Ajker Patrika

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আরও এক প্রার্থী

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ৪৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আরও এক প্রার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। আজ বুধবার দুপুরে লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। এই সংসদীয় আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন আর চারজন প্রার্থী।

বিবৃতিতে জিয়াউল হক মৃধা লিখেন, ‘উপনির্বাচনের প্রচারণায় ভোটারদের যে ওয়াদা এবং আশ্বাস দিয়ে ভোট প্রার্থনা করব, সংক্ষিপ্ত সময়ে সে ওয়াদা ও আশ্বাস বাস্তবায়ণ করা অত্যন্ত দুরূহ। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্মানিত ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারি না। এ প্রেক্ষিতে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন থেকে আমি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালাম। সমর্থক নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী যারা সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের প্রতি ও নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ 

নির্বাচনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচজন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করে নতুন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। পরে সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অদূরদর্শী ছিল।’ 

একপর্যায়ে তিনি দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এরপর তিনি এই আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তিনি এই আসনে পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন প্রার্থী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী (লাঙল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি) ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত