Ajker Patrika

অবকাশে এসে ভোগান্তিতে লাখো পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি
অবকাশে এসে ভোগান্তিতে লাখো পর্যটক

কর্মব্যস্ততা আর মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য একটু প্রশান্তির খোঁজে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার আসেন পর্যটকেরা। তাই এবারের বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির তিন দিনে লাখো পর্যটক ছুটে এসেছেন সমুদ্রসৈকতে। কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। কিন্তু কক্সবাজার গিয়ে সেই ক্লান্তি যেন আরও বেড়ে গেছে পর্যটকদের। 
 
গত বুধবার বিকেল থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজার, ইনানী, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের হোটেলগুলোতে তিন দিনের কক্ষ ভাড়া শেষ হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটের পর্যটকবাহী আটটি জাহাজের টিকিটও বেচাকেনা শেষ হয়েছে। 

হোটেলে কক্ষ না পেয়ে কয়েক হাজার পর্যটক ভোগান্তি পড়েছেন। কেউ কেউ স্থানীয় বাসা-বাড়ি, স্কুল ও সৈকতের বালিয়াড়ির চেয়ারে রাত যাপন করছেন। রাত যাপনের ভোগান্তির পাশাপাশি পর্যটকেরা খাওয়া-দাওয়া নিয়েও বিপদে পড়েছেন। 

পর্যটকেরা অভিযোগ করছেন, কোথাও কক্ষ খালি পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব কক্ষ খালি রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। 

সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, ‘হাজারো পর্যটক হোটেলে কক্ষ না পেয়ে সৈকতের চেয়ারে রাত যাপন করছেন। অনেকেই স্থানীয় বাসা বাড়িতে উঠেছেন।’ 
 
সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে বেড়াতে এসেছেন কলেজশিক্ষক আজিজুল হক। তিনি বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার পৌঁছেছি। কলাতলী সৈকতের পাশে হোটেল না পেয়ে শহরের ভেতরে একটি কক্ষ নিয়েছি পাঁচ হাজার টাকায়। যা হাজার দেড়েকের বেশি হওয়ার কথা নয়।’ 

তাঁদের মতো হোটেলের কক্ষ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফেনীর দাগনভুঁইয়া এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল আলমও। তিনি পরিবার নিয়ে এসেছেন আজ শুক্রবার দুপুরে। শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই হাজার টাকার কক্ষ ভাড়া নিতে হয়েছে আট হাজার টাকায়। তাও একটি পরিবার চলে যাওয়াতে থাকার সুযোগ হয়েছে।’

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা বিপর্যয়ের পর কক্সবাজারে এটিই সবচেয়ে বড় পর্যটক সমাগম। একসঙ্গে দুই লাখের বেশি পর্যটক আসলে ভোগান্তি তৈরি হয়। 

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কক্সবাজার শহর ও আশপাশের ৫শ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে মোটামুটি দেড় লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। টানা তিন দিনের ছুটিতে আগে থেকেই বেশির ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। যেসব কক্ষ খালি ছিল তাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় দুঃখজনক। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পর্যটকের চাপ বাড়লে এ ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকে।’ 

টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে সৈকতের পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’ 
 
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকেরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সৈকত কর্মীরা কাজ করছেন। পাশাপাশি সৈকতে নিরাপদে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

আস্থায় বাজিমাত ইসলামী ব্যাংক

ভাগনের বিয়েতে ১ কেজি সোনা, ৪ বস্তা টাকা, ২১০ বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প উপহার দিল মাড়োয়ারি পরিবার

চট্টগ্রামে র‍্যাব কর্মকর্তার লাশ: মাকে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহে আত্মহত্যা বলে দাবি ভাইয়ের

‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত