Ajker Patrika

ট্রেন চালকের দক্ষতায় শত শত যাত্রীর প্রাণ রক্ষা

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২১, ২২: ১৮
ট্রেন চালকের দক্ষতায় শত শত যাত্রীর প্রাণ রক্ষা

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যখন সীতাকুণ্ড অতিক্রম করে তখন ঘণ্টায় বেগ ছিল ৭৫ কিলোমিটার। ট্রেনে যাত্রী পাঁচ শতাধিক। ইয়াকুব নগরে রেললাইনের ওপর হঠাৎ একটি পিকআপ। দূরত্ব ৩০০ গজেরও কম। ধাক্কা এড়াতে দক্ষতার সঙ্গে ব্রেক ধরলেন ট্রেন চালক আবদুল আওয়াল। প্রচেষ্টা সফল, বেঁচে গেল ৫ শতযাত্রীর প্রাণ। 

আবদুল আওয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি ট্রেন থামাতে হয় ৪৪০ গজ দূর থেকে। অবৈধ রেলক্রসিং দিয়ে হঠাৎ পিকআপটি সামনে চলে আসে। সামনে ছিল মাত্র ৩০০ গজ। এর মধ্যে সাহস করে ট্রেনটি কন্ট্রোল করি। পিকআপটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ট্রেনটির কোনো চাকা লাইনচ্যুত হয়নি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল ট্রেনটি। 

এ সময় আবদুল আওয়ালের সঙ্গে লোকোমাস্টার মইনুল ইসলাম পাটওয়ারী ছিলেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে সীতাকুণ্ডের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় লেভেল ক্রসিং আছে ৮৫টি। এর মধ্যে রেলওয়ের অনুমোদন আছে ৩০ টির। এ ছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও ১৫টি রেল গেট পরিচালনা করছে। সব মিলিয়ে ৬০টি লেভেল ক্রসিংই যেন এক একটি মৃত্যুফাঁদ। কারণ, এসব লেভেল ক্রসিংয়ে নেই গেট, আবার গেট থাকলেও অনেকগুলোতেই নেই গেটম্যান। 

আবদুল আওয়াল জানান, অবৈধ লেভেল ক্রসিং ট্রেনের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, এসব ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। এতে হঠাৎ করে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও পিকআপ সামনে চলে এলে ট্রেন চালকের কিছু করার থাকে না। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে যেমন দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়, তেমনি যারা দক্ষতার সঙ্গে ট্রেন ও জান-মালের রক্ষা করে তাদেরও পুরস্কৃত করা উচিত। আজকে লোকোমাস্টারের দক্ষতায় অনেকগুলো প্রাণ রক্ষা পেল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত