Ajker Patrika

হাছান মাহমুদের কাছে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান আলোচিত ব্যবসায়ী ইয়াছিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ২১: ৩৪
হাছান মাহমুদের কাছে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান আলোচিত ব্যবসায়ী ইয়াছিন

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান। 

গতকাল রোববার ড. হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নূরেন ফাতেমা বরাবর এ–সংক্রান্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। নূরেন ফাতেমা দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। 

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাঁরা অন্যায়, নির্যাতন এবং মানসিক ও প্রশাসনিক হয়রানির মাধ্যমে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ইয়াছিন চৌধুরীর পক্ষে এই নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জিয়ান মাহমুদ ক্লিনটন। 

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নোটিশে ক্ষতিপূরণের ৬০০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলাসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গত বছর প্রায় সাড়ে ১২শ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠার পর আলোচনায় আসেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন। 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইয়াছিন চৌধুরী বিদেশে পালিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। 

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে হাছান মাহমুদের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। 

নোটিশে বিগত বছরগুলোতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাছান মাহমুদ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের সব কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করেন। 

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, হাছান মাহমুদের স্ত্রীর মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের নামে ব্যাংক থেকে নেওয়া ৬৮ কোটি টাকার বেশি ঋণ অন্যায়ভাবে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে ২০১২ সালে অক্টোবরে একটি কনটেইনার ভেসেল নির্মাণের জন্য এফএমসি ডকইয়ার্ডের সঙ্গে বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের চুক্তি হয়। এর নির্মাণ মূল্য ধরা হয় ৪৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস সাড়ে ২৪ কোটি টাকা দেয়। বাকি সাড়ে ২৪ কোটি পাওনা থাকে। 

একই সময় ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফিশিং ট্রলার নির্মাণের চুক্তি করা হয়। চুক্তি মূল্য অনুযায়ী নোটিশ গ্রহীতারা ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বকেয়া থাকে। 

টাকা পাওনা থাকার পরও এফএমসি ডকইয়ার্ড নিজস্ব উৎস থেকে টাকা বিনিয়োগ করে উভয় জাহাজ নির্মাণকাজ সম্পাদন করেছিল। এসব পাওনা টাকা বহু বছর পরিশোধ করা হয়নি। গত ১০ বছর প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব বিনিয়োগের বর্তমানে সুদ ও বিজনেস অপরচুনিটি কস্টসহ ৮০ কোটি টাকার অধিক হয়েছে। যা এফএমসি ডকইয়ার্ড বহন করছে। 

এ ছাড়া হাছান মাহমুদ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। এতে ইয়াছিন চৌধুরী ও তাঁর প্রতিষ্ঠান চরমভাবে আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন ও দেশ–বিদেশে ভাবমূর্তি গভীর সংকটে পড়ে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

২০২১ সালে মার্চে চট্টগ্রামে এফএমসি ডকইয়ার্ডের অফিসে গিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধর করেন ড. হাছান মাহমুদের ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া নোটিশ বলা হয়েছে, হাছান মাহমুদের ছোট ভাই খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডে প্রধান কার্যালয় ও ডকইয়ার্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এর ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর লাগোয়া বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদণ্ডী গ্রামে ৫০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড। এটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এরই মধ্যে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পর্যটকের বাড়তি চাপে ঠাঁই নেই হোটেল-মোটেলে

  • তিন দিনের ছুটিতে হোটেল-মোটেলের প্রায় সব কক্ষ বুকড
  • ২০২৫-কে বিদায় ও ২০২৬-কে স্বাগত জানাতে পর্যটকের চাপ আরও বাড়বে
  • বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কক্সবাজারে যানজট
কক্সবাজার প্রতিনিধি
টানা তিন দিনের ছুটির কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল দুপুরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা
টানা তিন দিনের ছুটির কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল দুপুরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।

হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।

কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।

কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক ৭

সিলেট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় মা হত্যায় ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
মো. রিয়াদ খান।  ছবি: সংগৃহীত
মো. রিয়াদ খান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র‌্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।

৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে তিন চোখ ও দুই মুখের বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্য

নরসিংদী প্রতিনিধি
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।

খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।

তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’

আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত