কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথের (আইস) পথ ধরে এবার বাংলাদেশে ঢুকছে অস্ত্র, গ্রেনেডসহ বিস্ফোরকদ্রব্য। গত কয়েক দিনে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড, রকেট সেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পাঁচজন কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথাও জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে জার্মানের তৈরি জি থ্রি রাইফেল, রকেট সেলের মতো ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মোস্তাক আহম্মদ (৩৭) এবং তাঁর স্ত্রী লতিফা আক্তার (৩৪), একই এলাকার মৃত নূর নবীর ছেলে মো. কাশেম ওরফে মনিয়া (৩৮) এবং মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাঝের ডেইল এলাকার আনজু মিয়ার ছেলে রবিউল আলম (২৮) ও একই ইউনিয়নের শুক্করিয়াপাড়ার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (৩৮)।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তাঁরা মিয়ানমার থেকে অস্ত্র এনে বাংলাদেশে অপরাধী চক্রের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল দুর্ধর্ষ ডাকাত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে অপরাধী চক্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরই সূত্র ধরে প্রথমে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া এলাকায় গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী মোস্তাকের বাড়ি থেকে মোস্তাক, রবি আলম, কাশেম এবং মোস্তাকের স্ত্রীকে দুটি ওয়ান শুটারগান (এলজি), ৭৭ রাউন্ড গুলি এবং ২৪টি গুলির খোসাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।’
এসপি বলেন, ‘পরে চক্রটির সদস্য বেলাল টেকনাফ থেকে পালিয়ে মহেশখালী যাওয়ার পথে রামু উপজেলায় বিজিবির মরিচ্যা চেকপোস্টে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বেলালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর এলাকায় সমুদ্র তীরবর্তী ঝাউবাগানের মধ্যে বালির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় জার্মানির তৈরি জি থ্রি রাইফেল, একটি ম্যাগাজিন ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাত মোস্তাক একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক মামলার আসামি এবং তাঁর বিরুদ্ধে চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলমের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। এ ব্যাপারে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।’
আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের অপর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গতকাল ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব। সেখানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেলসহ আরসার কমান্ডার ও তাঁর সহযোগীকে আটক করে তারা।
অপর দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন অরণ্যে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের একটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ছাগলখাইয়া এলাকার মনিরুলের পাহাড় নামের এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংঘর্ষে লুটকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করে আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।’
এ ছাড়া গত তিন মাসে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিদেশি পিস্তল, বন্দুক ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।
মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথের (আইস) পথ ধরে এবার বাংলাদেশে ঢুকছে অস্ত্র, গ্রেনেডসহ বিস্ফোরকদ্রব্য। গত কয়েক দিনে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড, রকেট সেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পাঁচজন কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথাও জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে জার্মানের তৈরি জি থ্রি রাইফেল, রকেট সেলের মতো ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মোস্তাক আহম্মদ (৩৭) এবং তাঁর স্ত্রী লতিফা আক্তার (৩৪), একই এলাকার মৃত নূর নবীর ছেলে মো. কাশেম ওরফে মনিয়া (৩৮) এবং মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাঝের ডেইল এলাকার আনজু মিয়ার ছেলে রবিউল আলম (২৮) ও একই ইউনিয়নের শুক্করিয়াপাড়ার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (৩৮)।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তাঁরা মিয়ানমার থেকে অস্ত্র এনে বাংলাদেশে অপরাধী চক্রের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল দুর্ধর্ষ ডাকাত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে অপরাধী চক্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরই সূত্র ধরে প্রথমে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া এলাকায় গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী মোস্তাকের বাড়ি থেকে মোস্তাক, রবি আলম, কাশেম এবং মোস্তাকের স্ত্রীকে দুটি ওয়ান শুটারগান (এলজি), ৭৭ রাউন্ড গুলি এবং ২৪টি গুলির খোসাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।’
এসপি বলেন, ‘পরে চক্রটির সদস্য বেলাল টেকনাফ থেকে পালিয়ে মহেশখালী যাওয়ার পথে রামু উপজেলায় বিজিবির মরিচ্যা চেকপোস্টে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বেলালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর এলাকায় সমুদ্র তীরবর্তী ঝাউবাগানের মধ্যে বালির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় জার্মানির তৈরি জি থ্রি রাইফেল, একটি ম্যাগাজিন ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাত মোস্তাক একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক মামলার আসামি এবং তাঁর বিরুদ্ধে চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলমের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। এ ব্যাপারে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।’
আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের অপর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গতকাল ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব। সেখানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেলসহ আরসার কমান্ডার ও তাঁর সহযোগীকে আটক করে তারা।
অপর দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন অরণ্যে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের একটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ছাগলখাইয়া এলাকার মনিরুলের পাহাড় নামের এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংঘর্ষে লুটকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করে আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।’
এ ছাড়া গত তিন মাসে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিদেশি পিস্তল, বন্দুক ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
২৩ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
৩৭ মিনিট আগেপুলিশ বলছে, দুটি লাশই বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যাত্রীর আসনে থাকা মরদেহের মুখ থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। গাড়ির সব দরজা খোলা ছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানায়নি তারা।
৪০ মিনিট আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার বিকেলে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে