মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
নাগলিঙ্গম বিরল প্রজাতির একটি ফুল। গাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে। ঋতুরাজের এই সময়ে নাগলিঙ্গম তার সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায়। ফুলের সুভাস নিতে ভিড় করছে প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা কমপ্লেক্সের হিসাব বিভাগের অফিসের পেছনে নাগলিঙ্গমের দুটি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর এ দুটি গাছে ফুল ও ফল হয়। আকৃষ্ট করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই নাম জানে না এই ফুলের। কৌতূহলবশত অনেকে ছবি তোলেন এবং ভিডিও ধারণ করেন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা গেছে, নাগলিঙ্গম বা হাতির জোলাপ একপ্রকার বৃক্ষ ও এর ফুল। এই গাছের ইংরেজি নাম ’cannonball tree’ এবং বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis, যা Lecythidaceae পরিবারভুক্ত। এর আদিনিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চল। ২-৩ হাজার বছর ধরে ভারতে জন্মানোর কারণে অনেকে বৃক্ষটির উৎপত্তিস্থল ভারতকেও বিবেচনা করে থাকেন।
এই বৃক্ষ বহু শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট এবং বড় বড় ডালে ফুলের মঞ্জুরি ধরে। কখনো কখনো সরা বৃক্ষের কাণ্ড থেকেই ফুল বের হয়। ফুলগুলো কমলা, উজ্জ্বল লাল গোলাপি রঙের, ঊর্ধ্বমুখী, ছয়টি পাপড়িযুক্ত এবং তিন মিটার দীর্ঘ মঞ্জুরিতে ফুটে থাকে। একটি বৃক্ষে প্রায় ১ হাজার ফুল ধরতে পারে। ফুল দৈর্ঘ্যে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পাপড়ি গোলাকৃতির, বাঁকানো, মাংসল এবং ভেতরে ও বাইরে যথাক্রমে গাঢ় গোলাপি ও পাণ্ডুর হলুদ।
নাগলিঙ্গমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরাগচক্র সাপের ফণার মতো বাঁকানো এবং উদ্যত ভঙ্গির। রাতের বেলায় ফুল থেকে তীব্র সুগন্ধ বের হয়, যা সকাল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। সারা গ্রীষ্মকাল ধরেই নাগলিঙ্গম ফুল ফোটে। ফল ক্যানন বলের মতো অর্থাৎ দীর্ঘ, গোলাকার, ভারী এবং ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ৯ মাসের মধ্যে ফল পরিপক্ব হয়। ফল মাটিতে পড়লে মৃদু শব্দে ফেটে যায় এবং বাতাসে ঝাঁজালো গন্ধের সৃষ্টি করে। ফলগুলো কখনো কখনো পরিপক্ব হতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ফলগুলো গাছের মতো শক্ত। প্রতিটি ফল থেকে প্রায় ৬৫টি বীজ পাওয়া যায়। বীজগুলোতে আলাদা আলাদা ফুলের মতো আস্তরণ থাকে, যা এদের প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। পচা ফলের গন্ধ অত্যন্ত উগ্র, কুৎসিত। বীজ থেকে সহজেই এই বৃক্ষের চারা জন্মে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত এই উদ্ভিদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ব্যাপক। দক্ষিণ আমেরিকায় এই বৃক্ষের কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। তবে সুগন্ধী ফুলের গাছ হিসেবে বাগানে বা বাড়ির আঙিনায় রোপণ করা হয়।
নাগলিঙ্গম ৩৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গুচ্ছ পাতাগুলো খুব লম্বা, সাধারণভাবে ৮-৩১ সেন্টিমিটার, কিন্তু ৫৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বায় পৌঁছাতে পারে। পাতার রং সবুজ, প্রায় কালো কিন্তু অত্যন্ত উজ্জ্বল। গ্রীষ্মকালে এদের পত্রমোচন হয়।
উল্লেখ্য, নাগেশ্বর, নাগকেশর ও নাগলিঙ্গম তিনটি ভিন্ন প্রজাতি। এই গাছে ফুল ধরার পর বেলের মতো গোল গোল ফল ধরে। এগুলো হাতির খুবই প্রিয় খাবার। এ জন্য এর অন্য নাম হাতির জোলাপগাছ।
ফুলপ্রেমী কলেজছাত্রী সাদিয়া ইসলাম বলেন, নাগলিঙ্গম ফুল সম্পর্কে জেনেছি বই পড়ে। যখনই জানলাম এই বিরল জাতের ফুলগাছ উপজেলা কমপ্লেক্সে রয়েছে এবং ঋতুরাজের এই সময়ে ফুল ফুটেছে, তাই দেখতে এসেছি। সত্যি নাগলিঙ্গম ফুলের ঘ্রাণ এত মধুর হয়, তা কল্পনাও করতে পারিনি।
চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের জীববিজ্ঞানের (অতিথি শিক্ষক) প্রভাষক দীপক কুমার রায় বলেন, নাগলিঙ্গম বা নাগফুল বা কামানগোলা। গাছের কাণ্ড সরল ও উন্নত। পাতাগুলো অনেকটা ছাতিমগাছের পাতার মতো। মজার ব্যাপার হলো, গাছটির শাখায় নয়, ফুল ফোটে গাছের কাণ্ডে। কাণ্ড ফুঁড়ে বের হয় লতানো নরম ডাঁটার মতো অংশ। ওই লতানো ডাঁটায় থাকে থোকায় থোকায় কুঁড়ি। ফুলগুলোতে উজ্জ্বল গোলাপি বর্ণের সঙ্গে হালকা হলুদ বর্ণের মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যায়। প্রস্ফুটিত ফুলের পরাগকেশর অবিকল সাপের ফণার মতো দেখতে। সবচেয়ে সুন্দর এর গন্ধ। পদ্ম ও গোলাপের সংমিশ্রণ আছে এই ফুলের গন্ধে। গ্রীষ্মকালেই ফুলটি বেশি ফোটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, বিরল প্রজাতির এই নাগলিঙ্গম ফুলগাছ উপজেলা কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমীরা ফুলের ছবি তুলে নিচ্ছে। গাছ দুটি সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গাছের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
নাগলিঙ্গম বিরল প্রজাতির একটি ফুল। গাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে। ঋতুরাজের এই সময়ে নাগলিঙ্গম তার সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায়। ফুলের সুভাস নিতে ভিড় করছে প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা কমপ্লেক্সের হিসাব বিভাগের অফিসের পেছনে নাগলিঙ্গমের দুটি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর এ দুটি গাছে ফুল ও ফল হয়। আকৃষ্ট করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই নাম জানে না এই ফুলের। কৌতূহলবশত অনেকে ছবি তোলেন এবং ভিডিও ধারণ করেন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা গেছে, নাগলিঙ্গম বা হাতির জোলাপ একপ্রকার বৃক্ষ ও এর ফুল। এই গাছের ইংরেজি নাম ’cannonball tree’ এবং বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis, যা Lecythidaceae পরিবারভুক্ত। এর আদিনিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চল। ২-৩ হাজার বছর ধরে ভারতে জন্মানোর কারণে অনেকে বৃক্ষটির উৎপত্তিস্থল ভারতকেও বিবেচনা করে থাকেন।
এই বৃক্ষ বহু শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট এবং বড় বড় ডালে ফুলের মঞ্জুরি ধরে। কখনো কখনো সরা বৃক্ষের কাণ্ড থেকেই ফুল বের হয়। ফুলগুলো কমলা, উজ্জ্বল লাল গোলাপি রঙের, ঊর্ধ্বমুখী, ছয়টি পাপড়িযুক্ত এবং তিন মিটার দীর্ঘ মঞ্জুরিতে ফুটে থাকে। একটি বৃক্ষে প্রায় ১ হাজার ফুল ধরতে পারে। ফুল দৈর্ঘ্যে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পাপড়ি গোলাকৃতির, বাঁকানো, মাংসল এবং ভেতরে ও বাইরে যথাক্রমে গাঢ় গোলাপি ও পাণ্ডুর হলুদ।
নাগলিঙ্গমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরাগচক্র সাপের ফণার মতো বাঁকানো এবং উদ্যত ভঙ্গির। রাতের বেলায় ফুল থেকে তীব্র সুগন্ধ বের হয়, যা সকাল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। সারা গ্রীষ্মকাল ধরেই নাগলিঙ্গম ফুল ফোটে। ফল ক্যানন বলের মতো অর্থাৎ দীর্ঘ, গোলাকার, ভারী এবং ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ৯ মাসের মধ্যে ফল পরিপক্ব হয়। ফল মাটিতে পড়লে মৃদু শব্দে ফেটে যায় এবং বাতাসে ঝাঁজালো গন্ধের সৃষ্টি করে। ফলগুলো কখনো কখনো পরিপক্ব হতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ফলগুলো গাছের মতো শক্ত। প্রতিটি ফল থেকে প্রায় ৬৫টি বীজ পাওয়া যায়। বীজগুলোতে আলাদা আলাদা ফুলের মতো আস্তরণ থাকে, যা এদের প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। পচা ফলের গন্ধ অত্যন্ত উগ্র, কুৎসিত। বীজ থেকে সহজেই এই বৃক্ষের চারা জন্মে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত এই উদ্ভিদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ব্যাপক। দক্ষিণ আমেরিকায় এই বৃক্ষের কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। তবে সুগন্ধী ফুলের গাছ হিসেবে বাগানে বা বাড়ির আঙিনায় রোপণ করা হয়।
নাগলিঙ্গম ৩৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গুচ্ছ পাতাগুলো খুব লম্বা, সাধারণভাবে ৮-৩১ সেন্টিমিটার, কিন্তু ৫৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বায় পৌঁছাতে পারে। পাতার রং সবুজ, প্রায় কালো কিন্তু অত্যন্ত উজ্জ্বল। গ্রীষ্মকালে এদের পত্রমোচন হয়।
উল্লেখ্য, নাগেশ্বর, নাগকেশর ও নাগলিঙ্গম তিনটি ভিন্ন প্রজাতি। এই গাছে ফুল ধরার পর বেলের মতো গোল গোল ফল ধরে। এগুলো হাতির খুবই প্রিয় খাবার। এ জন্য এর অন্য নাম হাতির জোলাপগাছ।
ফুলপ্রেমী কলেজছাত্রী সাদিয়া ইসলাম বলেন, নাগলিঙ্গম ফুল সম্পর্কে জেনেছি বই পড়ে। যখনই জানলাম এই বিরল জাতের ফুলগাছ উপজেলা কমপ্লেক্সে রয়েছে এবং ঋতুরাজের এই সময়ে ফুল ফুটেছে, তাই দেখতে এসেছি। সত্যি নাগলিঙ্গম ফুলের ঘ্রাণ এত মধুর হয়, তা কল্পনাও করতে পারিনি।
চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের জীববিজ্ঞানের (অতিথি শিক্ষক) প্রভাষক দীপক কুমার রায় বলেন, নাগলিঙ্গম বা নাগফুল বা কামানগোলা। গাছের কাণ্ড সরল ও উন্নত। পাতাগুলো অনেকটা ছাতিমগাছের পাতার মতো। মজার ব্যাপার হলো, গাছটির শাখায় নয়, ফুল ফোটে গাছের কাণ্ডে। কাণ্ড ফুঁড়ে বের হয় লতানো নরম ডাঁটার মতো অংশ। ওই লতানো ডাঁটায় থাকে থোকায় থোকায় কুঁড়ি। ফুলগুলোতে উজ্জ্বল গোলাপি বর্ণের সঙ্গে হালকা হলুদ বর্ণের মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যায়। প্রস্ফুটিত ফুলের পরাগকেশর অবিকল সাপের ফণার মতো দেখতে। সবচেয়ে সুন্দর এর গন্ধ। পদ্ম ও গোলাপের সংমিশ্রণ আছে এই ফুলের গন্ধে। গ্রীষ্মকালেই ফুলটি বেশি ফোটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, বিরল প্রজাতির এই নাগলিঙ্গম ফুলগাছ উপজেলা কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমীরা ফুলের ছবি তুলে নিচ্ছে। গাছ দুটি সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গাছের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে