ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
যৌন হয়রানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা সুপারকে দুই দফায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত না হওয়ার পরও তৃতীয়বারের মতো তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জের খাজুরিয়া ওল্ডস্কিম দাখিল মাদ্রাসার।
৯ নভেম্বর মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দ্বিতীয় চিঠির লিখিত জবাব দেন মাদ্রাসা সুপার। কিন্তু কমিটি সেই জবাব সন্তোষজনক নয় দাবি করে গতকাল শনিবার আবারও তৃতীয়বারের মতো তাঁকে চিঠি দেয়। চিঠিতে কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ বিষয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাদ্রাসা সুপার বলছেন, যৌন হয়রানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মণ্ডল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও তা এসেছে। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত করতে চেষ্টা চলছে।
খাজুরিয়া ওল্ডস্কিম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবুল বাসার মিয়াজী গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসার একটি শ্রেণির কোরআন শিক্ষার ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন বলে ওই ছাত্রীর অভিভাবক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা সুপারকে গত ২১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথমে এক মাস এবং পরবর্তীকালে আরও পাঁচ মাস সাময়িক বরখাস্ত করে।
ওই ঘটনায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কমিটি গত ২৬ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ওই মাদ্রাসা সুপার ছাত্রীর সঙ্গে যেই আচরণ করেছেন, তা যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না। তবে ওই মাদ্রাসা সুপার কোনো ছাত্রীকে হাত দিয়ে প্রহার বা স্পর্শ করতে পারেন না এবং বিষয়টি উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে তা উল্লেখ করা হয়।
এদিকে মাদ্রাসা সুপার (সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) আবুল বাসার মিয়াজী ৯ নভেম্বর মাদ্রাসার কমিটি বরাবর দেওয়া চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে হয়নি বলে দাবি করেন।
আবুল বাসার মিয়াজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘সেদিন যা ঘটেছে, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। লেখাপড়া না করায় ওই ছাত্রীকে প্রহার করা উচিত হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনাকে উপজীব্য করে একটি চক্র আমাকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ীভাবে সরানোর চেষ্টা করেছে।’
ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী সবার সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দিয়েছে। তবে ঘটনার দিন মাদ্রাসা সুপার পড়ানোর সময় যা করেছেন, তা যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না। তবে তিনি অবশ্যই কোনো ছাত্রীকে হাত দিয়ে প্রহার করতে পারেন না। রিপোর্টে বিস্তারিত রয়েছে।’
মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, গতকাল মাদ্রাসা কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে সুপারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মাদ্রাসা সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, কেন স্থায়ীভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে না—এ বিষয়ে নোটিশ পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ওই মাদ্রাসাটিতে একজন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি অবগত হয়েছি। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।’
ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে তৃতীয়বারের নোটিশের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মণ্ডলকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তাঁর কার্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি।
যৌন হয়রানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা সুপারকে দুই দফায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত না হওয়ার পরও তৃতীয়বারের মতো তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জের খাজুরিয়া ওল্ডস্কিম দাখিল মাদ্রাসার।
৯ নভেম্বর মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দ্বিতীয় চিঠির লিখিত জবাব দেন মাদ্রাসা সুপার। কিন্তু কমিটি সেই জবাব সন্তোষজনক নয় দাবি করে গতকাল শনিবার আবারও তৃতীয়বারের মতো তাঁকে চিঠি দেয়। চিঠিতে কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ বিষয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাদ্রাসা সুপার বলছেন, যৌন হয়রানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মণ্ডল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও তা এসেছে। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত করতে চেষ্টা চলছে।
খাজুরিয়া ওল্ডস্কিম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবুল বাসার মিয়াজী গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসার একটি শ্রেণির কোরআন শিক্ষার ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন বলে ওই ছাত্রীর অভিভাবক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা সুপারকে গত ২১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথমে এক মাস এবং পরবর্তীকালে আরও পাঁচ মাস সাময়িক বরখাস্ত করে।
ওই ঘটনায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কমিটি গত ২৬ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ওই মাদ্রাসা সুপার ছাত্রীর সঙ্গে যেই আচরণ করেছেন, তা যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না। তবে ওই মাদ্রাসা সুপার কোনো ছাত্রীকে হাত দিয়ে প্রহার বা স্পর্শ করতে পারেন না এবং বিষয়টি উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে তা উল্লেখ করা হয়।
এদিকে মাদ্রাসা সুপার (সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) আবুল বাসার মিয়াজী ৯ নভেম্বর মাদ্রাসার কমিটি বরাবর দেওয়া চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে হয়নি বলে দাবি করেন।
আবুল বাসার মিয়াজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘সেদিন যা ঘটেছে, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। লেখাপড়া না করায় ওই ছাত্রীকে প্রহার করা উচিত হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনাকে উপজীব্য করে একটি চক্র আমাকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ীভাবে সরানোর চেষ্টা করেছে।’
ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী সবার সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দিয়েছে। তবে ঘটনার দিন মাদ্রাসা সুপার পড়ানোর সময় যা করেছেন, তা যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না। তবে তিনি অবশ্যই কোনো ছাত্রীকে হাত দিয়ে প্রহার করতে পারেন না। রিপোর্টে বিস্তারিত রয়েছে।’
মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, গতকাল মাদ্রাসা কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে সুপারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মাদ্রাসা সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, কেন স্থায়ীভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে না—এ বিষয়ে নোটিশ পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ওই মাদ্রাসাটিতে একজন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি অবগত হয়েছি। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।’
ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে তৃতীয়বারের নোটিশের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মণ্ডলকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তাঁর কার্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি।
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
২৮ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
৪২ মিনিট আগেপুলিশ বলছে, দুটি লাশই বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যাত্রীর আসনে থাকা মরদেহের মুখ থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। গাড়ির সব দরজা খোলা ছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানায়নি তারা।
১ ঘণ্টা আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার বিকেলে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে