Ajker Patrika

রঙিন ফুলকপির লাভ সব দিকে

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ৫৪
রঙিন ফুলকপির লাভ সব দিকে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেশ ফুলকপি চাষ হয়। কিন্তু রঙিন ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না কোনো কৃষক। তাঁদের আশঙ্কা মানুষ এগুলো খাবে না, চাষ করে লোকসান হবে।

কিন্তু সবাই তো আর এক পথে চলে না। সাহস দেখালেন কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত বছর প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী এ ফসলের চাষে হাত দেন তিনি। প্রথমবারেই সফল। এবার তাই আগেরবারের চেয়ে বেশি জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। যথারীতি এবারও লাভবান। জাহাঙ্গীরের সফলতায় এ প্রজাতির ফুলকপির চাষে এখন আগ্রহী অন্য অনেক কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে সীতাকুণ্ডের ৯টি ইউনিয়নের ৯৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট, পৌরসদরের নুনাছড়া, টেরিয়াইল ও ভাটিয়ারির ফুলতলা এলাকার ৫ হেক্টর জমিতে রঙিন ফুলকপির আবাদ করা হয়েছে। গত বছর প্রথমবারের মতো ১৫ জন কৃষক ১ হাজার ২০০ রঙিন ফুলকপি আবাদ করেছিলেন। কিন্তু এ বছর ৪৫ জন কৃষক তাঁদের জমিতে ১২ হাজার রঙিন ফুলকপির আবাদ করেছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ফুলকপি সাধারণত সাদা রঙের। তবে এখানে চাষ হচ্ছে হলুদ ও সবুজ ফুলকপিও। ফুলকপি তার রং পায় ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ থেকে। অ্যান্থোসায়ানিন রক্ত জমাট বাঁধা কমিয়ে হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। হলুদ ফুলকপির রঙের পেছনে ‘ক্যারোটিনয়েড’-এর ভূমিকা রয়েছে। এতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে গত বছর প্রথমবারের মতো নিজের জমিতে অল্প ফুলকপির চারা রোপণ করেছিলেন। এতে প্রথম বছরেই মেলে সফলতা। প্রথমবারের মতো উৎপাদিত রঙিন ফুলকপি বিক্রি করে খরচের দ্বিগুণের অধিক টাকা লাভবান হন তিনি। তাই এবার তিনি ২ হাজার রঙিন ফুলকপির চারা রোপণ করেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু ফুলকপি ১০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেছেন। বাজারে রঙিন ফুলকপির চাহিদাও আছে বেশ।

হলুদ, সবুজ আর সাদা– তিন রঙের ফুলকপি হাতে কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম (ডানে)। তাঁর সঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ। জাহাঙ্গীরের সফলতায় এ প্রজাতির ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়েছেন আরও অনেকে। গতকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায়উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপর্ণা বড়ুয়া বলেন, রঙিন ফুলকপি চাষে রোগবালাই কম হয়। জৈব উপায়ে এই ফুলকপিতে আসা পোকামাকড় দমন করা যায়। ফলে কৃষককে বাড়তি কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ জানান, কৃষকদের রঙিন ফুলকপির চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জামালপুরের একটি কৃষি খামার থেকে অনলাইনে অর্ডার করে চারাগুলো আমদানি করেছেন তাঁরা।  এরপর সেই চারা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে রঙিন ফুলকপি চাষাবাদে আগ্রহী ৪৫ জন কৃষকের কাছে।

রঙিন ফুলকপি এবং সাদা ফুলকপির মধ্যে পার্থক্য শুধু বীজে। চাষের পদ্ধতির অন্য সব প্রক্রিয়া একই। কিন্তু বাজারে দাম সাদা ফুলকপির তুলনায় প্রতিটিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব র‍্যাব ডিজির

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত