নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে পর্যটনের শহর কক্সবাজার রুটে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই জোড়া নতুন ট্রেন চলবে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবকিছু চূড়ান্তের পর ট্রেন চলাচলের সময়সূচিও করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কামাল আখতার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারে সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস নামে দুই জোড়া ট্রেন দিনে ৪ বার যাওয়া-আসা করবে। সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। এ ছাড়া বাকি ৬ দিন নিয়মিত চলাচল করবে এসব ট্রেন। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী পথে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতি দেবে ও যাত্রী ওঠানামা করবে এসব ট্রেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) এ বি এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এখন থেকে দুই জোড়া ট্রেন নিয়মিত চলাচল করবে। এসব ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে থামবে এবং যাত্রী ওঠানামা করা যাবে।
ট্রেনের সময়সূচির নির্ধারণের বিষয়ে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সৈকত এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৮২১) প্রতিদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। প্রবাল এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৮২২) কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে।
চট্টগ্রামে আসার পর প্রবাল এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে। সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। তবে সোমবার এই দুই জোড়া ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। দুই ট্রেনেই মোট আসনসংখ্যা থাকবে ৭৪৩ টি।
চট্টগ্রাম থেকে সকালে ছেড়ে যাওয়া সৈকত এক্সপ্রেস পথে ৮টি স্টেশনে ও বিকেলে প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন ৯টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও যাত্রী উঠানামা করবে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোও একভাবে যাত্রা বিরতি ও যাত্রী উঠানামা করবে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করলেও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কোনো স্থায়ী ট্রেন নেই।
চট্টগ্রাম থেকে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পূর্ব থেকে চলাচলরত একটি স্পেশাল ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে এই রুটে দুই জোড়া ট্রেন নামানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্পেশাল ট্রেনটি আর চলবে না। এর আগে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর পর তা অনুমোদন হয় বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন সরকারের আমলে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথ উদ্বোধন করেন।
ওই বছর ১ ডিসেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করা হয়। একই স্টেশন থেকে ১০ জানুয়ারি থেকে যুক্ত হয় ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামের আরও একটি ট্রেন। দুটি ট্রেনেই ঢাকা হয়ে কক্সবাজার চলাচল করছে। এই ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ অনেকই পায় না।
গেল ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলে। বর্তমানে এই স্পেশাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে নতুন দুই জোড়া ট্রেন নামানো হয়েছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে পর্যটনের শহর কক্সবাজার রুটে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই জোড়া নতুন ট্রেন চলবে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবকিছু চূড়ান্তের পর ট্রেন চলাচলের সময়সূচিও করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কামাল আখতার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারে সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস নামে দুই জোড়া ট্রেন দিনে ৪ বার যাওয়া-আসা করবে। সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। এ ছাড়া বাকি ৬ দিন নিয়মিত চলাচল করবে এসব ট্রেন। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী পথে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতি দেবে ও যাত্রী ওঠানামা করবে এসব ট্রেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) এ বি এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এখন থেকে দুই জোড়া ট্রেন নিয়মিত চলাচল করবে। এসব ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে থামবে এবং যাত্রী ওঠানামা করা যাবে।
ট্রেনের সময়সূচির নির্ধারণের বিষয়ে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সৈকত এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৮২১) প্রতিদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। প্রবাল এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৮২২) কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে।
চট্টগ্রামে আসার পর প্রবাল এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে। সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। তবে সোমবার এই দুই জোড়া ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। দুই ট্রেনেই মোট আসনসংখ্যা থাকবে ৭৪৩ টি।
চট্টগ্রাম থেকে সকালে ছেড়ে যাওয়া সৈকত এক্সপ্রেস পথে ৮টি স্টেশনে ও বিকেলে প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন ৯টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও যাত্রী উঠানামা করবে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোও একভাবে যাত্রা বিরতি ও যাত্রী উঠানামা করবে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করলেও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কোনো স্থায়ী ট্রেন নেই।
চট্টগ্রাম থেকে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পূর্ব থেকে চলাচলরত একটি স্পেশাল ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে এই রুটে দুই জোড়া ট্রেন নামানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্পেশাল ট্রেনটি আর চলবে না। এর আগে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর পর তা অনুমোদন হয় বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন সরকারের আমলে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথ উদ্বোধন করেন।
ওই বছর ১ ডিসেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করা হয়। একই স্টেশন থেকে ১০ জানুয়ারি থেকে যুক্ত হয় ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামের আরও একটি ট্রেন। দুটি ট্রেনেই ঢাকা হয়ে কক্সবাজার চলাচল করছে। এই ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ অনেকই পায় না।
গেল ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলে। বর্তমানে এই স্পেশাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে নতুন দুই জোড়া ট্রেন নামানো হয়েছে।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৪ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে