কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রায় সোয়া দুই বছরেও অপহৃত ব্যবসায়ী কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাসিন্দা নূর উদ্দিন সাগরের (২৩) খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী স্বজনেরা মুক্তিপণ দিলেও তিনি ছাড়া পাননি। শেষে মামলা হলে তারও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তাই এবার তাঁর মা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজে পেতে সহায়তা চেয়েছেন।
অপহৃত সাগরের মা নুরনাহার বেগম বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় পার হলো। ছেলে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে জানি না। জীবিত বা মৃত আমি ছেলেকে দেখতে চাই। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই।’
সাগরের বাবা নূর আহম্মেদ বলেন, ‘ছেলের শোকে আমার স্ট্রোক হয়েছে। তার সন্ধানের জন্য পুলিশ যখন যা বলেছে, তা-ই করেছি। পুলিশের পর মামলাটি পিবিআই তদন্ত করলেও কোনো অগ্রগতি নেই। ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় আমার পুরো পরিবার উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি কামনা করছি।’
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ব্যবসায়ী নূর উদ্দিন সাগরের বাবা কাতারপ্রবাসী নূর আহম্মেদ আট বছর আগে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার লালটিলার প্রায় ১৯ একর জমি কেনেন। সেখানে তাঁর ছেলে নূর উদ্দিন সাগর খামার করে গরু, ছাগল ও মুরগি পালন করছিলেন। ২০২১ সালের ২৩ মে রাতে অপহরণের শিকার হন তিনি। পরে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে বাবার ইমু নম্বরে একটি ভয়েস রেকর্ড পাঠানো হয়। সেখানে সাগর বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আব্বা, আমারে শান্তিবাহিনী নিয়া গেছে। পুলিশ, আর্মি, প্রশাসন কাউকে বলবেন না। আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। বুঝছেননি? আর হেতারা যেইটা বলে সেইটা শুইনেন।’
একই বার্তা সাগরের আরেক ভাই কুয়েতপ্রবাসী রাজু আহম্মেদকেও পাঠানো হয়। ঘটনার পরদিন ২৪ মে সাগর তাঁর বড় বোন তাহমিনার মোবাইল নম্বরে ফোন করে অপহরণকারীদের বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। পরে সাগর আবার ফোন করে জানান, টাকা পাঠাতে দেরি করায় অপহরণকারীরা তাঁর দুই আঙুল কেটে ফেলেছে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে অপহরণকারীদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা তাঁদের জানায়, আরও দুই লাখ টাকা রেডি রাখতে, তারা সাগরকে ফেরত দিতে নিয়ে আসবে। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অপহৃত নূর উদ্দিন সাগরের ভাই মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ৩ জুন মানিকছড়ি থানায় অপহরণ মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার কিছু আলামত ও সন্দেহভাজন কিছু লোককে শনাক্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এসব যাচাই করা হচ্ছে।
প্রায় সোয়া দুই বছরেও অপহৃত ব্যবসায়ী কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাসিন্দা নূর উদ্দিন সাগরের (২৩) খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী স্বজনেরা মুক্তিপণ দিলেও তিনি ছাড়া পাননি। শেষে মামলা হলে তারও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তাই এবার তাঁর মা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজে পেতে সহায়তা চেয়েছেন।
অপহৃত সাগরের মা নুরনাহার বেগম বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় পার হলো। ছেলে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে জানি না। জীবিত বা মৃত আমি ছেলেকে দেখতে চাই। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই।’
সাগরের বাবা নূর আহম্মেদ বলেন, ‘ছেলের শোকে আমার স্ট্রোক হয়েছে। তার সন্ধানের জন্য পুলিশ যখন যা বলেছে, তা-ই করেছি। পুলিশের পর মামলাটি পিবিআই তদন্ত করলেও কোনো অগ্রগতি নেই। ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় আমার পুরো পরিবার উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি কামনা করছি।’
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ব্যবসায়ী নূর উদ্দিন সাগরের বাবা কাতারপ্রবাসী নূর আহম্মেদ আট বছর আগে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার লালটিলার প্রায় ১৯ একর জমি কেনেন। সেখানে তাঁর ছেলে নূর উদ্দিন সাগর খামার করে গরু, ছাগল ও মুরগি পালন করছিলেন। ২০২১ সালের ২৩ মে রাতে অপহরণের শিকার হন তিনি। পরে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে বাবার ইমু নম্বরে একটি ভয়েস রেকর্ড পাঠানো হয়। সেখানে সাগর বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আব্বা, আমারে শান্তিবাহিনী নিয়া গেছে। পুলিশ, আর্মি, প্রশাসন কাউকে বলবেন না। আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। বুঝছেননি? আর হেতারা যেইটা বলে সেইটা শুইনেন।’
একই বার্তা সাগরের আরেক ভাই কুয়েতপ্রবাসী রাজু আহম্মেদকেও পাঠানো হয়। ঘটনার পরদিন ২৪ মে সাগর তাঁর বড় বোন তাহমিনার মোবাইল নম্বরে ফোন করে অপহরণকারীদের বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। পরে সাগর আবার ফোন করে জানান, টাকা পাঠাতে দেরি করায় অপহরণকারীরা তাঁর দুই আঙুল কেটে ফেলেছে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে অপহরণকারীদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা তাঁদের জানায়, আরও দুই লাখ টাকা রেডি রাখতে, তারা সাগরকে ফেরত দিতে নিয়ে আসবে। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অপহৃত নূর উদ্দিন সাগরের ভাই মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ৩ জুন মানিকছড়ি থানায় অপহরণ মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার কিছু আলামত ও সন্দেহভাজন কিছু লোককে শনাক্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এসব যাচাই করা হচ্ছে।
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
৪ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৯ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে