Ajker Patrika

চট্টগ্রামে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, ১২: ৫২
চট্টগ্রামে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিমানবন্দরটি থেকে কোনো বিমান চলাচল করছে না। 

আজ সকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিমান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে ইতিমধ্যে চারটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য বন্দর থেকে সব ধরনের বিদেশি জাহাজ ভোর ৪টার মধ্যে জোয়ারের সময় বহির্নোঙরে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়। 

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। 

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম হুছাইন মুহাম্মদ গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে ১ হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। এখন চট্টগ্রামে ১ হাজার ১৫০টির বেশি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’ 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩ নম্বর বুলেটিন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ গতকাল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার উত্তর ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। 

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহা বিপৎসংকেত, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত