেতা আবদুর রহিম, মোরশিদ, লালুসহ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সামনে আনা হলে তাদের আমি চিনব।’ টুইটারে প্রচারিত এক ভিডিওতে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন। এ জন্য রোহিঙ্গাদের একটি গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী শক্তি তাঁকে খুন করেছে।’
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েন আছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকায় রোহিঙ্গাদের মাঝে জনপ্রিয় ছিলেন মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা প্রত্যাসন নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন। এ জন্য প্রত্যাবাসনবিরোধীরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।’ তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
থমথমে শিবির
মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর রোহিঙ্গা শিবিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয় ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গার মধ্যে। মৌলভি হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরও তাঁরা সবাই ভয়ের মধ্যে আছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আরসা তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।
দুজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাম্পের প্রত্যাবাসনবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত মাস্টার আবদুর রহিম মুর্শিদ, লালুসহ কয়েকজন।
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, কয়েক মাস ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মহিবুল্লাহকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নির্যাতনের চার বছর পালনের সময় মহিবুল্লাহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি তুলে সাক্ষাৎকার দেন। এরপর থেকেই তারা মহিবুল্লাহকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল।
হোয়াইট হাউসে মহিবুল্লাহ
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন মহিবুল্লাহ। এ সময় তিনি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান।
এর আগে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ফুটবল মাঠে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গার গণহত্যাবিরোধী যে মহাসমাবেশ হয়েছিল, তা সংগঠিত করেছিলেন মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘মাস্টার মহিবুল্লাহ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মিয়ানমারে থাকতে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। গণহত্যাবিরোধী ওই সমাবেশ বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন এই রোহিঙ্গা নেতা।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সেই সময় বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ দেশে এসেছিলেন মহিবুল্লাহ ও তাঁর পরিবার। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ
মহিবুল্লাহ হত্যার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শরণার্থীসহ ক্যাম্পে থাকা সব মানুষ, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি উভয় অংশের নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
মহিবুল্লাহ তাঁর কাজের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, যাঁরা শিবিরে মুক্তি এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেন, মহিবুল্লাহর হত্যা তাঁদের জন্য একটি নিদর্শন যে তাঁরা কি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন?
টুইট করে জাতিসংঘে মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি, ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে ভেন লিউইন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-এসভেন্ডসেনসহ অনেকে মহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বিবৃতি দিয়ে মহিবুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্প এলাকাতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা যে বাড়ল, এটা বলা যায়।’
জানাজায় মানুষের ঢল
গতকাল সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের পাশে কবরস্থানে নিহত মহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়। তার আগে অনুষ্ঠিত জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ ইস্টের ২ নম্বর কেন্দ্রে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেন্দ্রের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত ঘটে। কোনো সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিকে জানাজার স্থলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘উখিয়া লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জানাজা শেষে মহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে যেকোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেসীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর জন্য কাজ করছিলেন তাদের নেতা মো. মহিবুল্লাহ। এ জন্যই প্রত্যাবাসনবিরোধী মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভ্যশন আর্মি) তাঁকে খুন করেছেন বলে মনে করেন তাঁর ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ।
০১ অক্টোবর ২০২১
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর জন্য কাজ করছিলেন তাদের নেতা মো. মহিবুল্লাহ। এ জন্যই প্রত্যাবাসনবিরোধী মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভ্যশন আর্মি) তাঁকে খুন করেছেন বলে মনে করেন তাঁর ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ।
০১ অক্টোবর ২০২১
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর জন্য কাজ করছিলেন তাদের নেতা মো. মহিবুল্লাহ। এ জন্যই প্রত্যাবাসনবিরোধী মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভ্যশন আর্মি) তাঁকে খুন করেছেন বলে মনে করেন তাঁর ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ।
০১ অক্টোবর ২০২১
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর জন্য কাজ করছিলেন তাদের নেতা মো. মহিবুল্লাহ। এ জন্যই প্রত্যাবাসনবিরোধী মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভ্যশন আর্মি) তাঁকে খুন করেছেন বলে মনে করেন তাঁর ভাই মৌলভি হাবিবুল্লাহ।
০১ অক্টোবর ২০২১
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে