নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পাঁচটি কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এক. প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার অংশে রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ কাঙ্ক্ষিত সময়ে সম্পন্ন হয়নি। এতে ভৌত নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের চুক্তি শর্ত মোতাবেক জমি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রকল্প পরিচালক।
দুই. যেসব অধিকৃত জমি জেলা প্রশাসন হস্তান্তর করেছে, সেসব জমি দখলে পেতে বাধার সম্মুখীন হয়েছে রেলওয়ে। মামলার জটিলতা, লোকবলের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে জেলা প্রশাসন জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি।
তিন. প্রকল্প এলাকাভুক্ত প্রায় ১৬৫ একর জমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে গেজেটভুক্ত ছিল, যা ডি-রিজার্ভকরণসহ প্রকল্প কাজে ব্যবহার করার জন্য রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু এসব জমিতে থাকা গাছপালা কাটার জন্য অনুমতি পেতে দীর্ঘসময় লাগে। এতে ২০১৯ সালের শেষে সংরক্ষিত বনাঞ্চলভুক্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় গাছ কাটার সুযোগ পায়। এ কারণে প্রকল্পের কাজের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।
চার. প্রকল্প এলাকা থেকে পিজিসিবি, বিপিডিবি ও বিআরইবির পোল/টাওয়ার স্থানান্তরের জন্য অনেক আগেই টাকা পরিশোধ করা হয়। এই বিষয়ে আন্ত: মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চারবার সভাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তারা এখনো সেসব পোল/টাওয়ার স্থানান্তর করতে পারেনি।
পাঁচ. করোনা মহামারির কারণে পুরোদমে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে দেড় মাস কঠোর লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে চীনা নাগরিকদের অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বরাবর ব্যয় না বাড়িয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর আবেদন করেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান।
তবে প্রস্তাবটি পাশ হবে কি-না জানা যায়নি। রেল মন্ত্রণালয় হয়ে এটি পরিকল্পনা কমিশনে যাওয়ার কথা। সময় বাড়ানো হলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন।
আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু এখনো প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্প নেওয়ার পর প্রথমবার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি, সেটি অনুমোদন হবে কি-না তা সিদ্ধান্ত নেবে পরিকল্পনা কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৩০ জুন প্রকল্পটির শেষ করতে সময় চাওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ৪৭ লাখ টাকাই থাকছে। প্রকল্পটির অনুমোদিত বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১০ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত।
পাঁচটি কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এক. প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার অংশে রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ কাঙ্ক্ষিত সময়ে সম্পন্ন হয়নি। এতে ভৌত নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের চুক্তি শর্ত মোতাবেক জমি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রকল্প পরিচালক।
দুই. যেসব অধিকৃত জমি জেলা প্রশাসন হস্তান্তর করেছে, সেসব জমি দখলে পেতে বাধার সম্মুখীন হয়েছে রেলওয়ে। মামলার জটিলতা, লোকবলের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে জেলা প্রশাসন জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি।
তিন. প্রকল্প এলাকাভুক্ত প্রায় ১৬৫ একর জমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে গেজেটভুক্ত ছিল, যা ডি-রিজার্ভকরণসহ প্রকল্প কাজে ব্যবহার করার জন্য রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু এসব জমিতে থাকা গাছপালা কাটার জন্য অনুমতি পেতে দীর্ঘসময় লাগে। এতে ২০১৯ সালের শেষে সংরক্ষিত বনাঞ্চলভুক্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় গাছ কাটার সুযোগ পায়। এ কারণে প্রকল্পের কাজের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।
চার. প্রকল্প এলাকা থেকে পিজিসিবি, বিপিডিবি ও বিআরইবির পোল/টাওয়ার স্থানান্তরের জন্য অনেক আগেই টাকা পরিশোধ করা হয়। এই বিষয়ে আন্ত: মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চারবার সভাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তারা এখনো সেসব পোল/টাওয়ার স্থানান্তর করতে পারেনি।
পাঁচ. করোনা মহামারির কারণে পুরোদমে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে দেড় মাস কঠোর লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে চীনা নাগরিকদের অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বরাবর ব্যয় না বাড়িয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর আবেদন করেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান।
তবে প্রস্তাবটি পাশ হবে কি-না জানা যায়নি। রেল মন্ত্রণালয় হয়ে এটি পরিকল্পনা কমিশনে যাওয়ার কথা। সময় বাড়ানো হলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন।
আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু এখনো প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্প নেওয়ার পর প্রথমবার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি, সেটি অনুমোদন হবে কি-না তা সিদ্ধান্ত নেবে পরিকল্পনা কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৩০ জুন প্রকল্পটির শেষ করতে সময় চাওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ৪৭ লাখ টাকাই থাকছে। প্রকল্পটির অনুমোদিত বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১০ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে‘এই যে ভাই ব্রাশ ২০ টাকা, মাত্র ২০ টাকা। ব্র্যান্ডের ব্রাশ ২০ টাকা।’—রাজধানীর গুলিস্তানের একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে বেজে চলছে পথচারীদের উদ্দেশে হ্যান্ডমাইকের রেকর্ড। পাশের ভ্যান গাড়িতে থাকা ভ্রাম্যমাণ আরেক দোকান থেকে ভেসে আসছে, ‘গার্মেন্টস আইটেম পাচ্ছেন মাত্র ১০০ টাকা, গেঞ্জি পাচ্ছেন ১০০ টাকা...
৫ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুই দুগ্ধ সমিতির সদস্যদের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকে ঋণের টাকায় দুধ উৎপাদনের গাভি না কিনে কোরবানিতে বিক্রির জন্য ষাঁড় কিনেছেন। কেউ অন্য ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কেউ আবার অন্যের গোয়ালঘর দেখিয়ে ঋণ নিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হাজারো সমর্থকের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহরের দেওভোগ এলাকায় আইভীর বাড়িতে সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযানে যায়।
৬ ঘণ্টা আগে