কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গত দুই দিনে অপহরণ হওয়া ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উপজেলার জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে গতকাল বুধবার গভীর রাতে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
তবে অপহরণকারী চক্রের কাউকে আটক ধরতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে টেকনাফ থানা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ফাঁড়ির ৫০ জন পুলিশ একযোগে জাহাজপুরা পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। পাশাপাশি অভিযানে যোগ দেন র্যাব সদস্যরা।
অভিযানের একপর্যায়ে পাহাড়টি ঘিরে ফেলা হয়। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযানের মুখে অপহৃত ১০ জনকে পাহাড়ে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারী চক্র। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এখন তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর অপহরণকারীদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে জুনাইদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে ফরিদ (৩৫), নাজির হোছনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪) এবং শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)।
এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় অপহৃত অপর দুজন হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং উত্তরপাড়ার আলী আকবরের ছেলে ছৈয়দ হোসেন ওরফে বাবুল (৩৩) এবং রইক্ষ্যং দক্ষিণপাড়ার কালা মিয়া ওরফে লম্বা কালুর ছেলে ফজল কাদের (৪৭)।
এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফের হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাহাড়ি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন দুজন। তাঁরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং রোজার ঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে অলি আহমদ (৩২) এবং কম্বনিয়া এলাকার ফিরুজের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭)।
পুলিশ ও অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গতকাল বেলা ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাংস্থ ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড় এবং পুটিবুনিয়া পাহাড়ি এলাকায় পৃথক অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে উনচিপ্রাং এলাকা থেকে ছয়জন এবং পুটিবুনিয়া এলাকা থেকে দুজনকে অপহরণ করা হয়।
এদিকে মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃত ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ১০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। এখানে মুক্তিপণের বিষয়টি পুলিশ অবহিত নয়। অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা কোনো তথ্য দিতে চায় না। এমনকি একাধিকবার চেষ্টার পরও স্বজনেরা লিখিত অভিযোগ দেয় না। এতে পুলিশ প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে।’
ওসি আরও বলেন, ‘অপহৃতদের পরিবার কাউকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি। সবকিছু মাথায় নিয়ে অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া ১০ জনের কাছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গত দুই দিনে অপহরণ হওয়া ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উপজেলার জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে গতকাল বুধবার গভীর রাতে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
তবে অপহরণকারী চক্রের কাউকে আটক ধরতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে টেকনাফ থানা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ফাঁড়ির ৫০ জন পুলিশ একযোগে জাহাজপুরা পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। পাশাপাশি অভিযানে যোগ দেন র্যাব সদস্যরা।
অভিযানের একপর্যায়ে পাহাড়টি ঘিরে ফেলা হয়। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযানের মুখে অপহৃত ১০ জনকে পাহাড়ে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারী চক্র। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এখন তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর অপহরণকারীদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে জুনাইদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে ফরিদ (৩৫), নাজির হোছনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪) এবং শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)।
এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় অপহৃত অপর দুজন হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং উত্তরপাড়ার আলী আকবরের ছেলে ছৈয়দ হোসেন ওরফে বাবুল (৩৩) এবং রইক্ষ্যং দক্ষিণপাড়ার কালা মিয়া ওরফে লম্বা কালুর ছেলে ফজল কাদের (৪৭)।
এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফের হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাহাড়ি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন দুজন। তাঁরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং রোজার ঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে অলি আহমদ (৩২) এবং কম্বনিয়া এলাকার ফিরুজের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭)।
পুলিশ ও অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গতকাল বেলা ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাংস্থ ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড় এবং পুটিবুনিয়া পাহাড়ি এলাকায় পৃথক অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে উনচিপ্রাং এলাকা থেকে ছয়জন এবং পুটিবুনিয়া এলাকা থেকে দুজনকে অপহরণ করা হয়।
এদিকে মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃত ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ১০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। এখানে মুক্তিপণের বিষয়টি পুলিশ অবহিত নয়। অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা কোনো তথ্য দিতে চায় না। এমনকি একাধিকবার চেষ্টার পরও স্বজনেরা লিখিত অভিযোগ দেয় না। এতে পুলিশ প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে।’
ওসি আরও বলেন, ‘অপহৃতদের পরিবার কাউকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি। সবকিছু মাথায় নিয়ে অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া ১০ জনের কাছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
১ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৬ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে